বর্তমানে দেশে অনুমোদিত পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা ১৬৯। এর মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিদ্যার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ২ হাজার ২৮৩টি অধিভুক্ত কলেজে পড়েন প্রায় ৩২ লাখ শিক্ষার্থী। সে হিসাবে দেশে উচ্চশিক্ষায় যত শিক্ষার্থী আছেন, তাঁদের প্রায় ৭২ শতাংশই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। যথা অন ক্যাম্পাস কার্যক্রম (এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স) এবং আউটার ক্যাম্পাস কার্যক্রম (বিভিন্ন কলেজে চালু কোর্সসমূহ)।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক বিভাগের ৭৪ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকলেও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে এ হার ৭১ শতাংশ। এ ছাড়া বিজ্ঞানের ৬৬ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৬৯ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকছেন।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২ হাজার ২৮৩টি কলেজের মধ্যে ৮৮১টিতে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজের রয়েছে তিনটি ধরন। যথা সরকারি কলেজ, বেসরকারি কলেজে ও প্রাইভেট কলেজ।
একসময় দেশের কলেজগুলো মূলত স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) অধীনেই চলত। একপর্যায়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপ কমাতে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে কলেজগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা হয়। এখানে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা হয়। কিছু পেশাগত কোর্সেও ডিগ্রি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সাফল্য হলো অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত কলেজগুলোকে সংযুক্ত করতে পেরেছে এবং ভর্তি, ফরম পূরণ থেকে শুরু করে পরীক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত অনলাইনে করছে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিইডিপির আওতায় বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারীদের সামাজিক পরিচয় সংকট দূর করেছে, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করছে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:১৯। পক্ষান্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১: ২৯ অর্থাৎ প্রতি ২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক রয়েছেন। অধিভুক্ত বেশির ভাগ কলেজে নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক, অবকাঠামো, গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার।
এ ছাড়া শিক্ষাক্রমে সমসাময়িক জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব, ভর্তিবিহীন অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ঘাটতি, এসব কারণে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে তাঁরা চাকরির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন।
এ ছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সদস্য (দৈনিক প্রথম আলো, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থীই দরিদ্র পরিবারের সদস্য।
এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার কম। আর ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মাসিক আয়, এমন পরিবারের শিক্ষার্থী রয়েছেন ৪৯ শতাংশ। সংগত কারণে তাঁদের অধিকাংশ পড়ালেখার পাশাপাশি নানা নিম্ন আয়ের কাজের সঙ্গে জড়িত।
শিক্ষাজীবন শেষ করার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায় না।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ লাখ জনগোষ্ঠী চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাঁদের মধ্যে ১৩-১৪ লাখের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হয়। বাকিরা দেশের বাইরে পাড়ি জমান। ফলে দুই দশক ধরে দেশে বেকার সংখ্যা ২৪-২৮ লাখের মধ্যে স্থির আছে। তবে যাঁরা দেশের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েট।
দেশে বর্তমান বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশে সার্বিকভাবে মোট বেকারের মধ্যে ১২ শতাংশই উচ্চশিক্ষিত। এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক নারী বেকারও রয়েছেন।
সর্বশেষ কলেজ গ্র্যাজুয়েট ট্রেসার স্টাডির তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, কলেজ গ্র্যাজুয়েট পুরুষদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছে। নারীদের মধ্যে এ হার আরও বেশি (৭৭ শতাংশ)। শহর-গ্রামভেদেও এ হারে পার্থক্য রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৫৫ শতাংশ হলেও গ্রামাঞ্চলে তা ৭২ শতাংশ।
বিআইডিএসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো থেকে পাস করার তিন বছর পরও ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকছেন।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পড়ালেখা শেষ করে মাত্র ১ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েট স্বকর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর তিন বছর ধরে চাকরির সন্ধান করতে হচ্ছে ৪৬ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েটকে। তাঁদের মধ্যে বেকারত্বের হারও সবচেয়ে বেশি ৭১ শতাংশ।
এই কলেজগুলোর লেখাপড়ার মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন আছে। সেশনজট কমানোর লক্ষ্যে ঠিকমতো ক্লাস না করে পরীক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো অভিযোগও আছে। বাস্তবতা ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় না করেই দীর্ঘদিন ধরে ঢালাওভাবে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ কলেজেই উচ্চশিক্ষায় পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব, প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ সংকট, অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। প্রায় সারা বছরই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো না কোনো পরীক্ষা থাকায় কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও কলেজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব কলেজকে ঠিকমতো তদারকি করা সম্ভব হয় না বলে নানা মহলে আলোচনা আছে। এসব কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।
ফলে তাঁরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর সঙ্গে চাকরির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। বিশ্বব্যাংক বলছে, গ্র্যাজুয়েটদের বড় অংশেরই দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের ওপর জরিপ চালিয়ে সংস্থাটি বলছে, এক-তৃতীয়াংশ চাকরিজীবী গ্র্যাজুয়েট মনে করেন, কলেজে শেখা জ্ঞান ও দক্ষতা তাঁরা কাজে লাগাতে পারছেন। অধিকাংশ কলেজ–গ্র্যাজুয়েটই তাঁদের কলেজে শেখা জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বেশির ভাগ হতাশাই ভোগেন। সাধারণত যেসব শিক্ষার্থী কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান না এবং পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না, তাঁরাই অনেকটা বাধ্য হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্থানীয় কলেজে ভর্তি হন।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় অনেক কম। ইউজিসির ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় মাত্র ৭০২ টাকা। অর্থাৎ মাসে ৫৮ টাকার সামান্য বেশি। আসলে ভালো পড়াশোনার জন্য বিনিয়োগ একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষার্থীদের পেছনে ব্যয়ের দৈন্য দশার চিত্রই প্রমাণ করে ভালো মানের পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ ও পরিবেশ এখানে অনুপস্থিত।
ইউজিসির তথ্য বলছে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয় সব সময়ই বেশি। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় বেশি, সেগুলোর পড়াশোনা ও গবেষণার মান তুলনামূলকভাবে ভালো।
আর যারা কম ব্যয় করে, তাদের শিক্ষার মানও তুলনামূলক খারাপ। তারপরও দেশের গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বড় ভরসার জায়গা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিআইডিএসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ চাকরি করছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকার অবস্থায় আছেন ৪২ থেকে ৪৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যানুসারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা, বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এক হিসাব মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন ২৩ শতাংশ। আর গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা থেকে পাস করা অন্তত ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বেকার থাকা শিক্ষার্থীদের ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ ইসলামের ইতিহাস ও বাংলায় স্নাতক করেছেন। জানা যায়, ইংরেজিতে স্নাতক করা শিক্ষার্থীরা কম বেকার রয়েছেন। অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকার ১ শতাংশের মতো।
এর কারণ হিসেবে জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বেশির ভাগ হতাশাই ভোগেন। সাধারণত যেসব শিক্ষার্থী কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান না এবং পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন না, তাঁরাই অনেকটা বাধ্য হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্থানীয় কলেজে ভর্তি হন। ভর্তির পর বেশির শিক্ষার্থী নিজ বাড়ি থেকে অনিয়মিতভাবে ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন।
অনেকে কলেজ হোস্টেলে, আবার অনেকে কলেজের আশপাশের ছাত্রাবাসে অবস্থান করেন। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যহীন অলস সময় কাটানো দেখে তারাও অলস হয়ে পড়েন। অনেকেই সিনিয়র ভাইদের হতাশা দেখে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। জীবনে কোনো কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কলেজ পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী মূল বই পড়েন না, এমনকি টেক্সট বইয়ের নাম পর্যন্ত জানেন না। তাঁরা সিনিয়র ভাইদের পরামর্শে বাজারের ভুলে ভরা সস্তা নোট পড়ে পরীক্ষায় কৃতকার্য হন, অনেকে অকৃতকার্যও হন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় গত বছরের প্রশ্নগুলো অনুসরণ করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়। ফলে তাঁদের বিষয়ভিত্তিক প্রকৃত জ্ঞান অর্জিত হয় না। অনেক কলেজে অনার্স বা মাস্টার্স পড়ানোর মতো দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে।
এ ছাড়া গবেষণাগার ও গ্রন্থাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বই দেখা যায় না। ফলে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে তাঁরা দেশে বিদ্যমান কর্মবাজারে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারছেন না, বেকার হয়ে পড়ছেন।
খ ম রেজাউল করিম সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ