বিশ্লেষণ
বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি কমানোর সদিচ্ছা কোথায়
৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা বা ৬৯ বিলিয়ন ডলারের এই বাজেটকে যদি ধরা হয় ১০০ টাকা, তাহলে মাত্র ৬৬ টাকা সংকুলান করা হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। বাকি ৩৪ টাকাই বাজেট–ঘাটতি।
বাজেটের বিশালত্ব এখন আর সম্পদ নয়, দায়। সুদাক্রান্ত বাজেটে বেকারত্বের তাপ ও মূল্যস্ফীতির জ্বালা, এ উভয় সমস্যার কার্যকর সমাধান উপেক্ষিত, যদিও ক্ষণে ক্ষণেই এদের কথা উচ্চারিত হয়েছে।
এ যেন এক বিশাল একান্নবর্তী পরিবার, যেখানে বয়স্কজনেরা আর আগের মতো আয় করতে পারেন না, জমি কেনায় সুদের কিস্তি অনেক বেড়ে গেছে। তরুণেরা এদিক-ওদিক চাকরি খুঁজছেন আর বাড়ির গিন্নিরা বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় রান্নাবান্নায় আগের মতো জৌলুশ আনতে পারছেন না।
জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে ১২ বছর ধরেই রাজস্ব আয় কমছে, তরুণদের এক বিশাল জনগোষ্ঠী বেকার এবং এ টানাটানির বাজেটে তাঁদের কর্মসংস্থানের যোগ্য উপায় অনুপস্থিত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মূল্যস্ফীতির জ্বালা লাঘবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়—শুধু মৌখিক প্রতিজ্ঞা ও শব্দ-বন্যা ছাড়া। সব মিলিয়ে একটি নির্বাচনী বাজেটে যে সক্ষমতার দিকনির্দেশ থাকে, সেটিও এই দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খরচগুলো গুছিয়ে আনার চেষ্টা ও সংগত কৃপণতাও অনুপস্থিত।
১০০ টাকার বাজেট
বাজেটের বড় বড় টাকার অঙ্ক দেখলে পুরান ঢাকার হিম্মত ব্যাপারী কিংবা নালিতাবাড়ীর জগাসাধু কিছুই বুঝতে পারেন না। তাঁদের অন্তর্ভুক্তির স্বার্থে এই বিশাল অঙ্কের বাজেটকে ১০০ টাকার অঙ্কে নিয়ে আসা প্রয়োজন। ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা বা ৬৯ বিলিয়ন ডলারের এই বাজেটকে যদি ধরা হয় ১০০ টাকা, তাহলে মাত্র ৬৬ টাকা সংকুলান করা হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। বাকি ৩৪ টাকাই বাজেট ঘাটতি। এই ঘাটতির ২০ টাকা জোগাড় করা হবে ব্যাংকঋণ, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে। বাকি ১৪ টাকা আসবে বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে।
অভ্যন্তরীণ ২০ টাকা ঋণের মধ্যে ১৭ টাকাই ব্যাংকঋণ। এই গেল বাজেটের উৎসের দিকগুলো। এবার বাজেট কী কী খাতে ঢালা হবে, তার চিত্র। উন্নয়ন ব্যয় অর্থাৎ রাস্তাঘাট নির্মাণ ও প্রকল্প খাতের পেছনে ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা। বাকি টাকা ব্যয় করা হবে চলমান খাতের পেছনে, যা খরচের বিচারে বাজেটের প্রধান অঙ্গ।
বেতন, ভাতা, সুদজাতীয় অনিবার্য খরচের পেছনে ঢালতেই হবে। মোদ্দাকথায় রাজস্ব আয় দিয়ে রাজস্ব ব্যয় মেটানো আর ঋণ করে উন্নয়ন ব্যয় মেটানোর এই গৎবাঁধা বাজেটে কোনো কৌশলগত চমক নেই। রাজনৈতিক আত্মতুষ্টির অতি বাচালতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর বুদ্ধিবৃত্তিক স্মার্টনেস হারিয়ে গেছে।
চার্বাক দর্শন
খ্রিষ্টজন্মের ৬০০ বছর আগে ভারতে চার্বাক দর্শন প্রকাশিত হয়। এর প্রচলিত শ্লোকটি ছিল এ রকম, ‘যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ, ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ’—যদ্দিন বাঁচো সুখেই বাঁচো, প্রয়োজন হলে ঋণ করে হলেও ঘি খাও। বাজেটের কাঠামো ও ব্যবস্থাপনা দেখে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি বিশ্বাস করার সমূহ কারণ আছে যে অর্থ মন্ত্রণালয় এই চার্বাক দর্শনে অভিভূত হয়ে এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছে।
ঋণ আগেও ছিল। কিন্তু এর ক্রমবর্ধমান গ্রাস শুধু বাজেটকেই নয়, সমস্ত অর্থনীতিকে বিচলিত করে তুলেছে। বাড়ছে ভাতা ও ভর্তুকি। বাজেটের উৎস ও ব্যবহারের খাতকে সুস্পষ্ট দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সরকারি কাঠামো ব্যবহার করে যে রাজস্ব আদায় করা হয়, তা ওই সরকারি কাঠামো আর সুদের পেছনেই শেষ হয়ে যায়। উদাহরণে ব্যবহৃত ৬৬ টাকার মতো আয় আসলে পুরোপুরি বেতন–ভাতা ও সুদ দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। উন্নয়নের পুরো খরচটি হবে ঋণনির্ভর। জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে ঋণের বোঝা বেড়ে পরিশোধজনিত ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এটি কমিয়ে দিচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা।
লালনের শিক্ষা
ঋণ করে হলেও উন্নয়ন করতেই হবে—এই চার্বাক দর্শনের খেসারত কত ভয়াবহ হতে পারে, তা দেখতে হলে বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানই এর প্রমাণ। এর কারণ অতি সহজ। উন্নয়ন প্রজেক্টের প্রাপ্তি হার অনেক সময় গাণিতিকভাবে দৃশ্যমান নয়। দেখা গেলেও তা কম ও দীর্ঘ মেয়াদে বিস্তৃত, যাকে ছাপিয়ে যায় স্বল্প মেয়াদে ছড়ানো উচ্চ সুদের হার। কাবুলিওয়ালা ঘাড়ের কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। সম্পদের চেয়ে দায় বড় হয়ে যায়। কারণ হচ্ছে কালপর্বের অমিল বা ‘টার্ম মিসম্যাচ’। তখনই ধস নামে।
রবীন্দ্রনাথের যুগ নেই বলে এখন চীন থেকেও ‘কাবুলিওয়ালারা’ আসে। এর নাম প্রকল্প সুদের নব্য সাম্রাজ্যবাদ-সোনার লঙ্কা শেষতক দস্তায় পরিণত হয়ে গেল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন যে আমরা সন্তান ও নাতি–নাতনির ঘাড়ে এমন ঋণ রেখে যেতে চাই না, যা আমাদের কর ও সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার ফসল।
স্বল্পকালীন রাজনৈতিক বাহবার স্বার্থে পূর্ণভাবে ঋণনির্ভর উন্নয়ন বাজেটের সংস্কৃতি থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে বেরিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশের নীতিপ্রণেতাদের। তাই চার্বাক দর্শন ছেড়ে ফকির লালনের শিক্ষায় বিশ্বাসী হয়ে দিনের কর্ম দিনেই সারতে হবে। অন্যথায় সময় গেলে সাধন হবে না।
বেকারত্ব কমেছে, না বেড়েছে?
অর্থমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, ২০১০ সালে সাড়ে ৪ ভাগের বেকারত্ব হার কমে ২০২২ সালে ৩ দশমিক ২ ভাগে নেমেছে। অর্থমন্ত্রী এ প্রবণতারেখা কোথায় পেলেন? বিশ্বব্যাংকের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী ২০১০–এর ৩ দশমিক ৩৮ ভাগের বেকারত্ব ২০২১-এ এসে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৩ ভাগ। এটি পানসে সংজ্ঞায় বানানো গড় বেকারত্ব। আসল বেকারত্ব আরও বেশি।
সরকারের প্রধান চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত যুব বেকারত্ব। এটির চিত্র ভয়ানক। ২০১০ সালের ৬ দশমিক ৪ ভাগ যুব বেকারত্ব ২০২১ সালে বেড়ে প্রায় ১৫ ভাগে পৌঁছে গেছে। যুব বেকারত্ব বাড়লে মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন, মেয়েদের বাল্যবিবাহ, রাজনৈতিক ক্যাডারবৃত্তি, গ্যাং কালচার, চাঁদাবাজি ও সামাজিক অপরাধ বেড়ে যায়, যা দমন করতে সরকারের স্বাস্থ্য, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচারিক খরচ বাড়ে।
সমাজে নিরাপত্তা কমে, মানুষ অসুখী হয়। আইএলওর ত্রুটিপূর্ণ সংজ্ঞায় নির্ধারিত বেকারত্ব ভাঙা থার্মোমিটারের মতো, যা প্রকৃত তাপমাত্রা দেয় না। উন্নত বিশ্বে এটি ব্যবহৃত হয় না। শ্রম মন্ত্রণালয়ের উচিত মাসিক জরিপ দিয়ে এটি নির্ধারণ করা। মূল্যস্ফীতির মতো এটিও অর্থনীতির আরেক পাপ।
অর্থমন্ত্রী ২০২২ সালের জন্য সোয়া ৩ ভাগের যে বেকারত্ব হার দিলেন, তা দেখলে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ ঈর্ষায় জ্বলে যাবে, একজন মন্ত্রীর ‘উন্নত বিশ্বের হিংসাতত্ত্ব’ সার্থক প্রমাণিত হবে। ওই বছর ফ্রান্সে বেকারত্ব ছিল শতকরা ৮ ভাগ, কানাডায় সাড়ে ৭ ভাগ, যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৪ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ ভাগ ও জার্মানিতে ছিল সাড়ে ৩ ভাগ। বেকারত্ব সমাধানের দক্ষতায় বাংলাদেশ যে এদের পেছনে ফেলে দেয়নি, সেটা বুঝতে কড়া অর্থনীতিবিদ বা চৌকস হিসাববিদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ চিত্রটি দাবি করছে যে বাজেটে তথ্য পরিবেশনে ‘চালাকি’ পরিহারপূর্বক যথেষ্ট সততার প্রয়োজন। আত্মতুষ্টিতে বেকারত্বের তাপ নির্বাপিত হয় না।
মূল্যস্ফীতি দমনে সদিচ্ছা কোথায়
গত বাজেটেও অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে মূল্যস্ফীতি দমনই নাকি সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ ধরনের কথায় রাজনৈতিক প্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা আছে, কিন্তু আন্তরিকতা নেই। কারণ, মূল্যস্ফীতি দমনে প্রধান হাতিয়ার সুদহারের ওপর ৯ ভাগের ছাদ ঢালাই করা ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সেই ছাদ ভাঙতে দেওয়া হয়নি।
ধনিকগোষ্ঠী ও খেলাপিরা চেয়েছিলে ওই ছাদ থাকুক, যাতে তারা শূন্য প্রকৃত সুদে (বাজার সুদ বিয়োগ মূল্যস্ফীতির হার) ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ বার সুদহার বাড়ায়। পাশের দেশ ভারতেও ধনিকগোষ্ঠীর দাপট কম নয়। কিন্তু তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই একই সময় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে পাঁচবার এবং মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
বাংলাদেশে যাঁরা অর্থনীতি চালান, তাঁরা যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের এই নীতিগুলো বুঝতে পারেন না, তা নয়। কিন্তু ব্যবসায়ী তোষণ তখনই অর্থনীতির বৃহত্তর জনস্বার্থের সব নীতি পণ্ড করে দেয়, যখন তাদেরই দলভুক্ত সরদারেরা নীতি প্রণয়ন করেন। তখন শিয়ালের কাছে মুরগি বন্ধক দেওয়া হয়েছে—এই সান্ত্বনায় অর্থনীতির অনীতিগুলোকে সহ্য করতে হয়। তা ছাড়া মূল্যস্ফীতি মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের পাঁচালি। ধনিক ভোক্তা, ঋণখেলাপি, মুদ্রা পাচারকারী ও দাগি ব্যবসায়ীদের কাছে এটি কোনোই মাথাব্যথার কারণ নয়।
তবে বাদ সাধল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। তাদের চাপে ও ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী এখন বলছেন সুদের ছাদ ভেঙে দেওয়া হবে। বিনিময় হারের পঞ্চ বিভূতি সরিয়ে বাজারভিত্তিক একক হার আনা হবে। সম্প্রতি রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের মান দুই ধাপ কমিয়ে দিয়ে এই দুটো উদ্ভট রীতির কথাও উল্লেখ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ তো আর মঙ্গল গ্রহের রাজ্য নয় যে প্রচলিত অর্থনীতির নীতি অমান্য করেও একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তার সুযোগ নেই।
মূল্যস্ফীতি কমানোর ব্যাপারে সিন্ডিকেট চিহ্নিতকরণ ও শাস্তি প্রদানের মতো কাজ প্রশাসনিকভাবে আরও বেশি করার সুযোগ ছিল। এখনো আছে। মূল্যস্ফীতি দমনের প্রধান দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। কিন্তু সেটি যে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান এবং সেখানে একজন গভর্নর থাকেন, সেটা যেন মানুষ বুঝতে পারে তার দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রককেই নিতে হবে। তাঁরা যেন ব্যাংকনীতির সব কথা ও কাজ আগেই সেরে না ফেলেন।
আলাদা রাজস্ব মন্ত্রণালয় কেন
বাজেটে ঋণ বাড়া মানে হচ্ছে ব্যাংক খাত থেকে খাবলা মেরে টাকা নেওয়া। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ প্রয়োজনীয় ঋণ পায় না এবং নিয়োগ বাড়ায় না, বেকারত্ব বাড়ে। অনেক সময় সরকারকে অর্থ দেওয়ার প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অতিরিক্ত টাকা ছাপাতে হয়, যা পরিশেষে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। এই সবকিছুর মূলে সমস্যা একটিই—অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর আদায়ে ব্যর্থতা। রেটিং এজেন্সিগুলোও সে কথা প্রত্যেক রিপোর্টে বলেছে।
ধনিক গোষ্ঠী ও কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করে প্রত্যক্ষ আয়কর বাড়াতে হবে। আয়করের জাল চুনোপুঁটিদের দিকে ছড়ানো হচ্ছে, রাঘববোয়ালদের এই জাল থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে। এটি করনীতির রাজনৈতিক চরিত্র, যা কর আদায় কমায়, খেলাপি ঋণ বাড়ায় ও মুদ্রা পাচারকারীকে পরম উৎসাহ দান করে।
এই রাজস্ব অক্ষমতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের শতভাগ ঋণনির্ভরতা বাজেটের সবচেয়ে বড় কাঠামোগত দুর্বলতা। দিন দিন এই দুর্বলতা বাড়ছে বৈ কমছে না, যা প্রমাণ করে এক অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজস্ব আহরণ এবং বাজেট প্রণয়ন ও ঘাটতি অর্থায়ন এক হাতে করা সম্ভব নয়।
রাজস্বের দপ্তর একজন সিনিয়র আমলানির্ভর না করে আলাদা রাজস্ব মন্ত্রণালয় গড়ে ওটির কাজ একজন সুদক্ষ মন্ত্রীর হাতে অর্পণ করা উচিত। পৃথিবীর অনেক দেশে এটি করা হয়েছে। আমাদের দেশে বিড়াল দিয়ে আর লাঙল টানানো সম্ভব হচ্ছে না।
ড. বিরূপাক্ষ পাল স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ড-এর অর্থনীতির অধ্যাপক