একটি ‘ট্রুথ ও পিস কমিশন’ কেন জরুরি

অভ্যুত্থান-পরবর্তী এই অস্থির সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি ‘ট্রুথ ও পিস কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনি আলোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে পতিত সরকারের দমন-পীড়নমূলক অপরাধের কারণ ও প্রভাব নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিগত আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এটা শুধু এই সরকারের আমলের জন্য নয়, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক যেকোনো সরকারের জন্য আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করবে। একটি ‘ট্রুথ ও পিস কমিশন’ কেন জরুরি, তা নিয়ে লিখেছেন উম্মে ওয়ারা

জুলাই–আগস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী সমাবেশে প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিক্ষার্থীফাইল ছবি

সহিংস ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতির মাধ্যমে সমাজের মধ্যে শান্তি ও সহাবস্থান পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা ক্রান্তিকালীন বিচার বলা হয়। এই ক্রান্তিকালীন বিচারব্যবস্থা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান ক্যাম্পজীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা আমার বর্তমান পিএইচডি গবেষণার বিষয়। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১১০ দিনের খেরোখাতায় শান্তি ও সহাবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগগুলোকে তাই ক্রান্তিকালীন বিচারের লেন্স দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি।

ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা ক্রান্তিকালীন বিচার ধারণাটি একেবারেই নতুন। নব্বই দশকের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংসতা-পরবর্তী সময়ে কীভাবে সমাজে শান্তি ও সহাবস্থান পুনরুদ্ধার করা যায়, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ক্রান্তিকালীন বিচারের উদ্ভব।

ক্রান্তিকালীন বিচারের আওতাধীন মূল পাঁচটি পদ্ধতি হলো আদালতের বিচার, সত্য উদ্‌ঘাটন, ক্ষতিপূরণ প্রদান, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও স্মৃতিচারণামূলক পদক্ষেপ।

তবে ক্রান্তিকালীন বিচারের এই পাঁচ প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনটি কিংবা কোন সমন্বয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে, তা নির্ভর করে দেশটির সামাজিক ও রাজনৈতিক অন্যান্য পরিস্থিতির ওপর। স্বৈরশাসকদের করা অপরাধের ধরন, অপরাধের ব্যাপকতা, ভিকটিমের ধরন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি অপরাধীদের সংখ্যা, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, নতুন সরকার গঠন ইত্যাদিও আমলে নিতে হয়।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন সরকারের নির্দেশে পুলিশ ও দলীয় অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে সরকারি হিসাবে কমপক্ষে আট শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত এবং ১৮ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় করা এই অপরাধের বিচার করতে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর।

নতুনভাবে ট্রাইব্যুনালকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে প্রসিকিউটর টিম, বিচারক ও তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-কে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আটটি ধারার সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব করলেও মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তনের কথা এখনো শোনা যায়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া কিংবা পাশের দেশ নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্রান্তিকালীন বিচারের অংশ হিসেবে ট্রুথ কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। ট্রুথ কমিশনগুলোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের প্রক্রিয়ার কারণ ও পন্থাগুলো খুঁজে বের করা। এখানে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং সত্য উন্মোচন করা এবং তা নথিভুক্ত করাই এর আসল উদ্দেশ্য।

কেননা, এই ট্রাইব্যুনালের অধীন পূর্ববর্তী বিচারকালে মৃত্যুদণ্ডাদেশের কারণে ট্রাইব্যুনালের রায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এই সমাজে আর ক্ষত চাই না। বিভাজন চাই না। বিচারের মধ্য দিয়ে একটা রিকনসিলিয়েশন (পুনর্মিলন) প্রসেসের (প্রক্রিয়া) শুরু করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘যত হতাশা থাক, যত ক্রন্দন থাক, ক্ষোভ থাকুক, বিচার অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’ (প্রথম আলো, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ )

তাঁর এই মহতী আকাঙ্ক্ষা অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কতটা পক্ষপাতহীন ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সফল হয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও কয়েকটি আইনি বিষয়ে সংস্কারকাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ অন্যান্য কালো আইন বাতিলের উদ্যোগসহ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া প্রণয়ন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন, গণ-আন্দোলন দমনে করা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার ও গুমবিরোধী সনদ অনুসমর্থন তথা তদন্ত কমিশন গঠনের পদক্ষেপের বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।

ক্রান্তিকালীন বিচারের প্রথম স্তম্ভ হিসেবে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার কথা এলেও বিচারপ্রক্রিয়াতে বাদী ও বিবাদীর আইনি মারপ্যাঁচে ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) অবস্থান ও প্রতিনিধিত্ব অনেক সময়ই গুরুত্ব হারায়। আর তাই ভিকটিমকে প্রাধান্য রেখে সত্য উদ্‌ঘাটনের প্রক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন দেশে কমিশন গঠনের উদাহরণ রয়েছে, যা ‘ট্রুথ ও রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ হিসেবেই পরিচিত।

দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া কিংবা পাশের দেশ নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্রান্তিকালীন বিচারের অংশ হিসেবে ট্রুথ কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। ট্রুথ কমিশনগুলোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের প্রক্রিয়ার কারণ ও পন্থাগুলো খুঁজে বের করা। এখানে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং সত্য উন্মোচন করা এবং তা নথিভুক্ত করাই এর আসল উদ্দেশ্য।

এই প্রক্রিয়াতে ভিকটিম সাক্ষ্য প্রদানসহ বিভিন্নভাবে কমিশনের কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ট্রুথ কমিশনের কাজ কেবল একাডেমিক অনুসন্ধান নয়; বরং তা সমাজের সবার জন্য একটি স্থায়ী দলিল হয়ে থাকে, যেখানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের কার্যকারণসহ কীভাবে তাদের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়, তা ‘নন-ক্রিমিনাল’ প্রেক্ষাপটে দেখার একটি সুযোগ তৈরি করে দেয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শান্তি ও সংহতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর মনে হয় যে পৃথিবীর সব দেশের সরকারেরই একটি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আছে। কিন্তু কোনো শান্তি মন্ত্রণালয় নেই। যদি আপনার লক্ষ্য শান্তি হয়, তাহলে আপনার কি শান্তি মন্ত্রণালয় থাকা উচিত নয়?’ (প্রথম আলো, ৩ নভেম্বর ২০২৪)

তাঁর এই চমৎকার কথার সুর ধরেই বলতে চাই, অভ্যুত্থান-পরবর্তী এই অস্থির সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি ‘ট্রুথ ও পিস কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে আইনি আলোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে পতিত সরকারের দমন–পীড়নমূলক অপরাধের কারণ ও প্রভাব নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিগত আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এটা শুধু এই সরকারের আমলের জন্য নয়, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক যেকোনো সরকারের জন্য আইন, বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করবে।

ক্রান্তিকালীন বিচারের তৃতীয় স্তম্ভটি হলো ক্ষতি পূরণ প্রদান। আর এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও তাদের আঘাতের আনুপাতিক পরিমাপ করাটা জরুরি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে, যা অচিরেই পরিপূর্ণভাবে নথিভুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।

এ ছাড়া আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ করা হয়েছে। পত্রপত্রিকার সূত্রমতে, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ইতিমধ্যে দুই শতাধিক নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিলে গঠন করা সেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে কোথাও কোথাও ক্ষতিপূরণ কমবেশি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও আহত ব্যক্তিরা যেন দেশের সব সরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে সারা জীবন বিনা মূল্যে চিকিৎসা পান, সে বিষয়ে সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ কেবল অর্থের মাধ্যমে নয়, প্রতীকীও হতে পারে; যদিও কোনো ক্ষতিপূরণই ক্ষতিগ্রস্তের ‘ইমোশনাল লস’কে (মানসিক ক্ষতি) পূরণ করতে পারে না, তবু তাদের সহিংস-পরবর্তী সময় থেকে ফিরে আসার জন্য ক্ষতিপূরণ ক্রান্তিকালীন বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল (মাধ্যম) হিসেবে কাজ করে থাকে। তবে ক্ষতিপূরণ একই সঙ্গে বিভাজনের বীজও বপন করতে পারে, যখন ভিকটিমের মধ্যেই একটি পক্ষ অন্য পক্ষের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকে। তাই এই বিষয়ও বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।

ক্রান্তিকালীন বিচারের চতুর্থ স্তম্ভ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা। বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সংস্কারের পথে যাত্রা শুরু করেছে। সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, গণমাধ্যম, নির্বাচনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও গুণগত পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানাতে হবে।

যথাযথ সময়ে কমিশনগুলো তাদের জনমুখী, দক্ষ ও টেকসই সংস্কার প্রস্তাবের খসড়া পেশ ও সে অনুযায়ী সংস্কার করলেই কেবল তা জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে করি। ক্রান্তিকালীন বিচারের নতুন সংযোজিত ‘স্তম্ভ’ স্মৃতিচারণামূলক পদক্ষেপ, যে বিষয়ে বর্তমান সরকার প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে এখন পর্যন্ত।

ইতিমধ্যেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটি ঘোষণাসহ জুলাই শহীদদের নামে একাধিক স্টেডিয়ামের নামকরণ প্রস্তাব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী স্মৃতিফলক প্রতিষ্ঠা ছাড়াও সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা আন্দোলনের স্থিরচিত্র, সংবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্রকাশনার কাজ শুরু করেছে তথ্য অধিদপ্তর।

সরকারের পাশাপাশি অ্যাকটিভিস্ট ও সচেতন নাগরিক সমাজের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ডিজিটাল আর্কাইভ গড়ে তুলেছেন। এই স্মৃতি সংরক্ষণ শুধু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি প্রদান নয় বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি শিক্ষামূলক নিদর্শন হয়ে থাকবে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতের যেকোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে, যেন এই বাংলাদেশে আর কখনো কোনো দমন–পীড়নমূলক সরকারের উত্থান না হয়। তবেই কেবল জনগণের কল্যাণের জন্য এসব সংস্কার কার্যক্রম সফল ও টেকসই হবে।

  • উম্মে ওয়ারা, সহযোগী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব ওয়্যারউইক, যুক্তরাজ্য।