দেশজ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ কম এবং মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে অন্তত ৪ শতাংশ বেশি। এটা নিশ্চলতাস্ফীতি বা স্ট্যাগফ্লেশনের নির্দেশক।
এর মানে হচ্ছে, একদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে আয় সংকোচন ও বেকারত্ব। টাকার অবমূল্যায়নের সঙ্গেই ব্যাংকঋণে সুদহার বাড়ানো, নীতি সুদহার বাড়ানো, বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়ানো, শুল্ক কমানো, আমদানিতে ভর্তুকি কমানো, কর বাড়ানো—সব একসঙ্গে চলছে।
অনেকগুলো সমাধানমূলক পদক্ষেপ একই সঙ্গে মডেলিং ছাড়াই প্রয়োগ হচ্ছে। কোন উদ্যোগ অর্থনীতিতে কী প্রভাব রাখছে, সেটা সরকার জানছে না।
সুদের হার ১, ৩ বা ৫ শতাংশ বাড়ালে অর্থনীতির কোন খাতে কী প্রভাব পড়বে, অর্থ প্রবাহ ও বিনিয়োগের কোন ক্ষেত্রে তার কী প্রভাব পড়বে, খোলা বাজারে কী প্রভাব হবে—এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইআরডি জানে না।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘মডেলিং টুল’ না থাকায় ঘনঘন নীতির পরিবর্তন হয়। নতুন বাজেটকে সামনে রেখে তাৎক্ষণিকভাবে তিনটি প্রধান বিষয় সামনে আসে।
প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরানো। এখানে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়হার বাজারচাহিদার ভিত্তিতে পড়তে দেওয়া এবং রিজার্ভ রক্ষার মধ্যকার একটিকে বেছে নিতে হবে।
টাকার মান ধরে রেখে বাজারে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। ২৫ বিলিয়ন ডলার খোয়া গেছে, তবু টাকার মান ধরে রাখা যায়নি। অর্থবছর শেষে না থামল রিজার্ভ ক্ষয়, না ঠেকানো গেলে টাকার মূল্যপতন।
এক মাসের আমদানি বিলের সমান দেনা-বকেয়া থাকার মধ্যেই যেহেতু রিজার্ভ দুই মাসের স্বাভাবিক আমদানি বিলের চেয়ে কমে গেছে, তাই বাজারে ডলার বিক্রি অসম্ভব।
এ অবস্থায় নতুন ‘শক’ আসলে টাকার মান ‘ফ্রি ফল’ করতে দেওয়া এবং মুদ্রা সরবরাহ আরও সংকোচনের বিকল্প থাকবে না।
দ্বিতীয়ত, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরানো জরুরি। ঋণ জালিয়াতি ও খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে বড় অপরাধীদের শক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকদের আমানত ফেরতের একটা বন্দোবস্ত করে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মার্জ নয়, বরং সরাসরি বন্ধের কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকার ও প্রশাসনের পরিচালনা ব্যয় আক্ষরিক অর্থেই অর্ধেকে আনা অথবা মোট রাজস্ব আয়ের অর্ধেকে নামানো। সে ক্ষেত্রে পরিচালনা ব্যয় অর্ধেক থেকে দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা লাগবে।
অর্থনৈতিক সংকটের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সমাধান নির্ভর করবে সরকার পরিচালনা ব্যয় কতটা কমাতে পারবে, তার ওপর।
তৃতীয়ত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও কৃষিনিরাপত্তা ভাতা-ভর্তুকি বাড়ানো। উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে দেশের সাত কোটি দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য ভর্তুকি বাড়াতে হবে, কৃষি ভর্তুকি দেড় গুণ বাড়াতে হবে, সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ভুল পদক্ষেপ থামাতে হবে, ডিজেলের দাম কমাতে হবে।
এসবের জন্য ‘ফিসক্যাল স্পেস’ বা আর্থিক পরিসর তৈরিতে সবার আগে সরকারের ব্যয়ে বড় সংকোচনের বিকল্প নেই।
দুই.
সংকট উত্তরণের কথা বলে যে বাজেট দেওয়া হয়েছিল গত বছর, সেটিকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ বাজেট বলা যায়। এটা ছিল অবাস্তব ও গালভরা কিছু সংখ্যার সমাহার মাত্র, যার সঙ্গে বাস্তবতার দূরতম সম্পর্ক রাখা হয়নি।
৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতেই প্রাক্কলিত ঘাটতি ছিল ৩৫ শতাংশ, বছর শেষে ঘাটতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
অর্থবছরের ১০ মাসে বাজেট বাস্তবায়ন ছিল ৪৯ শতাংশ মাত্র। এ রকম অকার্যকর বাজেট বাংলাদেশ আগে দেখেনি। অর্থবছরের তিন প্রান্তিক মিলে দেখা গেল, ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারেনি এনবিআর।
৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এনবিআর টার্গেটের বিপরীতে অর্থ বছরের ৯ মাসে এসেছে ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার কিছু কম।
আমদানি বন্ধে আমদানি ও আবগারি শুল্কে ভাটায় শেষ দুই মাসে রাজস্ব আয় ৬০ হাজার কোটি টাকা নাও ছাড়াতে পারে। শুরুতে বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাস্তবে তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
অথচ বছরপ্রতি হিসাবে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। স্পষ্টতই রাজস্ব বোর্ডের এই পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। সরকারের এলসি নিয়ন্ত্রণে মার্চে আবগারি শুল্ক ৫১ শতাংশ কমেছে।
১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে দাঁড়িয়ে অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ শতাংশ। অবাস্তব এই লক্ষ্যমাত্রা সমালোচনার মুখে পড়লে এপ্রিলে এসে ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
বিবিএস এপ্রিলে খাদ্যমূল্যস্ফীতি দেখিয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। বিআইডিসির দেখাচ্ছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এভাবে প্রতিটি বাজেট প্রাক্কলিত সংখ্যার মান ভয়াবহ রকম প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান বাজেটের সংখ্যা এগুলোর অধিকাংশের ‘ভুলের মার্জিন ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি’। সরকারি তথ্যকে এ রকম হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে এবং নীতি বিপর্যয় ঘটছে একের পর এক।
বাংলাদেশকে ঠিক করতে হবে, নতুন বাজেট একই ধারার লোকরঞ্জনবাদী হবে কি না। দেখতে হবে নতুন বাজেটের ক্ষেত্রে সরকার বিভ্রান্তিমূলক তথ্যমুক্ত অর্থনৈতিক মডেলিং নির্ভর প্রাক্কলনের পথ ধরবে নাকি আগের মতো অবাস্তব তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে করবে।
টানা ২২ মাস উচ্চমূল্য স্ফীতির চাপে মানুষ পিষ্ট, টানা ২৬ মাস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্থিতির হারের অর্ধেকের চেয়ে কম।
এ অবস্থায় জ্বালানির দাম বাড়িয়ে, সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে, সার ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার জীবনযাত্রাকে কঠিনতম বাস্তবতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। নতুন বাজেট কি এ থেকে স্বস্তি দিতে পারবে? পারলে সেটা কীভাবে?
আইএমএফের চাপে ভর্তুকি বন্ধের গণবিরোধী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, বিপরীতে তাদের কাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তাব মানা হচ্ছে না।
অপখরচ ও বাজে খরচ না থামিয়ে, মানহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ না থামিয়ে ‘লো হ্যাংগিং ফ্রুট’ হিসেবে জনকল্যাণমূলক ব্যয় কমানোর পথ ধরায় জীবনযাপনের খরচ নির্বাহের ক্ষেত্রে মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে।
‘অপ্রমাণিত সক্ষমতার’ অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের মতো ‘রাজস্ব লিকেজ’গুলো কমিয়ে বাজেটের বোঝা কমানোর সুস্পষ্ট উদ্যোগ দরকার। মানুষের কষ্ট ও দ্রব্যমূল্য কীভাবে কমে আসবে, সেটাই বাজেটের প্রধানতম উদ্দেশ্য হোক। সে জন্য স্বল্প পরিচালনা ব্যয়ের, ছোট ঘাটতির ছোট বাজেট দরকার।
২০২৩ সাল শেষে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ৫ বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণ ও রিজার্ভের অনুপাত প্রায় সাড়ে ৩৪ শতাংশ কমেছে। (ডিসেম্বর, ’১৮ বৈদেশিক ঋণ বিপরীতে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৫৬.১ শতাংশ যা গত ডিসেম্বরে ২১.৭ শতাংশে নেমেছে)।
মোট পরিচালনা ব্যয় মোট রাজস্ব আয়ের অন্তত দেড় গুণ। রাজস্ব আয় দিয়ে পরিচালনা কুলাচ্ছে না, উল্টো ঋণ করতে হচ্ছে। সমুদয় বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প এডিপি চলছে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণে। এ রকম ঋণনির্ভরতা চরম অ-টেকসই।
তিন.
অর্থবছরের ১০ মাসে বাজেট বাস্তবায়ন ছিল ৪৯ শতাংশ মাত্র। অর্থবছরের শেষ মাসে তড়িঘড়ি অর্থছাড় করে কৃত্রিমভাবে বাজেট বাস্তবায়ন বাড়িয়ে দেখানো হয়।
গত ৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের সংখ্যাগত হার ৯০ শতাংশ থেকে আনুমানিক ৭৫ শতাংশে নেমেছে।
প্রকৃত বাস্তবায়ন ঢের কম। কাজের মান যাচাই অডিট, নিখুঁত রিপোর্টিং এবং কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট সাপেক্ষে অর্থ ছাড় হয় না বলে বাজেটের বাস্তবায়নে মান ও সক্ষমতা ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ।
চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ইনোভেশনে, অর্থ লুটের ধান্দায় প্রকল্প বাস্তবায়নের আধুনিক বৈশ্বিক জ্ঞানগুলো বাংলাদেশে হাহাকার করে।
আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের আধুনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ধারণা পশ্চাৎপদ। অর্থ চুরির ধান্দায় সফটওয়্যারভিত্তিক স্বচ্ছ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস’ আন-ওয়েলকামড। আগের বছরের বাজেট অর্ধেক বাস্তবায়ন করা না হতেই আসে নতুন বাজেট।
ভেতর থেকে ধ্বংস হওয়া দুটি খাত হচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। শিক্ষকদের দক্ষ না করে, পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরি না করে, শিক্ষা বাজেট সংকুচিত করে, শিক্ষককে প্রশিক্ষণ না দিয়ে একের পর এক নতুন কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়ে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন এবং ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। একদিকে চাকরির হাহাকার, অন্যদিকে দক্ষ প্রার্থীর দুর্ভিক্ষ।
চার.
নতুন বাজেটটি ‘ক্রাইসিস বাজেট’ বা সংকটকালীন বাজেট হওয়ার কথা। রিজার্ভ পতন ঠেকাতে আর্থিক খাত ও মুদ্রা সরবরাহের সংকোচন দরকার। এতে দ্রব্যমূল্য বাড়বে।
এ অবস্থায় সরকার ও জনপ্রশাসনের পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে সে অর্থ দিয়ে দরিদ্রদের সুরক্ষার জন্য জনকল্যাণমূলক খরচ বাড়ানোর নীতি দরকার।
সরকারকে যেকোনো মূল্যে উচ্চ ঘাটতি বাজেট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঘাটতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে, ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ নয়।
নতুন মন্ত্রিসভাকে জনপরিসরে স্বস্তি ফেরানোর জন্য নতুন ধারণা নিয়ে আসতে হবে। সরকারের ১০০, ২০০ বা ৩০০ দিনের জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ ছিল না। নিম্নবিত্তের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা এবং টিসিবির বাজেট বাড়ানো, রোগ নির্ণয়/চিকিৎসা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ, কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য নিশ্চিত, কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সুদ মওকুফ, এসএমইর বিকাশে সহজ ঋণ প্রকল্প—এসব উদ্যোগ লাখ করা যাচ্ছে না। বাজেটকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে।
অভ্যন্তরীণ ‘কর্মসংস্থান কৌশল’ বিষয়ে বড় পরিকল্পনা দরকার, বিদেশ যাওয়ার খরচ কমানোর উদ্যোগ জরুরি। প্রবাসী শ্রমবাজারের দক্ষতা উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ না করলে রেমিট্যান্স আয় টেকসই হবে না।
ভেতর থেকে ধ্বংস হওয়া দুটি খাত হচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। শিক্ষকদের দক্ষ না করে, পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরি না করে, শিক্ষা বাজেট সংকুচিত করে, শিক্ষককে প্রশিক্ষণ না দিয়ে একের পর এক নতুন কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়ে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন এবং ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
একদিকে চাকরির হাহাকার, অন্যদিকে দক্ষ প্রার্থীর দুর্ভিক্ষ।
লাখ লাখ আবেদনকারী, কিন্তু যোগ্য প্রার্থীর অভাব। এ অবস্থায় সরকার কীভাবে শিক্ষা এবং দক্ষতার কর্মকৌশল প্রণয়ন করবে, সেটা বাজেটে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতের নিজস্ব ব্যয় এবং বন্যা-ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রিক জলবায়ু দারিদ্র্য দেশের নতুন দারিদ্র্য তৈরির অন্যতম উৎস। বিগত বছরের স্বাস্থ্য খাতে মানুষের পকেট ব্যয় বেড়ে বহু পরিবার, যারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে ছিল তারা নিচে নেমে আসছে।
এ অবস্থায় সরকারের মাথাপিছু চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় সুবিধা তৈরির একটি রোডম্যাপ দরকার বাজেটে। সর্বোপরি, সরকারকে বেকারত্বের তথ্যভান্ডার বানাতে হবে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ত্রুটিপূর্ণ বেকারত্বের সংখ্যা সংখ্যা দিয়ে কর্মসংস্থান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা টেকসই করা যাবে না।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক।