ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থানে সমর্থন বাড়ছে

‘মূল ধারার গণমাধ্যম যেভাবে ইউক্রেন সংঘাতকে চিত্রিত করছে, বিশ্ব প্রতিক্রিয়া তার থেকে আরও বেশি ভিন্ন এবং আরও কম একরঙা।’ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে পড়েছে। যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সবচেয়ে নিশ্চিতভাবে এটি ‘ভাষ্যের যুদ্ধ’ হয়ে উঠেছে। এটি এখন ‘তথ্যের যুদ্ধে’ও পরিণত হয়েছে। কোনো একটা ঘটনায় আমরা কী শব্দ ব্যবহার করছি, সেটা অবশ্যই একটা বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু ‘যুদ্ধের’ ঘটনাপ্রবাহ বিশ্বের কূটনৈতিক অভিধানে এমন সব শব্দ যুক্ত করছে, যার অর্থ বুঝতে গেলে আমাদের একটা সংক্ষিপ্ত কোর্স করে নিতে হবে।

কেউ এটিকে বলছে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’। অন্যরা খুব সরলভাবে বলছেন, এটি ‘পুতিনের বেছে নেওয়া যুদ্ধ’, ‘প্ররোচনা ছাড়াই সামরিক আগ্রাসন’। আবার এখনো অন্যরা ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যে ঘটনাপ্রবাহের জন্ম দিয়েছে, সেটাকে বোঝাতে গিয়ে ‘সংঘাত’ শব্দটি ব্যবহার করছেন।

পশ্চিমা গণমাধ্যমে এমন শিরোনামে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান সেই মহাবিপর্যয়কে ঢেকে দেয় ছয় মাস আগে আফগানিস্তানে যা আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সব ক্ষোভ, উদ্বেগ তারা উগড়ে দিচ্ছিল। এমন প্রতিক্রিয়া আসছিল যে শক্তিশালী ‘বিশ্ব’ বোধ, একের পর এক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল রাশিয়া।

এক অর্থে এসব প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল যে ক্ষমতা কোথায় বাস করে, কোনো ঘটনা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বের অন্য প্রান্তে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতগুলোয় যে অসংখ্য নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের জন্য একটুও জায়গা ছিল না সেখানে।

ভারত জেগেছিল। দেরিতে। তারপরও নির্ভীকভাবে ‘বাকি বিশ্বের’ (বৈশ্বিক দক্ষিণ) আওয়াজকে সামনে নিয়ে এসেছে। পশ্চিমাদের স্নায়ুবিকার ও স্বকল্পিত পূর্ব-পশ্চিম সংঘাতের ধারণায় ছেদরেখা টেনে দিয়ে ভারত বলেছিল, ইতিহাস শেষ হয়ে যায়নি।
আরও অনেক বাস্তব সমস্যা ছিল। এ সমস্যা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত ছিল। কেননা, সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে আহত করছিল। কেননা দেশগুলোর আওয়াজকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছিল। প্রধান শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ’ অনিবার্য ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল।

ভারত পরিষ্কার করে বলেছিল যে এখন আর উপনিবেশ-উত্তর যুগের মতো বিশ্ব অসহায় ও দুর্বল নয়। ইউক্রেন সংঘাতে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছিল এবং এর ফলে একেবারে মৌলিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডায় যে আঘাত আসছিল, সেই বাস্তবতা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একত্র করেছিল। আজকের দিনের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় মৌলিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডায় আঘাত আসার মানেই হলো আগ্রাসন।

পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীর অতি উচ্চকিত প্রতিক্রিয়া এবং তাদের গণমাধ্যমের অবস্থানের কারণে এই সংঘাতে বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার অতি সূক্ষ্ম যে তারতম্য, সেটা চাপা পড়েছে।

পশ্চিমা প্রতিক্রিয়াকে ভিন্ন মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, অর্ধসত্য ও গালাগালি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ইউক্রেন নিয়ে এমনভাবে খবর পরিবেশন করছে যেন তাদের বিশ্লেষণ নিখুঁত ও নির্ভুল। সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া এবং আল-কায়েদার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার ব্যাপারে খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রেও তারা এমন নিখুঁত ও নির্ভুল ছিল!

বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার দিকে আমরা যদি নিবিড় দৃষ্টি দিই, তাহলে দেখব যে বিশ্ব যেমন ‘রাশিয়াকে বাতিল’ করার প্রকল্প গ্রহণ করেনি, আবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর পদক্ষেপ রাশিয়া যা করতে চায়, তা ঠেকাতে কোনো ভূমিকা রাখছে না—এমন অবস্থানও গ্রহণ করেনি।

পশ্চিম ও বাকি বিশ্ব কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে বিশ্ব আবার ভাগ হয়ে যাক, এ রকম কোনো কিছুর জন্য বিশ্ব এখন প্রস্তুত নয়। জাতিসংঘে এ–সংক্রান্ত যেসব ভোটাভুটি হয়েছে, সেখানে এই ধারণারই প্রমাণ মিলছে। ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সময়টা ছিল বৈশ্বিক দক্ষিণের জন্য তাদের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন প্রকাশের উপযুক্ত সময়।

মূল ধারার গণমাধ্যম যেভাবে ইউক্রেন সংঘাতকে চিত্রিত করছে, বিশ্ব প্রতিক্রিয়া তার থেকে আরও বেশি ভিন্ন এবং আরও কম একরঙা। পশ্চিম স্বাভাবিক আন্তরাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে অস্ত্র করে তুলতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের চোখে রাশিয়াকে শয়তান বানাতে সক্ষম হয়নি। ‘বৈশ্বিক পথ’কে শীতল যুদ্ধের সময়কালের ‘হয় তুমি আমার পক্ষে, নাহয় বিপক্ষে’ পথরেখায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।

গণতান্ত্রিক বিশ্বের সবচেয়ে গরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনা ন্যাটোর পক্ষে অবস্থান নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার প্রায় সব কটি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিতে বিরোধিতা না করতে পারলেও, অন্তত অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। এ তিন মহাদেশে যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে, তারা পশ্চিমের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু অথবা জোটভুক্ত দেশ।

জাতিসংঘে অনৈক্য

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জাতিসংঘের মূল প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করলে বৈশ্বিক মতামতের জটিল পরিস্থিতিটা বুঝতে পারা যায়। কূটনৈতিক গোলকধাঁধা, জাতীয় অবস্থানে ভেলকিবাজি, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক—এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে দেশগুলো কীভাবে তাদের নিজেদের পথ তৈরি করে নিচ্ছে, সেটাও বোঝা যায়।

জাতিসংঘে ওঠা এসব প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে যে ভোটাভুটির ধরন, তা থেকে এ ইঙ্গিত স্পষ্ট যে রাশিয়াকে অন্ততপক্ষে জাতিসংঘের মধ্যে ‘একঘরে’ করে ফেলা সম্ভব নয়।

২০২২ সালের ২ মার্চ আনা প্রথম প্রস্তাবটিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব তোলা হয়। সে সময় ক্ষোভ ও আবেগ দুইই ছিল চড়া। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি, বিপক্ষে ৫টি (বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিথ্রিয়া, রাশিয়া ও সিরিয়া)। তবে ৩৫টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে, যেটা বৈশ্বিক মনোযোগের কারণ হয়েছিল। ভোট দানে বিরত থাকা দেশগুলো পদ্ধতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, চীন ও রাশিয়া থেকে বের হয়ে আসা মধ্য এশিয়ার দেশগুলো ছিল। এক বছর পর যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে আনা একই ধরনের প্রস্তাবের পক্ষে ১৪১টির বেশি দেশকে আনা সম্ভব হয়নি।

২০২২ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে আরও বিভক্তি দেখা গেল। এ প্রস্তাবের পক্ষে উপস্থিত দেশগুলোর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই-তৃতীয়াংশ বা ৯৩টি দেশ ভোট দিলেও, বাস্তবতা হলো ৫৮টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। এই যে যারা বিরত ছিল, তারা কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ‘উচ্ছন্নে যাওয়া’ দেশগুলোর শিবির নয়।

ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, কাতার, কুয়েত, ইরাক, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার মতো দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। ২৪টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। ফলে ৯৩টি দেশ যেমন রাশিয়াকে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বের করে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়, আবার ভোট না দেওয়া দেশের মোট সংখ্যা ছিল ৮২টি।

২০২২ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়াকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বানে আনা প্রস্তাবে বিশ্ব মতামত আরও বিভক্ত হয়ে পড়ে। ৯৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট দেয় ১৪টি দেশ। আর ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৭৩টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

আরও পড়ুন

অতীত রেকর্ড থেকে দেখা যায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোট সত্যিকার অর্থে কোনো ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থনের কিংবা কোনো একটা দেশকে একঘরে করে দেওয়া কিংবা দেশটির আন্তর্জাতিক অবস্থান মাপার ব্যারোমিটার হতে পারে না। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের বিপক্ষে আনা প্রস্তাবে সদস্য দেশগুলোর উপচে পড়া সমর্থন থাকার পরও ইসরায়েল-আরব বিরোধের সমাধান যেমন হয়নি আবার ইসরায়েলকে একঘরে করে ফেলাও সম্ভব হয়নি।

উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক একটা দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যাক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গাজায় ‘মানবিক কাজের জন্য আশু অস্ত্রবিরতি’ প্রস্তাবে ১৫১টি দেশ ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু এই ভোট কিংবা আগের প্রস্তাবগুলোয় ইসরায়েলের বিপক্ষে দেওয়া ভোট, ইসরায়েলের সঙ্গে অন্য দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। ইসরায়েলের সঙ্গে অন্য দেশগুলো সম্পর্ক রাখে দেশটির ন্যায় ও অন্যায়কে অগ্রাহ্য করেই।

এটা যুদ্ধের যুগ নয়

বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার সারসংশ্লেষণ করার চেয়ে বরং ভালো হয় ২০২২ সালে সমরখন্দে সাংহাই কো–অপারেশন সম্মেলনে (এসসিও) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনের উদ্দেশে যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটা বিবেচনায় নিলে। নরেন্দ্র মোদির সেই মন্তব্যকে দুই পক্ষই স্বাগত জানিয়েছিল। মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়।

রাশিয়ার বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, এই বিবেচনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভোট দানে বিরত থেকেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বরাবরই বিভক্ত অবস্থান নিয়েছে। ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ন্যায় ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় চারটি দেশ (আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ), বিরত থাকে চারটি দেশ (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা)

গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে যুদ্ধ

এই সংঘাত শুরুর এক মাসের মধ্যে ২০২২ সালের মার্চে পোল্যান্ডে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিকে গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যকার সংঘাত হিসেবে চিত্রিত করেন। যদিও এর আয়ুষ্কাল ছিল সংক্ষিপ্ত। এই একের বিপরীতে অন্যকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। এইভাবে চিত্রিত করার প্রচেষ্টা বিশ্বে ক্ষোভের জন্ম দেয়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল থেকেই বিরোধিতা আসে।

মূল ধারার রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ইউক্রেন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আজ হামাসের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় যা করছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন নৈতিক সংকটে পড়েছে।

উপসংহার

মূল ধারার গণমাধ্যম যেভাবে ইউক্রেন সংঘাতকে চিত্রিত করছে, বিশ্ব প্রতিক্রিয়া তার থেকে আরও বেশি ভিন্ন এবং আরও কম একরঙা।

পশ্চিম স্বাভাবিক আন্তরাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে অস্ত্র করে তুলতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের চোখে রাশিয়াকে শয়তান বানাতে সক্ষম হয়নি। ‘বৈশ্বিক পথ’কে শীতল যুদ্ধের সময়কালের ‘হয় তুমি আমার পক্ষে, নাহয় বিপক্ষে’ পথরেখায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আফগানিস্তান সংকট এবং এ রকম আরও অনেক বিষয় গণমাধ্যমের শিরোনাম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সংবাদ পরিবেশনে দ্বিচারিতার চাক্ষুষ প্রমাণ দেখা যাচ্ছে।

ইউক্রেন সংঘাতে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জড়ো হচ্ছে। কূটনীতি ও সংলাপ ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে এই সংঘাতের হাওয়া বদলে দিতে হবে।

  • পঙ্কজ সরণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপ-উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার  

ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনুবাদ করেছেন: মনোজ দে