‘এত টাকা কই পাও’, প্রশ্নটি স্ত্রী–সন্তানেরা করেন কি

বাংলাদেশটি কি এমন দেশে পরিণত হয়েছে যেখানে দুর্নীতিবাজদের আর ঘৃণার চোখে দেখা হয় না, অসৎ কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে অসৎদের রক্ষায় নেমেছেন, সৎ কর্মকর্তারা সেখানে কোণঠাসা। লিখেছেন রাজীব আহমেদ

সারিসুরি গ্রামে সবচেয়ে বড় চোরের নাম রুইতন। গ্রামে তাঁর মর্যাদা বেশি। কারণ, অন্যরা যেখানে গ্রামের মানুষের গৃহস্থালি নানা সামগ্রী চুরি করে, সেখানে রুইতন চুরি করেন শহরে গিয়ে; মুঠোফোন, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। চুরিকে উন্নতির নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ায় তরুণ চোরেরা, যুবক চোরেরা, মুরব্বি চোরেরা তাঁকে সমীহ করেন।

সাকিন সারিসুরি বাংলাদেশের একটি ধারাবাহিক নাটকের নাম। লিখেছেন বৃন্দাবন দাস। পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু। যে কল্পিত সারিসুরি গাঁয়ের ওপর ভিত্তি করে নাটকটি লেখা, সেটি চোরদের গ্রাম।

সবাই যেখানে চোর, সেখানে চোরদের কেউ ঘৃণার চোখে দেখে না। চোরের সঙ্গে চোরের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়। এক চোর পরিবার চোখে ডলে দেওয়ার মলম তৈরি করে, অন্য চোর পরিবার তা ব্যবহার করে। এক চোর বিপদে পড়লে আরেক চোর এগিয়ে আসে।

কখনো কখনো মনে হয়, পুরো বাংলাদেশটি কি সারিসুরিতে রূপ নিচ্ছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের আর ঘৃণার চোখে দেখা হয় না, যেখানে চোরদের আর কেউ চোর বলে না? পুরো বাংলাদেশটি কি সারিসুরিতে রূপ নিচ্ছে, যেখানে অসৎ কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে অসৎদের রক্ষায় নেমেছেন, সৎ কর্মকর্তারা সেখানে কোণঠাসা।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশটি কি সারিসুরিতে রূপ নিচ্ছে, যেখানে ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের কদর বেশি, তাঁরা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সংস্থাগুলোর নীতিনির্ধারণে নিয়োজিত?

আজ স্ত্রী প্রশ্ন করেন না, তাঁর স্বামী এত টাকা কোথায় পান। সন্তানেরা প্রশ্ন করে না, তাদের বাবা অথবা মায়ের এত এত অর্থবিত্তের উৎস কী। আত্মীয়েরা দুর্নীতিবাজ স্বজন থেকে দূরত্ব বজায় রাখে না। দুর্নীতিবাজ ভাইয়ের সঙ্গে সখ্য রাখতে অন্য ভাইদের কোনো অসুবিধা হয় না। বন্ধুরা আর মুখের ওপর বলে দেয় না, ‘তোর...চোর।’

কেউ কি আর বলেন ‘ওই ঘুষখোরের সন্তানের সঙ্গে আমার ছেলে/মেয়ে বিয়ে দেব না’? কেউ কি আর বলেন ‘ঘুষ খেতে হবে, তাই সরকারি চাকরি করব না’? নাকি যেকোনো মূল্যে একটি সরকারি চাকরি পেতে মুখিয়ে থাকেন তরুণেরা?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ভেতরকার যে প্রতিরোধ, সামাজিক যে প্রতিরোধ, তা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। আর বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে গেছে এখানেই। এখন সবার লক্ষ্য একটাই, যেকোনো উপায়ে টাকা কামানো; ধর্ম, নীতিনৈতিকতা, বিবেক—কোনো কিছুই তা থামাতে পারছে না।

দুর্নীতি প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে অনেকটা কাগুজে বাঘ করে রাখা হয়েছে। তাদের চেষ্টা অনেকটা বাতাসে ফাঁদ পেতে বালু ধরার মতো। তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সব মিলিয়ে দুর্নীতি করে একশ্রেণির মানুষ বিপুল টাকার মালিক হচ্ছে। দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে। একশ্রেণির কাছে আড়াই হাজার টাকা কেজিতে ইলিশ কেনার জন্য অর্থের অভাব নেই, আরেক শ্রেণি পুরো পরিবারের জন্য একটি ডিম কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন পিৎজার দোকানে, কাচ্চির দোকানে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে, একই সঙ্গে কিছুটা কম দামে চাল-ডাল কিনতে লাইন ধরছে মানুষ।

আরও পড়ুন

দুর্নীতির প্রজননকেন্দ্র

রাষ্ট্রের জন্য অপরাধের বিচার না হওয়া সমস্যা। কিন্তু একটি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়, যখন মানুষ আর অপরাধের বিচার চায় না।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) সাবেক চেয়ারপারসন ডেলিয়া ফেরেইরা রুবি বলেছিলেন, ‘মানুষের উদাসীনতাই দুর্নীতির সবচেয়ে ভালো প্রজননক্ষেত্র।’ মনে হচ্ছে, পারিবারিক প্রতিরোধ ও সামাজিক প্রতিরোধ ভেঙে পড়ায় পুরো বাংলাদেশ দুর্নীতির প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া সদস্য মো. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানেরা, দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তান কি কখনো প্রশ্ন করেছিলেন, মতিউরের এত সম্পদের উৎস কী? তাঁরা কি কখনো তাঁদের নামে জমি কেনা, প্রতিষ্ঠান গড়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন? মতিউরের ভাইয়েরা কি গ্রামে বিপুল ব্যয়ে বাড়ি করার টাকার উৎসের খোঁজ নিয়েছিলেন?

স্পষ্ট যে তাঁরা কিছুই করেননি। বরং আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখি, মতিউরের মেয়ে কানাডায় খুব অভিজাত জীবনযাপন করছেন। বিপুল দামের গাড়ি নিয়ে ফটোসেশন করছেন।

মতিউরের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে একটি ছাগলের বায়না করছেন ১২ লাখ টাকায়। ছাগল-কাণ্ড সামনে আসার পর পিতা নিজের পিঠ বাঁচাতে সরাসরি ছেলেকে অস্বীকার করছেন।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জা কি একবারও স্বামীকে বলেছিলেন, ‘এত জমি কেনা ও ফ্ল্যাট কেনার টাকা তুমি কই পাও?’ বেনজীরের মেয়েরা কি বলেছিলেন, আমাদের নামে এত সম্পদ কোত্থেকে আসছে? স্পষ্ট যে তাঁরা জানতে চাননি। আজ গণমাধ্যমে তাঁদের নাম আসছে, দুদক তাঁদের অনুসন্ধানে ডাকছে।

পরিবার থেকে যদি কেউ বাধা দিত, তাহলে তাঁকে অন্তত দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতো না। দেশ ছাড়তে হতো না।

সবার চুল ‘কালো’

মতিউরের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে গিয়েছিলেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন। চায়ের দোকানে আগবাড়িয়ে দুই ব্যক্তি তাঁকে বললেন, মতিউর সাহেব অনেক ভালো মানুষ। শুধু শুধু তাঁর নামে বদনাম করা হচ্ছে। আরেকজন বলেন, ‘সবার মাথার চুলই তো কালো!’

আসলেই এই বাংলাদেশে এখন সবার মাথার ‘চুল কালো’। তাই যাঁর মাথার চুল সবচেয়ে বেশি ‘কালো’, তিনিই সবচেয়ে মর্যাদার অধিকারী। যেমনটা দেখা যায় সারিসুরি গাঁয়ে। সবচেয়ে বড় চোর রুইতন সবচেয়ে বেশি সমীহ পান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৩ সালে তাদের ‘আইনের শাসন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি সেবা পেতে কোনো ধরনের উপরি দেওয়াকে অগ্রহণযোগ্য মনে করে ইইউভুক্ত দেশগুলোর ৮৩ শতাংশ মানুষ। মানে দেখা যাচ্ছে, ঘুষ দিয়ে কাজ করানোকে তাঁরা অপছন্দ করেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে কম দুর্নীতির দিক দিয়ে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৬টিই ইইউভুক্ত। বাকি দেশগুলোও ভালো অবস্থানে রয়েছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে ঘুষ দেওয়াকে কত শতাংশ মানুষ অগ্রহণযোগ্য মনে করেন, তা নিয়ে কোনো জরিপের খোঁজ পাইনি। টিআইয়ের দুর্নীতির ধারণা সূচকে (২০২৩) সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে।

ঘুষ না দিয়েও মানুষের উপায় কী! সহজে সেবা পেতে ঘুষ দিতেই হয়। টিআইবি ‘সেবা খাতে দুর্নীতি; জাতীয় খানা জরিপ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানায়, করোনার বছর ২০২১ সালে দেশের একেকটি খানার গড় ‘ঘুষ ব্যয়’ দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা। ২০২১ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এটা শুধু ঘুষ, প্রকল্পের টাকা, অনুন্নয়ন ব্যয়ের টাকা আত্মসাৎ, এসবের মধ্যে পড়বে না।

রাষ্ট্র, দল কী করছে

রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুদক নখদন্তহীন বাঘ। এ কথা খোদ দুদকের চেয়ারম্যানের পদে থাকার সময় দুই দফা বলেছিলেন গোলাম রহমান। সংস্থাটিকে নিয়ে বেশি আলোচনা সমীচীন নয়, কারণ, রোগ অন্য জায়গায়। ক্যানসারের রোগীকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা দিয়ে ফল হয় না।

দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হয়। বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক সরকারের আমলেই তার ঘাটতি দেখা গেছে। সামরিক আমলে তো দুর্নীতির বীজ বুনে তাতে নিয়মিত পানি ও সবুজ সার দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেছিল। প্রথমটি ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দ্বিতীয়টি ছিল ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা’। আওয়ামী লীগ বলেছিল—

১. দুদকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে শক্তিশালী করা হবে।

২. দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

৩. ক্ষমতাধরদের বার্ষিক সম্পদ বিবরণ দিতে হবে।

৪. রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরের ঘুষ, দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয়, ঋণখেলাপি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কালোটাকা ও পেশিশক্তি প্রতিরোধ ও নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. প্রতি দপ্তরে গণ-অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নাগরিক সনদ উপস্থাপন করা হবে।

৬. সরকারি কর্মকাণ্ডের ব্যাপকভাবে কম্পিউটারায়ণ করে দুর্নীতির পথ বন্ধ করা হবে।

আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায়। এ সময়ের পর আইন সংশোধন করে দুদকের ক্ষমতা বাড়ানো হয়নি, বরং নানাভাবে কমানো হয়েছে। দুর্নীতি কমেছে কি না, সেটা মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, দুর্নীতি সরকারের সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। সরকার বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। তারপরও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দুর্নীতিবিরোধী বিধি-বিধানকে বরং আরও নমনীয় ও শীথিল করে দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি না কমলেও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ শব্দ খরচ কমিয়েছে। দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদে ২০০৮ সালে তারা ব্যবহার করেছিল ৭১টি শব্দ। এবার ব্যবহার করেছে ৪৯টি।

আওয়ামী লীগ এবার আর দুদককে শক্তিশালী করার কথা বলেনি। সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা নেই। জোরালো শব্দের ব্যবহার নেই। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, স্থানীয় নেতাদের পাত্তা না দিয়ে সম্পদশালীদের দলের পদ ও মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কে জানতেন। আওয়ামী লীগ নেতারা জানতেন না, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি পদ পেয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদেও গেছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন আলোচিত মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজ। দলের পদও তিনি পেয়েছেন।

আমরা কি দুর্ভিক্ষপীড়িত

বরিশালে জন্ম নেওয়া ভারতের প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা তপন রায়চৌধুরী তাঁর আত্মজীবনী বাঙালনামায় লিখেছেন, ৪৩-এর মন্বন্তরের (১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ) সময় বিপুল দামে কালোবাজারিরা চাল বিক্রি করেছিল। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ এতটাই নির্জীব হয়ে পড়েছিল যে তাদের চোখের সামনে কালোবাজারি চললেও সবাই ছিল নিষ্ক্রিয়। পূর্ব বা পশ্চিমবঙ্গের কোথাও একটি চালের দোকান লুট হয়নি।

আমরা কি এখন মানসিক দুর্ভিক্ষপীড়িত, যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমস্বরে আওয়াজ তোলার অবস্থায় নেই? নাকি তপন রায়চৌধুরীর কথাই সত্য। তিনি বাঙালনামা বইয়ের শেষ অধ্যায়ে লিখেছেন, ‘...আমার প্রস্তাব আমাদের জনগণের নতুন স্লোগান হোক—“পাপিষ্ঠগুষ্ঠি জিন্দাবাদ, অপাপিষ্ঠরা নিপাত যাক”। আর আমাদের (ভারতের) নতুন জাতীয় সংগীত হোক—

“আমরা সবাই ছ্যাঁচোর

আমাদের এই চোরের রাজত্বে

নইলে মোরা চোরের সনে

মিলব কী স্বত্বে।”’

কথাটা তপন রায়চৌধুরী বলেছিলেন তাঁর নিজের দেশকে নিয়ে।

  • রাজীব আহমেদ প্রথম আলোর ডেপুটি হেড অব রিপোর্টিং (অনলাইন)