প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস কি বন্ধ হবে না

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণাদি অনলাইনে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাষ্য কি? তারা কি নতুন করে পরীক্ষা নেবে নাকি এভাবে লাখ লাখ বেকারের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করবে? আর কত বেকারদের সঙ্গে তামাশা করবে?

প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করা হোক। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া না হলে ধরে নিব যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশার জন্য আবেদন করে কোনো লাভ নেই। কারণ প্রতিবারই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে; কিন্তু এর কোনো সুরাহা হয় না।

এভাবে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি আমরা ধরে নিব সবকিছু ক্ষমতা এবং টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে? একে তো বাংলাদেশ বেকারত্ব উৎপাদনের অন্যতম কারখানা, তার ওপর প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বেকারত্ব গোছানো কোনোভাবেই সম্ভব না।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এবং ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি বা ব্যাংক সেক্টরে নিয়োগ পরীক্ষা যদি স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে, তাহলে প্রাইমারি বিদ্যালয়সহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় তেমনটি কেন হয় না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কেন স্বচ্ছতা আনয়নে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষগুলো? এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিহাব উদ্দীন
পাঠক