মোগল বাদশাহ হুমায়ুন এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশটি কার্যকর হবে হাতির পায়ের তলায় তাঁকে পিষ্ট করে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন মানুষ। অপরাধীর মাথা মাটিতে চেপে ধরে হাতিকে নির্দেশ দেওয়া হলো। হাতি বিশাল পা তুলল বটে কিন্তু তা আর কিছুতেই সেই ব্যক্তির ওপর নামাল না। দণ্ডিত ব্যক্তি বেঁচে গেলেন, তবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো মাহুতের।
সবাই বিস্মিত হলেও কারণটা ধরতে পেরেছিলেন হাতিপ্রেমী বাদশাহ। জানা গিয়েছিল, দণ্ডিত ব্যক্তির সঙ্গে মাহুতের সুসম্পর্ক ছিল। মাহুতের দেওয়া গোপন সংকেতে পা তুলেও শেষ সময়ে আর সেটি নামায়নি হাতি। অর্থাৎ সেকেন্ডের ব্যবধানেও হাতি মাহুতের নির্দেশ গ্রহণ করতে পারে। শুধু বিশাল বপুর হাতি নয়, অনেক বন্য প্রাণীই মানুষের অনুগত হয়। কখনো যত্নে, কখনো চাবুকে।
আবার বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণনাশের খবরও প্রায়ই পাওয়া যায়। এসব হাতি কখনো খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসে, কখনো পাহাড় থেকে নেমে ফসলের খেত নষ্ট করে। তখন দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু অনুগত হাতির আক্রমণে মৃত্যুর খবরে আমরা অবাক হয়েছি। তা–ও আবার নিহত ১৭ বছরের জাহিদ ওই হাতির মাহুতেরই ছেলে। যে নিজেও মাহুত হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। আশ্চর্য যে জাতীয় চিড়িয়াখানায় থাকা পাঁচটি হাতির মধ্যে সবচেয়ে শান্ত হাতিটি হচ্ছে ‘রাজা’। রাজার এই চারিত্রিক সনদ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৌখিকভাবে পাওয়া।
১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় হাতি রাজার আক্রমণে প্রাণ হারায় জাহিদ। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার উপায় নেই। কেননা ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত অন্য হাতির মাহুতও স্পষ্টভাবে ব্যাপারটি বুঝে উঠতে পারেননি।
আসুন ১১ এপ্রিল চিড়িয়াখানায় রাজা নামের হাতির আক্রমণের ঘটনার এক দিন আগের একটি খবর পড়ি। ১০ এপ্রিল প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম ‘রাজধানীতে হাতির পায়ে চাপা পড়া রিকশাচালকের মৃত্যু’।
৩ এপ্রিল রাজধানীতে চাঁদা তোলার কাজে ব্যবহৃত হাতির পায়ে চাপা পড়েছিলেন ৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক হেলাল মিয়া। সেদিন সন্ধ্যায় হাজারীবাগের বিজিবি ১ নম্বর গেটের কাছে হাতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালক হেলালকে পায়ের নিচে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত এই রিকশাচালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ১০ এপ্রিল।
এই সংবাদ উল্লেখ করার কারণ, চিড়িয়াখানায় আক্রমণকারী রাজা হাতির প্রসঙ্গ। রাজার কুষ্ঠিবিচারের ক্ষমতা আমাদের নেই কিন্তু কিছুটা অতীত জানা প্রয়োজন। চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে হাতির আক্রমণের পর একাধিকবার কথা হয়। তিনি জানান, রাজা নামের হাতিটি চিড়িয়াখানায় এসেছে ২০১৮ সালে। রাজধানীতে চাঁদা তোলার সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে দুটি হাতি আটক করা হয়েছিল, এরই একটি এই রাজা।
চাঁদা তোলার মতো অপ্রিয় কাজের স্মৃতি শান্ত রাজার মনে আছে কি না, তা রাজাই জানে। তবে যে বন্য প্রাণী মাহুতের কথা শুনে শেষ সময়েও শূন্যে তুলে রাখা পা নামানো থেকে বিরত থাকতে পারে, সেটি সংবেদনশীল সন্দেহ নেই। এর আরেকটি প্রমাণ এই চিড়িয়াখানার কাজলতারা নামে আরেক হাতির ঘটনা। যেটি সম্পর্কে গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। রাজার আক্রমণের পর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানা গেল ঘটনাটি।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তাকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরেছিল কাজলতারা। জাকির হোসেন নামের ওই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল তিনি কাজলতারাকে বারবার কলার মোচা খাওয়াতে চাইছিলেন। কয়েকবার সাধার পর নয়নতারা নিজেই ঘুরে দাঁড়িয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কর্মকর্তা আবার ঘুরে ওর সামনে গিয়ে খাবার ধরতেই তাঁকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরেছিল কাজলতারা। তবে হাতিটি নিজে থেকেই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।
অপকর্মের পর কাজলতারার আর বিচার কী হবে, বেচারা নিজেই মুষড়ে যায়, দুই দিন পর্যন্ত কোনো খাবার খায়নি। তৃতীয় দিন থেকে সে একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়। এরপর সেই কর্মকর্তা আবার ওর কাছে গেলে সে স্বাভাবিক আচরণ করে এবং তাঁর হাত থেকে খাবার নেয়।
এদিকে ঈদুল ফিতরের দিন আক্রমণ করে জাহিদকে হত্যার পর রাজার আচরণ কেমন, জানতে চাওয়া হয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা বলে, রাজার আচরণে কোনো পরিবর্তন নেই। সে সামান্য অনুতপ্ত হয়েছে বলে মনে হয় না। স্বাভাবিক আছে তখন থেকেই। খাওয়াদাওয়া সবই স্বাভাবিক।
হাতির মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত জটিল ব্যাপার, তবে সেটি আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান বলেন, একজন মানুষ যদি একটি ঘরে দিনের পর দিন আটকে থাকেন, তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন হবে? সেখানে একটি বন্য প্রাণীকে খাঁচায় আটকে রাখলে সেটির ক্ষিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক। অচেনা মানুষকে আক্রমণ করবে, তা অস্বাভাবিক নয়। এ জন্য চিড়িয়াখানায় রাখা বন্য প্রাণীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। সেগুলো যেন বিরক্ত না হয়, খাবার ঠিকমতো পায়, প্রাণীগুলোর থাকার জায়গা যেন যথেষ্ট প্রশস্ত হয়—এমন অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যাতে এসব প্রাণী শান্ত থাকে। দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের চিড়িয়াখানাগুলো হচ্ছে অব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত উদাহরণ। সেখানে একজনও বন্য প্রাণিবিদ নেই।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্য প্রাণিবিদ আলাদা করে প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। পশুচিকিৎসক এবং পশুপালনবিদ যাঁরা আছেন, তাঁদের বন্য প্রাণী পালন নিয়ে কোর্স করা আছে।’
মাহুত অথবা হাতি পরিচর্যাকারী ব্যক্তি ছাড়া বাইরের একজন হাতির কাছে কীভাবে গেল, তা কর্তৃপক্ষের জানার কথা। না জানলে তা জানার চেষ্টা করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই চেষ্টা যেমন হয়নি, তেমনি আমাদের সবারই জানা আছে, জাতীয় চিড়িয়াখানার অব্যবস্থাপনা, আধুনিকায়ন না হওয়া নিয়ে অভিযোগ পুরোনো। চিড়িয়াখানার খবর হয় প্রধানত তিনটি প্রসঙ্গে—ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা, কোনো প্রাণীর মৃত্যু আর নতুন কোনো বাঘ বা সিংহশাবকের জন্ম নিয়ে।
১১ এপ্রিলের ঘটনা নিয়ে রফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন, ‘সেদিনের ঘটনায় চিড়িয়াখানায় কোনো অব্যস্থাপনা ছিল না। ছিল মাহুতের অসচেতনতা। হাতি মাহুতকে চেনে কিন্তু তাঁর ছেলেকে চেনে না। সে কেন ভেতরে প্রবেশ করল? ওই সময় সে হাতিটিকে কোনোভাবে বিরক্ত করেছে কি না, তা আমরা জানি না। শুনেছি, ছেলেটি হাতির কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে চেয়েছিল।’
মাহুত অথবা হাতি পরিচর্যাকারী ব্যক্তি ছাড়া বাইরের একজন হাতির কাছে কীভাবে গেল, তা কর্তৃপক্ষের জানার কথা। না জানলে তা জানার চেষ্টা করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই চেষ্টা যেমন হয়নি, তেমনি আমাদের সবারই জানা আছে, জাতীয় চিড়িয়াখানার অব্যবস্থাপনা, আধুনিকায়ন না হওয়া নিয়ে অভিযোগ পুরোনো। চিড়িয়াখানার খবর হয় প্রধানত তিনটি প্রসঙ্গে—ছুটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা, কোনো প্রাণীর মৃত্যু আর নতুন কোনো বাঘ বা সিংহশাবকের জন্ম নিয়ে।
কিন্তু চিড়িয়াখানার ভেতর প্রাণীর প্রজননব্যবস্থা কেমন, বছরে কয়টি নতুন প্রজাতির পশুপাখি আনা হলো, সেগুলোর খাবারের মান, থাকার জায়গার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আলোচনা খুব বেশি গুরুত্ব পায় না। অব্যবস্থাপনার আরেকটি উদাহরণ—গত জুনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় হায়েনার কামড়ে দুই বছরের এক শিশুর কনুই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা। তখন শোনা গিয়েছিল, নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে চলে গিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু সে কেমন করে এটা অতিক্রম করতে পারল, তখন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তাকর্মীরা কোথায় ছিলেন—এসব নিয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এবার আসি দর্শনার্থীরা কী দেখে আসেন এবং কী দেখতে পারতেন, সে প্রসঙ্গে। মিরপুরে ১৮৭ একরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৩৭টি খাঁচায় প্রায় দেড় শ প্রজাতির সাড়ে তিন হাজার প্রাণী আছে। প্রতিটি উৎসবের ছুটিতে গণমাধ্যমে আমরা পড়ি, লাখ লাখ দর্শনার্থী এসেছেন। কিন্তু কখনো চোখে পড়ে না, এই চিড়িয়াখানার পশুপাখির ওপর গবেষণা করে প্রাণিবৈচিত্র৵ সংরক্ষণ নিয়ে কোনো গবেষণার কাজ হয়েছে। প্রজনন নিয়ে নতুন কোন তথ্যটি পাওয়া গেছে। অথবা এতসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি খাঁচায় আটকানো বন্য প্রাণীটির জন্য আদৌ সহনশীল কি না, এসব প্রসঙ্গ।
চিড়িয়াখানা হয়ে গেছে শুধু একটি প্রদর্শনীর স্থান। তা–ও সেটি অন্ধের হস্তীদর্শনের মতোই ব্যাপার। কেননা এখানে কোনো পশুপাখি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া নেই। ফলে দর্শনাথীদের এখানে গিয়ে প্রাণী সম্পর্কে জানার সুযোগ খুব কম থাকে। মা–বাবার সঙ্গে ঘুরে এসে শিশুরা দুই হাত প্রশস্ত করে দেখায়, জিরাফটার গলা এত লম্বা আর হাতিটার পেট ইয়া মোটা। কিন্তু ওই প্রাণীগুলো কী খায়, কী করতে পছন্দ করে বা কোথা থেকে সে এসেছে—এসব সম্পর্কে জানার আগ্রহ চিড়িয়াখানা থেকে শিশুদের তৈরিও হয় না। এ সুযোগ এত বছরেও তৈরি করতে পারেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে চিড়িয়াখানা বিল ২০২৩ পাস হয়েছে। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আধুনিকায়নের জন্য দুটি আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার জন্য পৃথক এই বরাদ্দের মোট সম্ভাব্য ব্যয় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু তা কত দিনে হবে? অথবা হলেই–বা তা কতটা কার্যকর হবে বলা কঠিন। ঈদ বা ছুটির দিনগুলোতে যে পরিমাণ দর্শনার্থীকে চিড়িয়াখানায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়, তা মনে হয় বিশ্বের কোনো জায়গায় দেখা যায় না। অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির টাকা তুলতে এক দিনে হাজার হাজার মানুষ ঢুকতে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানায়। এটি কোনোভাবেই প্রাণিবান্ধব নয়।
১১ এপ্রিল হাতির কাছ থেকে জাহিদ বল কেড়ে নিতে চেয়েছিল—এমন শোনা যায়। কিন্তু মানুষ বন্য প্রাণীকে খাঁচার পুরতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে কী কেড়ে নিয়েছে, তা–ও কি ভাবার প্রয়োজন নেই? ভালোবাসা পেলে বন্য হাতিও যে কতটা প্রিয় হতে পারে, এর একটি উদাহরণ হতে পারে ফুলকলির গল্পটি।
১৯৯০ সালে ফুলকলি নামের হাতিটি মারা যায়। ৩৪ বছর পর এসেও ফুলকলির স্মৃতি মনে রেখেছে মানুষ। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে পার্বত্য জেলার সঙ্গে শহরের যোগাযোগের সড়কপথ এখনকার মতো ছিল না।
যোগাযোগের সুবিধার্থে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক একটি হাতি এনেছিলেন খাগড়াছড়ি শহরে। আদর করে, ভালোবেসে সেই হাতিকে তিনি ডাকতেন ‘ফুলকলি’ বলে। ফুলকলির পিঠে বসে তিনি ভ্রমণ করতেন বিভিন্ন জায়গায়। হাতিটি মারা গেলে সেটিকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। সেখানে লেখা হয়েছিল ফুলকলির নাম। সেই সমাধি এখনো আছে।
ভালোবাসার নজরানা শুধু নিয়ম মেনে পেট পুরে খাওয়ানো আর গোসল করানোতে হয় না। আমাদের দৃষ্টিনন্দনের জন্য যে বন্য প্রাণীগুলোকে খাঁচায় রাখা হয়, সেগুলোর স্বাভাবিক জীবন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেই আবদ্ধ করা হয়। তাই সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার কথা মনে রাখা প্রয়োজন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। নাহলে কখনো শুনব আমরা কিডনির অসুখে রণবীর নামের বাঘের মৃত্যুর খবর অথবা রাজা নামের হাতির আক্রমণের খবর।
সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক