ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একেবারে শেষ দিকে আপনি বাংলাদেশে এসেছেন। আন্দোলনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রানা ফ্লাওয়ার্স: বাংলাদেশের ইতিহাসে বছরটি ছিল সংকটময়। জুলাই মাসে কিশোর-তরুণেরাও জোর গলায় আওয়াজ তুলেছিল। পরিবর্তনের জন্য তারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছিল। আমরা তাদের এই আত্মত্যাগ এবং তারা যে পার্থক্য তৈরি করতে পারে, সেটির প্রতি সম্মান জানাই।
প্রতিবাদের সময়টি সবার জন্যই ভয়াবহ ছিল। বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য তা ধ্বংসাত্মক ছিল। পোশাকশ্রমিকদের মতো ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য গোষ্ঠীও এ প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিল। আমরা সহিংসতার যে মাত্রা দেখেছি, তা ছিল সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। চরম সহিংসতা হয়েছিল। শিশু-কিশোরসহ অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। অনেকে এখন শারীরিক প্রতিবন্ধিতার সঙ্গে লড়ছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই।
এই সংকটময় পরিস্থিতি পেরিয়ে শিশুদের জন্য বাংলাদেশ কীভাবে এগোতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
রানা ফ্লাওয়ার্স: পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন, যত্ন ও সুরক্ষা শিশুদের প্রাপ্য, তাদের একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। এই প্রতিবাদ বাংলাদেশের জন্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষত, তরুণদের জন্য আরও সমান ও ন্যায্য সমাজের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমি মনে করি, তরুণদের এই প্রতিবাদের একটি বড় বার্তা ছিল পরিবর্তনের দাবি এবং ন্যায্যতার দাবি। ইউনিসেফ এ দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে, যাতে প্রতিটি শিশু বিকাশের সুযোগ পায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারমুখী মনোভাব নিয়ে এসেছে, যা অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য আশা জাগায়। একটি কার্যকর পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে, যা দুর্নীতিমুক্ত এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশে যেহেতু আমরা পরিবর্তনের যুগের সম্মুখীন হয়েছি, চলুন সবাই মিলে এটিকে শিশুদের যুগ বানাই।
শিশুদের যথাযথ অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে ও তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে ইউনিসেফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা দিতে প্রস্তত। আমরা যদি প্রতিটি শিশুর মর্যাদাকে সম্মান ও মূল্যায়ন করি, তাহলে আমরা তাদের জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারব। শিশুদের জন্য এখন আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ কী?
রানা ফ্লাওয়ার্স: এখন তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা এবং শিশুদের কল্যাণকে তাদের নীতিমালা ও কর্মপন্থার কেন্দ্রে রাখা। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিবিদেরা গবেষণায় দেখিয়েছেন যে শিশুর ভবিষ্যৎ বিকাশে পুষ্টি, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং শৈশবকালীন সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সরকার যদি তার অর্থনীতি পরিবর্তন করতে চায়, তবে শৈশবকালীন উন্নয়নে বিনিয়োগ করতেই হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশে এটি এখনো পর্যাপ্ত মাত্রায় হচ্ছে না।
বর্তমান সরকারকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঠিক করা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে যদি তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পুষ্টি ও সুরক্ষায় বিনিয়োগ না করে, তাহলে এটি শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রুয়ান্ডার উদাহরণ থেকে দেখা যায়, দেশটি গণহত্যার পর শিক্ষাসহ শৈশবকালীন উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ করেছিল। এর ফলে দেশটি দ্রুত উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বাংলাদেশকেও এ পথে অগ্রসর হতে হবে।
বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রমের উচ্চ হার রয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচারব্যবস্থায় অসমতা ও বঞ্চনা রয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে করণীয় কী?
রানা ফ্লাওয়ার্স: নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি। শিশুদের রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া, কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা, পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে রাখা, এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ বিষয়গুলোতে সংস্কার আনার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত। তাদের নিজস্ব হাসপাতাল ও সেবাকেন্দ্র রয়েছে। যদি কেন্দ্রীয় স্তরে কাজ কমিয়ে এনে মাঠপর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে অর্থ সাশ্রয় হবে। সেবার মানও বাড়াবে। সরকারকে অনুরোধ করব স্থগিত হয়ে থাকা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি–সম্পর্কিত পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে। এটা অনুমোদিত না হলে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না।
বেশির ভাগ দেশে শিক্ষাব্যবস্থা বা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে তুলনামূলকভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। শিশু সুরক্ষায় মনোযোগ কম দেওয়া হয়। ফলে নির্যাতন, পাচার বা শোষণের মতো গুরুতর বিষয়গুলো যথাযথভাবে সমাধান হয় না। শিশু সুরক্ষায় সরকারের নেতৃত্বে এনজিওগুলোর সহায়তায় একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার এখনো ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশে যে গতিতে বাল্যবিবাহ কমছে, তাতে বাল্যবিবাহ দূর করতে সময় লাগতে পারে ২১৫ বছর। তাহলে কী করা যেতে পারে?
রানা ফ্লাওয়ার্স: বাল্যবিবাহ আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৬ শতাংশ বাল্যবিবাহ কমিয়েছে। বছরে ২ শতাংশ হারে কমেছে। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ধীরগতিতে কমছে। যাঁরা বাল্যবিবাহের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা যদি জানতেন যে বাল্যবিবাহের কারণে কত নারী মারা যায়, কত শিশু মারা যায় এবং কত নবজাতক অপুষ্টির শিকার হয়, তাহলে তাঁরা হয়তো এটা সমর্থন করতেন না।
অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের শরীর মাতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয়। ফলে মা ও শিশু—দুজনের জীবনই ঝুঁকিতে পড়ে। এ সমস্যার সমাধানে সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, শিশুদের স্কুলে রাখা এবং অভিভাবক, এলাকার জনগণ, ধর্মীয় নেতা ও মেয়েদের নিজেদের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।
শিশু পরিস্থিতি উন্নয়নে ও শিশু সুরক্ষায় সরকার ও ইউনিসেফ যৌথভাবে কী ভূমিকা পালন করতে পারে?
রানা ফ্লাওয়ার্স: ইউনিসেফ বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। অগ্রগতি হলেও কিছু ক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ করা বাকি রয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময় শিশুদের জন্য কিছু অগ্রগতি হয়েছে। অপুষ্টির কারণে খর্বকায় শিশুদের সংখ্যা কমেছে, স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা বেড়েছে এবং পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। এগুলো ভালো দিক। এরপরও কীভাবে আরও ভালো করা যায়? কীভাবে শিক্ষার গুণমান উন্নত করা যায়?
শুধু স্কুলে কত শিশু যাচ্ছে, তা নয়; তারা কি মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছে? এসব নিয়ে সরকার ও ইউনিসেফের ভূমিকা পালন করতে হবে। ইউনিসেফ দ্রুত কাজ করার জন্য কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে, যা সরকারের জন্য একটি পরিবর্তনের পথ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে ‘বহু নির্দেশক গুচ্ছ জরিপ’ (মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে) বা মিকস প্রকল্পে কাজ করছে। এটা দেশের বিভিন্ন এলাকার শিশু ও পরিবারের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য প্রদান করবে। এটি নীতিনির্ধারণে সহায়ক হবে এবং সঠিক সমস্যা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
শিশুবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের স্বচ্ছতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
রানা ফ্লাওয়ার্স: অনেক দেশ তাদের প্রশাসনিক তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ইত্যাদি থেকে আসে। সেই উপাত্তের সত্যতা যাচাই করতে হয়। অনেক উন্নত দেশেও এ ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ কারণে আমি মিকস প্রকল্প পছন্দ করি। এটি শিশু ও পরিবারের প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করে। আমাদের আরও কাজ করতে হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।
কিছু দেশে দেখেছি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে স্কুলগুলো যথাযথ তথ্য দেয়নি। এতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য বা শিক্ষাব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ। যখন এলাকার জনগণ নিজেরাই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবার মানের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করে, তখন ফল ভালো হয়।
শিশুদের জন্য বাংলাদেশে ভালো দিক কোনটি?
রানা ফ্লাওয়ার্স: বাংলাদেশ টিকাদান কর্মসূচি এবং প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে যে সফলতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। শিশুদের শুধু স্কুলে ভর্তি করানো নয়; বরং এমন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, যা তাদের আন্তর্জাতিক মানে উন্নত হতে সাহায্য করবে। টিকাদান কর্মসূচির সফলতাকে ইউনিসেফ ধরে রাখতে চায়। সরকার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দিচ্ছে বিনা মূল্যে। ইউনিসেফ এ কাজে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। এ টিকার ফলে কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে।
বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক হলো এখানকার মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছা এবং শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকার। বাংলাদেশের বেশির ভাগ আইন ও নীতিমালা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশে কিছু সফল পাইলট প্রকল্প ও নীতিমালা রয়েছে। সেসব যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ ও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে এবার পূর্বাঞ্চলেও অস্বাভাবিক বন্যা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য উন্নত দেশগুলো কি যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে?
রানা ফ্লাওয়ার্স: বিশ্বে বাংলাদেশের শিশুরা সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ও পরিবেশগত ঝুঁকির সম্মুখীন। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশুর জীবন বন্যা, তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হচ্ছে। তাপপ্রবাহ, বন্যায় স্কুল বন্ধ থেকেছে। বাংলাদেশের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়, অথচ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটে তারা সর্বোচ্চ মূল্য চুকাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে অনেক শিশুকে পরিবারের সঙ্গে চলে আসতে হচ্ছে বস্তিতে। লাখো শিশুকে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও পাচারের চক্রে পড়ে যেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে ঝড় ও বন্যা শুধু তীব্রতর হচ্ছে না; বরং নতুন এলাকায় আঘাত হানছে, যেখানে আগে এমন দুর্যোগ দেখা যায়নি। এসব সংকট মোকাবিলায় এখনই কাজ করতে হবে। ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়নে ভূমি, নদী, পানিসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আরও মনোযোগী হতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, সৌরশক্তি, লবণাক্ততার সময় টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সরকারের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনে (এনডিসি) এ তরুণদের রাখতে হবে।
কপ২৯ শীর্ষ সম্মেলন ছিল স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের বিষয়ে। যারা জলবায়ু সংকট তৈরি করেছে, তারা যদি দায়িত্ব না নেয়, তাহলে এটি মারাত্মক অন্যায়। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়ন সহায়তার জন্য তেমন ইতিবাচক নয়। ইউক্রেন ও গাজা পরিস্থিতির প্রতি যথাযথ মনোযোগ থাকলেও মিয়ানমার বা অন্য সংকটময় এলাকাগুলো তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। সরকার ও দাতাগোষ্ঠীগুলো যদি এখন উদ্যোগ গ্রহণ না করে, তাহলে এ সুযোগ হারিয়ে যাবে। আমাদের বর্তমান সংকট থেকে শিখে পরিবর্তন আনতে হবে।
এককথায় বলতে হলে বাংলাদেশের তরুণদের ও সরকারের প্রতি আপনি কী আহ্বান জানাবেন?
রানা ফ্লাওয়ার্স: তরুণদের বলব, তোমরা আশা জাগিয়ে রাখো। প্রত্যাশা উঁচু রাখো। আমাদের দায়বদ্ধ করো।
আর সরকারের প্রতি আহ্বান হচ্ছে, শিক্ষায় বিনিয়োগ এবং স্বাস্থ্যসেবার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করুন। তাহলেই শিশুদের জন্য আমরা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারব। পরিবর্তনের জন্য আত্মত্যাগ করা তরুণদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
রানা ফ্লাওয়ার্স: আপনাকেও ধন্যবাদ।