ফুলের কারুকাজ করা একটি নীল রঙের শাড়ি পরে সোফা-কাম চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। বয়স তাকে কাবু করতে পারেনি। হালকা পাতলা শরীর। চোখে চশমা। আমরা কক্ষে ঢুকে সালাম দিতেই হাত তুলে প্রত্যুত্তর দিলেন।
প্রথম সাক্ষাতেও মনে হলো অনেক দিনের চেনা। স্নেহমাখা কণ্ঠে বললেন, ‘তুমি বলছি, কিছু মনে করবে না তো।’
আমাদের সামনে বসে আছেন ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী। বললাম, আপনার শৈশবের গল্প, কৈশোরের গল্প শুনতে চাই। তিনি এক এক করে বলতে থাকলেন। কোনো জড়তা নেই। তবে অনেক কিছু মনে করতে পারেন না। সূত্র ধরিয়ে দিলে বলতে পারেন।
আমরা বলছি জাহান আরা রহমানের কথা। কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী। নিজেকে ব্রেবোর্নিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতে গৌরববোধ করেন। সেখান ইন্টারমিডিয়েট ও স্নাতক পড়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএতে ভর্তিও হলেও পড়াশোনা আর এগোয়নি। ১৯৪৬ সালে কলকাতার ট্রপিক্যাল মেডিকেল স্কুলের চিকিৎসক মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
সে সময় কলকাতায় মেয়েদের বেশ কয়েকটি কলেজ ছিল। বেথুন, স্কটিশ চার্চ, ভিক্টোরিয়া, গোখেল মেমোরিয়াল ইত্যাদি। কিন্তু মুসলিম মা-বাবা ওসব কলেজে মেয়েকে পড়াতে চাইতেন না। এই প্রেক্ষাপটে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৩৯ সালে পার্ক সার্কাসে মুসলিম মেয়েদের জন্য আলাদা কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন। মুসলিম মেয়েরা পর্দা রক্ষা করে কলেজে আসতেন বলে এর নাম হলো ‘পর্দা কলেজ।’ তৎকালীন গভর্নর লর্ড ব্রেবোর্ন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন। পরে লেডি ব্রেবোর্নের নামেই এটি পরিচিত পায়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এ কলেজের মেয়েরাই শিক্ষাদীক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্য ও সমাজসেবায় বড় ভূমিকা রাখেন।
দেশ বিভাগের পর জাহান আরা স্বামী মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন এবং নানা সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মালিক ফিরোজ খান নুনের স্ত্রী ভিকারুননিসা নুনের নেতৃত্বে ঢাকায় যে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাতেও জাহান আরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝাতেন, কেন কন্যা সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। পঞ্চাশের দশকে খুলনায় বন্যা হলে তাঁর নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী ঢাকা থেকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন।
১৯৬০-এর দশকে জাহান আরা রহমান অল পাকিস্তান উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (এপিডব্লিউএ) পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানের মারিতে সংগঠনটির সাধারণ সভায় তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। জাহান আরা ষাটের দশকে উইমেন্স ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউভিএ) সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশে ডব্লিউভিএ’র সভাপতি নির্বাচিত হন এবং লালমাটিয়ায় মেয়েদের জন্য ডব্লিউভিএ কলেজ স্থাপনে নেতৃত্ব দেন। তাঁর ছোট বোন নার্গিস খান এই কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ডব্লিউভিএ ঢাকার উপকণ্ঠ বাসাবোতে মেয়েদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
বাইরে যাই হোক না কেন কলেজে হিন্দু ও মুসলমান মেয়েদের মধ্যে অত্যন্ত প্রীতির সম্পর্ক ছিল। কলেজে কখনো দুই সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের মধ্যে গোলযোগ হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘নেভার, নেভার, নেভার।’
আশির দশকে কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রেবোর্স ওল্ড স্টুডেস্ট অ্যাসোসিয়েশন। জাহান আরা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৪ সালে তিনি এর সভানেত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর উদ্যোগে ব্রেবোর্ন বিচিত্রা নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ১৯৪৭ সালে নুরজাহান বেগমের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বেগম পত্রিকা। জাহান আরা নিয়মিত এই পত্রিকায় কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখতেন। আশির দশক পর্যন্ত তাঁর লেখালেখি অব্যাহত ছিল। বেগমের সাহিত্য সভাগুলোতেও তিনি যেতেন। জাহান আরাকে বেশ সমীহ করতেন নূরজাহান, কারণ তিনি ছিলেন তাঁর কয়েক বছরের অনুজ।
জাহান আরা রহমানের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম। বাবা ছিলেন কলকাতার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রট। সরকারি চাকরি যেহেতু বিভিন্ন স্থানে বদলি হতে হতো। মেয়েও তার সঙ্গে যেতেন। মা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা তেমন না করলেও রাত জেগে বই পড়তেন এবং মেয়েকে পড়তে উৎসাহিত করতেন। বাবা যখন দার্জিলিং ছিলেন, তখন সেখানে হাইস্কুল ছিল না। জাহান আরাকে ভর্তি করা হলো জলপাইগুড়ি হাইস্কুলে। সে সময়ে পড়াশোনার মাধ্যম ছিল ইংরেজি। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে তিনি ফার্সির বদলে সংস্কৃত নিলেন। মুসলমান মেয়ে সংস্কৃতি নিয়ে পড়েছেন, এ রকম উদাহরণ খুব বেশি নেই। প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেই ভর্তি হলেন ব্রেবোর্ন কলেজে।
অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহান আরা লিখেছেন, ‘বাবা-মায়ের ইচ্ছে অনুসারে আমি পর্দা কলেজে ভর্তি হলাম। তখনকার এই পর্দা কলেজই পরবর্তীকালে তৎকালীন গভর্নর লর্ড ব্রেবোর্নের স্ত্রীর নামে নামকরণ হয়। সবুজ পর্দা ঘেরা কলেজ বাসে ডে-স্কলারদের নিয়ে আসত। নতুন নতুন মেয়ে আসছে দূর-দূরান্ত থেকে ভর্তি হওয়ার জন্য। এ একটা নতুন অনুভূতি। ...সমগ্র বাংলাদেশের মুসলিম মেয়েরা একটা নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলো। আমরা বোর্ডাররাও একটা সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলাম। বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন সার্থক হতে চলেছে।’
আবারও পুরোনো দিনের কথায় ফিরে যান তিনি। টুকরো টুকরো ঘটনা বলেন। সেই সময়ে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক। বাইরে যাই হোক না কেন কলেজে হিন্দু ও মুসলমান মেয়েদের মধ্যে অত্যন্ত প্রীতির সম্পর্ক ছিল। কলেজে কখনো দুই সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের মধ্যে গোলযোগ হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘নেভার, নেভার, নেভার।’ উল্লেখ্য, ব্রেবোর্ন মুসলিম মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও অন্য সম্প্রদায়ের মেয়েরাও পড়তে পারতেন, এমনকি ব্রিটিশ পরিবারের মেয়েরাও। সেসময় দার্জিলিংয়ে স্বদেশীদের হামলায় এক ব্রিটিশ অফিসারের নিহতের ঘটনাও আমাদের বললেন তিনি।
জাহান আরা রহমানের জামাতা (মেয়ে হামীম খানের স্বামী) আকবর আলি খান। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। এই পরিচয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। গত ফেব্রুয়ারির বই মেলায় প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বই ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
ব্রেবোর্ন কলেজে পড়ার সময় জাহান আরা অনেক খ্যাতিমান মানুষের সান্নিধ্যে এসেছেন। শেরে বাংলা প্রায়ই কলেজ পরিদর্শন করতেন, মেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করতেন। কলেজের খাওয়ার মান নিয়ে একেবারে জাহান আরারা অনশন ধর্মঘট করেছিলেন। শেরেবাংলা এসে সেই ধর্মঘট ভাঙিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে নানা সময়ে দেখা হয়েছে তাঁর, নানা মিটিং বা সভাতেও যেতেন। কাজী নজরুল ইসলামকে দেখার স্মৃতিচারণ করলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়েছিল।
আলাপ করতে গিয়ে জাহান আরা সেই সময়ের একটি মজার স্মৃতি বললেন। একবার দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন ট্রেনে। স্টেশনে এসে কুলির হাতে স্যুটকেস দেওয়ার পর আর তাকে খুঁজে পাননি। খালি হাতেই বাড়ি ফিরলেন। এরপর তাঁর এক চাচাতো ভাইকে স্যুটকেস হারিয়ে যাওয়ার কথা বললেন। তিনি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু। বললেন, দেখি কী করা যায়। তিনি সমস্যাটি মুজিবকে বললেন। মুজিব তখন ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। রেলস্টেশনের কুলিদের বেশির ভাগই ছিল মুসলমান। তিনি স্টেশনের কুলির সর্দারকে ডেকে বললেন, আমার বোনের স্যুটকেস হারিয়ে গেছে। যেভাবে হোক খুঁজে বের করে দাও। এরপর স্যুটকেসটি উদ্ধার হলো। জাহান আরা আমাদের বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে তাঁর। তিনি তাঁকে পড়াশোনার বিষয়ে উৎসাহিত দিতেন।
ঢাকায় লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রথমে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রী নিয়ে শুরু হলেও পরে শ খানেক প্রাক্তন ছাত্রী যুক্ত হন। কথা বলতে বলতে জাহান আরা বেব্রোর্নে তার সহপাঠীদের কথা বললেন। ঢাকায় আসার পরও অনেকের সঙ্গে চিঠিপত্রে যোগাযোগ হতো, টেলিফোনেও কথা হতো। তাছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হতো। ২০১৪ সালে তিনি কলকাতা সফরে গেলে ব্রেবোর্ন কলেজের প্রথম ব্যাচের একমাত্র জীবিত ছাত্রী হিসেবে তাঁকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। জাহান আরা রহমানের কাছে এই অ্যাসোসিয়েশন ছিল প্রাণের প্রতিষ্ঠান। তিনি লিখেছেন, ‘কেউ কেউ শিক্ষিকা, লেখিকা, কবি, নায়িকা, সমাজসেবিকা হিসেবে সমাজে পরিচিত। কিন্তু আমরা সবাই ব্রেবোর্নের ছাত্রী ছিলাম। সেটাই আমাদের বড় পরিচয়। একে অন্যের সাফল্যে গর্বিত। তাঁর মতে, ব্রেবোর্ন কলেজ সেদিন দিয়েছিল মুসলমান মেয়েদের জীবনে উচ্চশিক্ষার আলোর মশাল জ্বালিয়ে। তাঁদের উত্তরসূরিরাই আজ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মেয়েদের মাঝে নতুন জাগরণের সৃষ্টি করেছে।’
জাহান আরা রহমানের সঙ্গে আলাপ বলে মনে হলো দার্জিলিংয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়, জলপাইগুড়ির মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলকাতার ব্রেবোর্ন কলেজ এখনো তাঁর সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে। সেসব জায়গার প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা বলছিলেন। অতীত হরিয়ে যায় না। ফিরে ফিরে আসে। জিজ্ঞেস করলাম, সেই সময়ে মেয়েদের পড়াশোনা তো কঠিন ছিল। সামাজিক বাধা ছিল। বাবা-মার মধ্যে কে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। বললেন, ‘মা। মা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা না করলেও পড়ার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। মা ছিলেন সেই সময়ের সাড়া জাগানো মেধাবী ছাত্রী ফজিলাতুন্নেসার ভক্ত। তাঁর ছবি ঘরের দেয়ালে বাঁধানো ছিল।’
জাহান আরা টেনিস খেলতে ভালোবাসতেন, পিয়ানোও বাজাতেন। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ-তিন কালের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলাম। বললেন, ‘আফসোস, বাংলাদেশটা যেভাবে হতে পারতো, সেরকম হয়নি।’ তবে বলছেন, ‘আমি বহু দেশ ঘুরেছি, অনেক জায়গায় থেকেছি, কিন্তু বাংলাদেশকেই আজীবন ভালোবেসেছি।’
১৯৯১ সালে তাঁর জাহান আরার স্বামী ডা. মুজিবুর রহমান ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে হামীম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকে প্রথম শ্রেণি লাভ করেন এবং প্রায় তিন দশক ঢাকার সানবিমস স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৬ সালে হামীম খান এবং তার এক বছর আগে তাঁর একমাত্র সন্তান নেহরীন খান ইন্তেকাল করেন। জাহান আরা রহমানের ছেলে এহসানুর রহমান একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন।
জাহান আরা রহমানের জামাতা (মেয়ে হামীম খানের স্বামী) আকবর আলি খান। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। এই পরিচয়ের বাইরে তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। গত ফেব্রুয়ারির বই মেলায় প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বই ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
চারতলা অ্যাপার্টমেন্টে এখন মাত্র দুজন বাসিন্দা। জাহান আরা রহমান ও আকবর আলি খান। দুই প্রজন্মের দুজন মানুষ। একজন সন্তান–নাতনি হারানোর এবং আরেকজন স্ত্রী ও সন্তান হারানোর বেদনা বহন করে চলেছেন।
জাহান আরা রহমানের জন্ম ১৯২২ সালের ২৭ আগস্ট। আজ তাঁর শত বছর পূর্ণ হলো। তাঁকে জন্মশত বর্ষের অভিবাদন জানাই।
রাফসান গালিব প্রথম আলোর সহসম্পাদক