ঘটনাটি ২০ সেপ্টেম্বরের। সারাদেশের পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের পতাকাওয়ালা লাল-সবুজ জার্সি পরিহিত একদল কিশোরীর প্রত্যয়ী চোখে বিজয়ী হাসির ছবি। তারা সাফ গেমসে ফুটবল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হতাশাজনক আর দুঃখজনক অযুত–নিযুত ঘটনায় দেশের মানুষ যখন বিপর্যস্ত, ঠিক সে সময় তারুণ্যের জয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় আমার বাংলাদেশের মুখখানা কেমন দেখায়, তা চোখ বুজে দেখতে গিয়ে অনুভব করছিলাম এ ছবি আর শিহরিত হচ্ছিলাম।
ঠিক একই দিন সন্ধ্যায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে এ-লেভেলে পাঠরত এক কিশোরীর সঙ্গে কথোপকথনকালে জানতে চাইলাম আজকে বাংলাদেশের জন্য সবচাইতে বিশেষ নিউজ কী ছিল। কিশোরীর অপ্রস্তুত। কোনোমতে জিজ্ঞেস করল, কোন নিউজটা? উত্তর বলে দেওয়ার পর কিশোরী নির্বাক। কারণ, এ ধরনের কিছু সে সারাদিনেও শোনেনি। প্রত্যুষের সেই রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে বাংলাদেশের বিজয়ী মেয়েদের ঘটনাটি তাকে মুখে বয়ান করলাম বটে, মনে দুঃখও পেলাম। ভাবছিলাম, বিষয়টা এমন হলো কেন?
তার উচ্চ অথবা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ও বন্ধুমহলে এ জাতীয় বিষয় সম্ভবত আলোচনা বা গল্পের বিষয়বস্তু হয় না। আর যদিওবা তাদের গল্পে-আলোচনায় এ–জাতীয় বিষয় কালেভদ্রে চলে আসে, তা কতটা সমাজ সচেতন তারুণ্যের নিদর্শন হিসেবে আসে, তা একটি প্রশ্ন বটে। কেননা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসমান পোস্টের লাইকে চোখ রাখার আনন্দ আস্বাদনের তুলনায় সব রকম প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে প্রত্যন্ত বাংলাদেশের একদল কিশোরীর সাবিনা-মারিয়া-সানজিদা-কৃষ্ণা হয়ে উঠার কাহিনী পানসে মনে হওয়াই তার কাছে স্বাভাবিক।
মেয়েদের ফুটবল খেলা কি তাহলে শ্রেণিবৈষম্যের ফলে সৃষ্ট একটি খেলা, যেখানে সমাজের সুবিধাভোগী ও অভিজাত তরুণীরা অংশ নেয় না এবং সুবিধাবঞ্চিত কিছু কিশোরীই দেশকে গৌরবের আসনে আসীন করার দায়িত্ব নিয়েছে? এ আলোচনা অন্য সময় হবে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন (প্রাথমিক) ২০২২ অনুযায়ী সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠী (১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে) এখন ৪ কোটি ৫৯ লাখ, অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার ২৭ দশমিক ৮২ ভাগই তরুণ। সাফ বিজয়ী কন্যাদের সাফল্যগাথা প্রকাশের মাত্র দিন দশেক আগে আঁচল ফাউন্ডেশন তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যাবিষয়ক যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তা রীতিমতো ভীতিকর। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত, অর্থাৎ ৮ মাসে ৩৬৪ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে (নিশ্চিতভাবেই সব ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসে না)। এর মধ্যে ১৯৪ জন স্কুলশিক্ষার্থী, ৭৬ জন কলেজ শিক্ষার্থী, ৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এবং ৪৪ জন মাদ্রাসায় পড়ুয়া।
মনোবিদের মতে, যখন মানুষ মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে পারে না কিংবা বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়াটাকেই সহজ মনে করে, তখন সে মুক্তির উপায় হিসেবে বেছে নেয় আত্মহত্যাকে। আর এখানেই প্রশ্ন। কেন তাকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হয়?
সমাজবিজ্ঞানী ডার্খেইম তাঁর আত্মহত্যাবিষয়ক রচনায় বলেছিলেন, সমাজের মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কগুলো সমন্বিতভাবে যত নিবিড় হবে, মানুষগুলো তত বেশি জীবনকে অর্থপূর্ণ ভাবতে পারবে। দলবদ্ধভাবে পরস্পরের প্রতি সংযুক্ত অনুভব করলে ব্যক্তি মানুষের কাছে তখন নিজের সমস্যাগুলো বড় হয়ে উঠে না, সে আত্মকেন্দ্রিক হয় না, সে অন্যের কল্যাণের কথা ভাবতে পারে। নিজেকে সমাজের অংশ ভাবলেই একক ব্যক্তির মধ্যে তখন আত্মহত্যার মতো চিন্তার প্রবণতা কাজ করে না বা কম কাজ করে।
হলিক্রস স্কুলের কিশোরী পারপিতা কিংবা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী সানজানা, অথবা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফের মতো আরও কেউ কেউ তারুণ্যের অমিত শক্তির কথা, এবং সে শক্তি দিয়ে অন্যের কল্যাণ করার মাধ্যমে যে নিজের দুঃখকে অগ্রাহ্য করা যায়, তা ভুলে গিয়েছিলেন বলেই নিজের জীবনকে অর্থহীন মনে করেছিলেন। খুঁজতে চেয়েছিলেন মুক্তির পথ, বেছে নিয়েছিলেন আত্মহত্যাকে।
ফুটবল-কন্যাদের কথায় আবার আসা যাক। মারিয়ার মা ছিলনি মান্দা বলছিলেন, মারিয়াদের জয়ে বাংলাদেশের মানুষ খুব খুশি হয়েছে এবং দেশের মানুষ খুশি হলেই তাঁরা খুশি। গারো পাহাড়ের কোলঘেঁষে বাস করা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় শিক্ষাবিহীন এলাকার একটি অতি সাধারণ পরিবারের অতি সাধারণ মায়ের কী অসাধারণ চেতনা। ঢাকা শহরের নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা কি তাঁদের সন্তানদের মধ্যে এ জাতীয় চেতনার সঞ্চার ঘটান? নাকি এ-প্লাস বা জিপিএ ফাইভের বৃত্তে সন্তানকে বেঁধে রাখেন; যাতে এই কিশোর-তরুণেরা জগৎসংসারের বৈচিত্র্য অনুসন্ধান, যাবতীয় সংকট মোকাবিলার দক্ষতা কিংবা জীবনে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস অর্জন, অথবা দেশকে কিছু দেওয়ার জন্য তৈরি হতে না পারে?
নিজের কোচিংয়ে নাম লেখাতে বাধ্য করা শিক্ষকেরা কি আদৌ ভাবেন যে তাঁদের দুটো সুপরামর্শ একজন শিক্ষার্থীর মনে কী ভীষণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে? অবশ্য অন্যকে সুপরামর্শ দেওয়ার আগে নিজে সেসব পালন করতে হয়। কারণ, সন্তান বা শিক্ষার্থী তা করে না, যা আপনি বলেন। তারা তো তা–ই করে, যা আপনি করেন।
ভালো থাকার জন্য এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রতিকূলতাও যে আশীর্বাদ, তা আমাদের শহুরে অভিজাত নিশ্চয়তাপূর্ণ পরিবারে বেড়ে ওঠা কিশোর-কিশোরীরা কতটুকু শেখে? অথচ, অবর্ণনীয় সব প্রতিকূলতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানোর সাহস ছিল বলেই বিজয়ী সানজিদা অকপটে বলতে পেরেছিল, ‘১১ জনের যোদ্ধাদল মাঠে থাকবে, যে দলের অনেকে এই পর্যন্ত এসেছে বাবাকে হারিয়ে, মায়ের শেষ সম্বল নিয়ে, বোনের অলংকার বিক্রি করে, অনেকে পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন হয়ে।’
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিশেষজ্ঞরা হয়তো বলবেন, শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাতে হবে, যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজের ক্ষতি করা থেকে তারা বিরত থাকতে পারে। ভালো কথা। কিন্তু কলুষিত রাজনীতি ও দুর্বৃত্তায়নের ছায়ায় প্রায় আচ্ছাদিত হয়ে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার আনা একটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ।
তাহলে কি তত দিন আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারানো কিশোর-তরুণের দল আত্মহত্যা করতেই থাকবে? কিংবা আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কতিপয় প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান প্রথাগত কাউন্সেলিং সেবাই কি পর্যাপ্ত? নিজের কোচিংয়ে নাম লেখাতে বাধ্য করা শিক্ষকেরা কি আদৌ ভাবেন যে তাঁদের দুটো সুপরামর্শ একজন শিক্ষার্থীর মনে কী ভীষণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে? অবশ্য অন্যকে সুপরামর্শ দেওয়ার আগে নিজে সেসব পালন করতে হয়। কারণ, সন্তান বা শিক্ষার্থী তা করে না, যা আপনি বলেন। তারা তো তা–ই করে, যা আপনি করেন।
আত্মহত্যার কারণের মধ্যে সম্প্রতি যে কারণগুলো বের করা হয়েছে, সেগুলো হলো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, পড়াশোনার চাপ, সেশনজট, অভিমান, প্রেমঘটিত বিষয়, পরিবার থেকে কিছু চেয়ে না পাওয়া, ইত্যাদি। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই এ সত্য বেরিয়ে আসে যে এগুলোর কোনোটাই একজন তরুণ প্রাণের জীবননাশ ঘটানোর মতো কারণ নয়। কিন্তু এগুলো জীবন হননের কারণ হয়ে উঠেছে আমাদের সন্তানদের জন্য। কারণ, সন্তানকে আমরা আজ মানবিক হওয়ার বদলে মেশিন হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
‘চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিব’ টাইপের পরিবেশে বড় করছি, ভালো ফলাফল করলে বই উপহার দেওয়া বা ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার বদলে ডিভাইস উপহার দেওয়া হয় সামর্থ্যবান পরিবারে। আর অস্বচ্ছল পরিবারের সামর্থ্য থাকে না সন্তানের ভালো ফলকে উৎসাহিত করার জন্য সামান্য কিছু খরচ করার। অর্থাৎ প্রতিটি কিশোর-তরুণদের আত্মহত্যার জন্য যতটা না তারা নিজেরা দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী আমরা যাঁরা ‘বড়’। ‘বড়’ হওয়ার সুবাদে আমরা তাদের ভুল শিক্ষা দিয়ে ভুল চেতনা নিয়ে বড় হতে বাধ্য করছি। তাদের শেখানো হচ্ছে, অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে। অথচ শেখানো উচিত প্রতিযোগিতা নিজের সঙ্গে, সহযোগিতা সবার সঙ্গে।
সবার প্রতি সমব্যথী বা সমমর্মী হওয়ার বদলে সুযোগ সন্ধানী হিসেবে গড়ে তুলছি বলেই যখন সে নিজের জন্য সুযোগ কম দেখে, তখন ঘাবড়ে যায় এবং জীবনকে অর্থহীন ভাবতে শুরু করে। নৈতিকতা ও মানবিকতাকে বিকশিত করার মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, ও আত্মিকভাবে তরুণদের ফিট করে গড়ে তুললে আমাদের দেশের ২৭ দশমিক ৮২ ভাগই কিশোর-তরুণ অর্জন করতে পারত টোটাল ফিটনেস। সাফ গেমস শুধু নয়, নিজের জীবনকে নিজেই সাফল্য ও প্রশান্তিতে ভরিয়ে তুলতে পারত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কুপ্রথা, কিছু শিক্ষকের অশিক্ষকসুলভ আচরণ, সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন একক প্রচেষ্টায় বন্ধ করা সম্ভব না হলেও নিজে ভালো থাকার প্রচেষ্টা তো চালাতে হবে। এটা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের কবিতার পরামর্শ অনুযায়ী সারা জগতের পথের ধূলি দূর করার বোকামি করার বদলে নিজের পা দুই খানা পাদুকা দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়ার মতো।
প্রথম আলোর আনিসুল হক ভাইকে ধন্যবাদ দুঃখ না করে কিশোর-তরুণদের বাঁচতে অনুপ্রাণিত করার জন্য বেশ কিছু মহামানবের উক্তি ও জীবনঘনিষ্ঠ উদাহরণ তাঁর সাম্প্রতিক লেখায় নিয়ে এসেছেন বলে। প্রশ্ন হলো—যে কিশোর আত্মহত্যার কথা ভাবে, সে কি তার আত্মহত্যার পরিকল্পনা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চায়? কিংবা অন্যের কাছে মানসিক সেবা–সহায়তা নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা তার থাকে? সে বরং আত্মহত্যা করাকেই ওই মুহূর্তে সবচেয়ে উপযুক্ত কাজ বিবেচনা করে। সুতরাং আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় বাসা বাঁধবার আগেই প্রাণভরে বাঁচার কৌশল রপ্ত করা উচিত নয় কি?
শরীরের সুস্থতার দিকে নজর রাখা, একটু মেডিটেশন করা, একটু ইয়োগা চর্চা, ঘরে এবং বাইরে অন্যের কল্যাণের জন্য প্রতিদিন অন্তত: একটা কোনো কাজ করা, নিজের কাজটা সবচেয়ে ভালোভাবে করা (যেমনটি করেছে সানজিদা-মারিয়াদের দলের সদস্য), এবং সেই সঙ্গে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করা—এতেই কি প্রাণভরে বাঁচার কৌশল অনেকটা শেখা হয়ে যায় না? এবং উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্ত যেকোনো আর্থিক অবস্থায় এ কাজগুলো করা সম্ভব। মনোবিদরা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশাদার কাউন্সেলর রাখার যৌক্তিকতা দেখলেও সেই কাউন্সেলর শিক্ষার্থীকে প্রথম দর্শনেই ‘তুমি তো মানসিক রোগে আক্রান্ত বলবেন’ নাকি তাকে আত্মোপলব্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি মেডিটেশন চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবেন, তা কিন্তু ভাবার বিষয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কুপ্রথা, কিছু শিক্ষকের অশিক্ষকসুলভ আচরণ, সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন একক প্রচেষ্টায় বন্ধ করা সম্ভব না হলেও নিজে ভালো থাকার প্রচেষ্টা তো চালাতে হবে। এটা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের কবিতার পরামর্শ অনুযায়ী সারা জগতের পথের ধূলি দূর করার বোকামি করার বদলে নিজের পা দুই খানা পাদুকা দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়ার মতো। সাবিনা-সানজিদারা কিন্তু নিজ পরিবারের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কিংবা সামাজিক টিপ্পনী-কটুকথা-তির্যক বাক্যবাণে হার মানেননি। লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছেন নিজেকে অতিক্রম করার জন্য। ফলে সফল হয়েছেন নিজেরা, গর্বিত হয়েছে দেশ। সুবিধাবঞ্চিত হওয়ার ফলে দারিদ্র্যে-দুঃখ-কষ্টে-মানসিক চাপে মুষড়ে গিয়ে আত্মহনন করলে তারা নিশ্চয়ই আজকে সেরা ফুটবলার হতে পারত না। সুবিধাভোগী অভিভাবক ও তাঁদের সন্তানরা কি এ থেকে খানিকটা শিক্ষা নিতে পারে?
ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং সদস্য, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।