কবরস্থানের মরদেহের সুরক্ষা দেবে কে

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরি হচ্ছে। এসব মরদেহ থেকে কঙ্কাল বানিয়ে বড় অংশ মেডিকেল কলেজ, সেখানকার শিক্ষার্থী এবং প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হয়।

আবু হেনা ঢাকায় বসবাস করেন। মাস দশেক আগে তাঁর মা মারা যান। তখন থেকে প্রায় প্রতি মাসেই তিনি কুষ্টিয়ায় মায়ের কবরটা দেখতে যান। গ্রামের বাড়িতে গেলেই প্রথমে ছুটে যান কবরস্থানে। রাতের বাসে গেলে পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে মায়ের কবর জিয়ারত করে বাড়ি যান। ১১ জুন সকালে তিনি কবরস্থানে বসে কাঁদছিলেন।

কথা বলে জানা গেল, আবু হেনার মায়ের কবরের বেড়া কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। তাঁর আশঙ্কা, এবার মরদেহটা না জানি কে নিয়ে যায়! স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, পৌর কবরস্থানের বেড়ার বাঁশ-কাঠ-খুঁটি রান্নাবান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে খুলে নেওয়া হচ্ছে। দেখার কেউ নেই। আবু হেনার আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কবরস্থান থেকে এখন মরদেহ বা কঙ্কাল চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গত ১৯ মে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের একটি কবরস্থান থেকে সাতটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা জানাজানি হয়। কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা প্রথমে একটি কবরের মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে কবরস্থান ঘুরে তাঁরা দেখেন, আরও ছয়টি কবরের একই অবস্থা।

একটিতেও মরদেহ নেই। গ্রামবাসীর ধারণা, আগের রাতে ঝড়বৃষ্টির পর কবর থেকে মরদেহগুলো চুরি করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবশ্য বলেছেন, কেউ তাঁর কাছে অভিযোগ জানায়নি। লাশগুলোর অভিযোগ করার ক্ষমতা থাকলে কী হতো, কে জানে!

এর আগে গত এপ্রিলে শেরপুরের চর মধুয়া গ্রামেও কবরস্থান থেকে মরদেহ লাপাত্তা হয়ে যায়। পারিবারিক কবরস্থান থেকে বাংলা নববর্ষের পরের রাতে ১৫ এপ্রিল চাচা-ভাতিজার লাশ উধাও হয়। ওই এলাকার প্রায় সব কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরি হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, গত এক বছরে অর্ধশতাধিক মরদেহ চুরি হয়েছে।

গত বছর মানিকগঞ্জের কবরস্থানগুলো থেকে একের পর এক মরদেহ গায়েব হচ্ছিল। শিবালয় থানার ওসি বলেছিলেন, মহাসড়কের পাশের কবরস্থানগুলো থেকে বেশি মরদেহ গায়েব হচ্ছে। তাঁর কথা শুনে মনে হতে পারে, বাসের অপেক্ষায় থাকা মুর্দারা মধ্যরাতের বাস ধরে ঢাকা বা পাটুরিয়ায় মেলা করছে।

কারা চুরি করে মরদেহ

বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়নের মুরাদপুর, গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়ন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের উসমানপুর, সাভারের গকুলনগর, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা, ইসলামপুর পৌর কবরস্থান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের পীরডাঙ্গী কবরস্থান, দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউনিয়নের কবরস্থান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, ঢাকার কেরানীগঞ্জের বটতলী বাজার ইটখোলা কবরস্থান, সিরাজদিখানের (মুন্সিগঞ্জ) জৈনসার ইউনিয়নের চম্পকদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, ময়মনসিংহের ফুলপুর, ভালুকা বা ত্রিশাল—কোথাও পুলিশ লাশ চুরির কোনো হদিস করতে পারেনি। সব জায়গায় তদন্ত চলছে। তবে সাধারণ মানুষ মরদেহ পাচারকারীদের একটি দলকে প্রায় ধরে ফেলেছিল।

২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি সকালে ফুলপুর উপজেলার চরবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চরনিয়ামত-বেলতলী গ্রামে কয়েক ব্যক্তির হাতে বস্তা দেখতে পান স্থানীয় কৃষকেরা। তাঁদের আলুর ব্যাপারী ভেবে কৌতূহলবশত কৃষকেরা তাঁদের সঙ্গে আলুর দরদাম নিয়ে কথা বলেন। বস্তায় কী আছে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁরা বস্তা রেখে পালিয়ে যান। বস্তা খুলে দুটি খুলিসহ কঙ্কাল পাওয়া যায়। এ ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, মরদেহ চুরি ও পাচারকারীরা মাঠপর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয়।

কঙ্কাল বাপ্পি

২০২০ সালে মরদেহ চুরির বড় সর্দার হিসেবে পরিচিত বাপ্পি ওরফে কঙ্কাল বাপ্পিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ময়মনসিংহের আর কে মিশন রোডের বাপ্পির বাসায় অভিযান চালিয়ে ১২টি মাথার খুলি ও মানবদেহের দুই বস্তা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই কনটেইনার তরল রাসায়নিক ও তিন প্যাকেট রাসায়নিক পাওয়া যায়। এর আগে ২০১৭ সালে বেনাপোলে ১৫টি কঙ্কালসহ আরেকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বাপ্পি। কঙ্কালের রমরমা বাণিজ্যের লোভে জেল থেকে বের হয়ে আবারও ব্যবসায় নেমে পড়েন।

ময়মনসিংহে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, বাপ্পি চক্র প্রতিবার ২০-২৫টি করে বছরে তিনবার কবর থেকে মরদেহ তোলে। তারপর রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে পচানো হয়। পরে গরম পানিতে ধুয়ে পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল বের করে পাচারকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের মাধ্যমে এই কঙ্কাল চলে যায় মেডিকেল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রতিবেশী নেপাল ও ভারতে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছাড়াও তন্ত্রমন্ত্র চর্চাকারী, বিশ্বাসনির্ভর চিকিৎসার (ফেইথ হিলার) সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও কঙ্কাল বা বিশেষ অঙ্গ সংগ্রহ করেন। ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দিলীপ দাশ নামের এক কবিরাজকে কবরস্থান থেকে আটক করা হয়। তিনি সন্ধ্যার পর মরদেহ চুরির উদ্দেশ্যে কবরস্থানে ঢুকেছিলেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০২১ সালের ১০ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুরে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির সময় তরুণ জাকির হোসেনকে (১৯) আটক করেন স্থানীয় মানুষ। তবে তাঁর সহযোগী রাজন ও মজনু পলিয়ে যান। তখন তাঁদের ছিঁচকে চোর বা মাদকের অর্থ জোগাড়ের জন্য মানুষের হাড়চোর ভাবা হয়েছিল।

শ্রীপুর যে মরদেহ চুরির ‘হট স্পটে’ পরিণত হয়েছে, তখনো তা অনেকের অজানা ছিল। ১৩ জুন শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পাশে কবরস্থান থেকে চারটি মরদেহ চুরি হয়। এর আগে ৮ মে তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের ঢালিপাড়া এলাকার কবরস্থান থেকে দুটি মরদেহ চুরি হয়। গাজীপুরের সরকারি-বেসরকারি চার-পাঁচটি মেডিকেল কলেজের মরদেহ/কঙ্কালের চাহিদা মেটাতে কি গোরস্থানগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে?

মরদেহ বা কঙ্কালের আরেকটা উৎস হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে কোনো বেওয়ারিশ মরদেহ আনা হলে মর্গের কর্মচারীরা সংরক্ষণ করেন। পরে কোনো ব্যক্তিকে ওয়ারিশ সাজিয়ে মরদেহটি হাসপাতালের বাইরে নিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। প্রথমে কঙ্কাল বাপ্পির মতো কারবারিরা কিনে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ বা শিক্ষার্থীর কাছে বিক্রি করে দেন।

চাহিদা বাড়ছেই

দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১১২টি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। প্রথম বর্ষ থেকেই কঙ্কাল লাগে। প্রথম বর্ষে প্রতিবছর সাড়ে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এ ছাড়া নার্সিং বা হোমিওপ্যাথির শিক্ষার্থীদেরও কঙ্কাল লাগে। প্রতিবেশী ভারত তো আছেই, নেপালেও মেডিকেল শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। দেশ দুটিতেই ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী বেশির ভাগ মানুষেরই মরদেহ দাহ করা হয়। ফলে আস্ত কঙ্কাল বা ডিসেকশন বিভাগের জন্য আস্ত মরদেহ পাওয়া কঠিন। বেসরকারি মেডিকেলগুলো উচ্চ দামে মরদেহ ‘সংগ্রহ’ করতে হয়।

মেডিকেল কলেজে সাধারণত তিন প্রক্রিয়ায় মরদেহ মেলে—

দানের মাধ্যমে: মরণোত্তর দেহ দান। সাধারণত তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে, তাঁদের দেহ থেকে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যেন কিছু জানতে পারেন। তবে এভাবে নগণ্য সংখ্যক দেহ মেলে। এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না।

হস্তান্তরপ্রক্রিয়ায়: পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীরা তাঁদের ব্যবহৃত কঙ্কাল জুনিয়রদের কাছে বিক্রি করে দেন। এটার চলই বেশি।

বাইরে থেকে ক্রয়: দুটির কোনো উপায়ে না পেলে শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে কঙ্কাল কেনেন। একসময় কালোবাজার থেকে কেনা কঙ্কালকে ‘ইন্ডিয়ান বোনস’ বলা হতো। কেন বলা হতো, তা আজকাল আর কেউ মনে করতে পারেন না। তবে ‘স্মাগলড গুডস’ বা পাচার হয়ে আসার একটা গন্ধ থেকে এমন নাম হতে পারে।

মেডিকেলের নতুন যেকোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে, চাহিদার তুলনায় কঙ্কালের জোগান কম। প্রাক্তন একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘মফস্‌সল থেকে এসে ভর্তি হয়ে কঙ্কালের হদিস পাওয়া কঠিন ছিল। চারদিকে ফিসফাস। কেউ বলে একজন দিয়ে গেছে, কেউ বলে বড় ভাইয়েরটা পেয়েছি। পরে অনেককে ধরে দুজন মিলে ৩০ হাজার টাকায় একজন দালালের মাধ্যমে আসল কঙ্কাল সংগ্রহ করি।’

দাম কত

২০-২৫ বছর আগে একটি কঙ্কালের দাম ছিল ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে পাচারকারীরা। তবে বেসরকারি কলেজগুলোকে পুরো মরদেহের জন্য দেড় থেকে দুই লাখ টাকা গুনতে হয়। শিক্ষার্থীদের নিজেদের কঙ্কাল জোগাড় করতে হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পর কঙ্কাল আর লাগে না। তাই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাভসহ তাঁদের কঙ্কাল বেচে দেন।

মানুষের দাম কমে, কঙ্কালের বাড়ে

একটি মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে এক সিনিয়র ভাই থেকে ২৮ হাজার টাকায় কঙ্কাল কিনেছিলাম। পরে আমি থার্ড ইয়ারে উঠে সেটা ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’

সত্তরের দশকে আমাদের তিন বন্ধু রাজশাহী মেডিকেলে পড়ার সময় তিনজন মিলে একটা ব্যবহৃত কঙ্কাল কিনেছিল। একেকজনের ভাগে পড়েছিল ৩৫০ টাকা। তারা তাদের সন্তানদের কিনে দিয়েছিল ২০-২৫ হাজার টাকায়। একজনের নাতি এবার একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। তার কঙ্কাল কিনতে লাগবে ৬০ হাজার টাকা।

বাজার কোথায়

কঙ্কাল বেচাকেনার সুনির্দিষ্ট জায়গা নেই। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা সবই আছে। যোগাযোগ হয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে। এ কারণে বাড়ছে দাম। একসময় শিক্ষার্থী কম ছিল। তখন অ্যানাটমি বিভাগ থেকে ‘ডোমের’ মাধ্যমে সংগ্রহ করা কঙ্কাল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হতো। এখন শিক্ষার্থী বেশি। চাহিদার কারণে অনেকেই অনৈতিকভাবে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে প্রক্রিয়াজাত করে কঙ্কাল বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আসলে কঙ্কাল যে কোথা থেকে আনা হয়, এটা নিয়ে আমার প্রথমে আগ্রহ কাজ করেনি। মেডিকেল কলেজের সিনিয়র ভাইয়েরা মেনটেইন করে, এমন একটি ফেসবুক পেজ থেকে কঙ্কালের সন্ধান পাই। সেখানে কঙ্কাল বিক্রির পোস্ট দেওয়া হয়। তখন ৩৫-৪০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হতো।’

এক কঙ্কাল বাঁচে কত দিন

কঙ্কাল সঠিক উপায়ে পরিচর্যা করলে সাধারণত ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। কঙ্কালেরও প্রসাধন লাগে। নিয়মিত ট্যালকম পাউডার দিলে হাড় ঠিক থাকে। কঙ্কালের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর তেলাপোকা। সুতরাং এমন স্থানে কঙ্কাল রাখতে হয়, যেখানে তেলাপোকা নেই।

লাশ চুরি বন্ধের উপায়

চাহিদা থাকলে বাজার তৈরি হয়। খোলাবাজারে চাহিদার জিনিস বেচাকেনা নিষিদ্ধ হলে কালোবাজার ডানা মেলে। সেখানে ন্যায়নীতির তোয়াক্কা নেই। তাই মরদেহ চুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। সরকারি থেকে পারিবারিক কবরস্থান—কোথাও মরদেহ নিরাপদ নয়।

মেডিকেল শিক্ষার জন্য অনেক দেশে এখন কৃত্রিম কঙ্কাল ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরাও সেটা ভেবে দেখতে পারি।

শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা কঙ্কালের একটা হিসাব কলেজগুলো সংরক্ষণ করতে পারে। কঙ্কাল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কলেজগুলো স্বচ্ছ ভূমিকা রাখতে পারে। তাহলে নতুন শিক্ষার্থীদের কালোবাজারের হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে না। আবার সিনিয়রদের কঙ্কালের ক্রেতা খুঁজে বেড়াতে হবে না।

কবর খুঁড়ে মরদেহ ও কঙ্কাল চুরি চরম অনৈতিক কাজ বলে গণ্য হলেও দেশের প্রচলিত আইনে এমন কাজের কোনো বিচার বা শাস্তির স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। অপরাধী ধরা পড়লেও নানা ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়। একটা শক্তপোক্ত আইনের কথা বলেছেন অনেক আইনজ্ঞ। পাশাপাশি পৌর কবরস্থানে নজরদারি বাড়াতে হবে।

  • গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক। ইমেইল: [email protected]