বিংশ শতাব্দী ছিল সংক্রামক ব্যাধির শতক। দ্রুত নগরায়ণ, দুটো বিশ্বযুদ্ধ, মানুষের দেশে দেশে অপেক্ষাকৃত অবাধ বিচরণ ইত্যাদি কারণে সংক্রামক ব্যাধিই ছিল গত শতকের বিশ্ব স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। নানা গবেষণা এবং সার্বিক বৈশ্বিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এর অধিকাংশ ব্যাধিকেই নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা গেছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষের রোগবালাইয়ের ধারা বদলে গেছে।
সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধিতেই মানুষ ভুগছে এবং মারা যাচ্ছে বেশি (করোনা মহামারি বাদে)। এর মধ্যে প্রধানত রয়েছে হৃদ্রোগ, সড়ক দুর্ঘটনা, ক্যানসার, কিডনির রোগ ইত্যাদি। ফলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন অসংক্রামক ব্যাধির দিকে জোর দিচ্ছেন। এই রোগগুলোর মধ্যে ক্যানসার মারাত্মক প্রকোপ নিয়ে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্যানসার চিকিৎসায় প্রভূত উন্নতির পরও এখনো বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রচুর। ক্যানসারবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’-এর হিসাব অনুযায়ী, শুধু ২০২০ সালে পৃথিবীতে নতুন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৯ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের বাস এশিয়ায়। প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ ওই বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০৪০ সাল নাগাদ প্রায় ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন।
ধনী দেশগুলোর মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোতেও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া এবং মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু সেই তুলনায় ক্যানসার রোগনির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। আর ক্যানসারের চিকিৎসা আদতেই ব্যয়বহুল। এ কারণে নিশ্চিতভাবেই এসব দেশে ক্যানসার রোগী অনেক বেশি ভুগছেন এবং মৃত্যুহারও এসব দেশে অনেক বেশি।
প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস হিসেবে পালিত হয়। এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’ বা ‘দূর করো সেবা বৈষম্য’। ক্যানসারের চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়েছে পৃথিবী। বেশ কিছু ক্যানসার আছে, যেগুলো শুরুর দিকে ধরা পড়লে এবং ঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী বহুদিন সুস্থ থাকতে পারেন, যা প্রায় নিরাময়ের সমান। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, ক্যানসারের চিকিৎসা পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে আপনি কোন দেশে জন্মেছেন কিংবা আপনি এখন কোন দেশে আছেন, আপনার অর্থনৈতিক সক্ষমতা কেমন ইত্যাদির ওপর।
এটা নিশ্চিতভাবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের জন্য একটা অভিশাপের মতো। যেমন উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে ২০২০ থেকে ২০৪০ সাল নাগাদ ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে প্রায় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ঠিক একই সময়ে এশিয়াতে মৃত্যুহার বাড়বে প্রায় ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ আক্রান্তের হার বাড়ার বিবেচনায় উত্তর আমেরিকার ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশের সাপেক্ষে এশিয়াতে বাড়বে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ।
বৈষম্য নানা ধরনের
ক্যানসার চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের রকমফের আছে। উন্নত অনুন্নত বিশ্বের মধ্যে যেমন আছে ফারাক। ঠিক তেমনি আছে কম বয়সী-বেশি বয়সী, পুরুষ এবং নারী এবং সমাজের অগ্রসর-অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে। ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর অভাব রয়েছে দেশে দেশে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধু ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট স্বীকৃত ক্যানসার সেন্টারের সংখ্যা ৭১টি। চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও আরও ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ক্যানসার সেন্টারের সংখ্যা ৬২টি। অন্যদিকে বাংলাদেশে সরকারি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতালের সংখ্যা মাত্র একটি। এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার বিভাগ রয়েছে, যেখানে ক্যানসার চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুরোনো আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আটটি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের কাজ সম্প্রতি শুরু হয়েছে।
গবেষণা খাতে বৈষম্য
ক্যানসার যেহেতু একটি কোষ থেকে তৈরি হওয়া রোগ, এ জন্য এর সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক রয়েছে। আর এ কারণে দেশে দেশে, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে ক্যানসারের বিস্তৃতি, লক্ষণ এবং চিকিৎসার ফলাফলও একেক রকম। একই ওষুধ একেক দেশের মানুষের জন্য একেকভাবে কাজ করে। এমনকি একই দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যেও রোগের বিস্তার এবং চিকিৎসা বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। এসব কারণে এ রোগের জন্য প্রচুর গবেষণা করতে হয়। রোগের বিস্তার, ধরন বোঝার জন্য যেমন, ঠিক একইভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণেও।
এদিক থেকেও বৈষম্য রয়েছে উন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে। ক্যানসার গবেষণার সিংহভাগ হয় উন্নত দেশগুলোতে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে সরকার ও বড় মাল্টিন্যাশনাল ওষুধ কোম্পানিগুলো। আমেরিকান ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে ৬ দশমিক ২৪৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে গবেষণা খাতে। যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে ক্যানসার গবেষণা খাতে ব্যয় করেছে ৪২১ মিলিয়ন পাউন্ড।
ফলে ক্যানসারসংশ্লিষ্ট গবেষণার সুবিধা ভোগ করে ওই দেশগুলোই বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসারের চিকিৎসাসংক্রান্ত গাইডলাইনগুলো লেখা হয় পশ্চিমা দেশের গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। অথচ ওই নির্দিষ্ট ক্যানসারের ওষুধ বা চিকিৎসাটি আমাদের জনগোষ্ঠীর জন্য কতটুকু উপকারী, সেটা বোঝার অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ হয় না।
নতুন উদ্ভাবনগুলো ব্যয়বহুল
ক্যানসার রোগনির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষা এবং যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো খুবই দামি। খুব সহজে ক্যানসার নির্ণয়ের কোনো পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। যদিও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে, যার মাধ্যমে শরীরের কিছু কোষ কিংবা রক্ত বা কলা নিয়ে সহজে ক্যানসার নির্ণয় করা যায়। ঠিক একইভাবে ক্যানসারের প্রচুর ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। যেহেতু বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এসব আবিষ্কার করে, এ কারণে এর দাম রয়ে যায় দরিদ্র দেশগুলোর সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
ব্যয়ভার বহন করবে কে
ক্যানসার চিকিৎসায় সম্ভবত সবচেয়ে বড় বাধা এর বিপুল ব্যয়ভার। উন্নত বেশির ভাগ দেশেই এখন স্বাস্থ্যবিমা চালু রয়েছে। এ জন্য ক্যানসারের মতো রোগ হলে তাদের চিকিৎসা পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। বিমা কোম্পানিগুলো এ ভার বহন করে। আবার যুক্তরাজ্য বা বিভিন্ন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো সেখানে এই ভার বহন করে সরকার। কিন্তু সমস্যা হয় উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে, যেখানে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে। কিন্তু ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা অপ্রতুল। ব্যয়বহুল চিকিৎসাগুলো বিশেষ করে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ইমুনোথেরাপি সম্পূর্ণ সরকারিভাবে দেওয়া সম্ভব হয় না সব ক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত সঞ্চয় কিংবা বিমা সুবিধা না থাকার কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারেন না। কিংবা করলেও সে ক্ষেত্রে স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি করে হতদরিদ্র হয়ে পড়েন।
ক্যানসার চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব
ক্যানসারের চিকিৎসায় অনেকগুলো বিভাগ জড়িত থাকে। এর মধ্যে আছেন ক্যানসার সার্জন, কেমোথেরাপির বিশেষজ্ঞ বা মেডিকেল অনকোলজিস্ট, রেডিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ বা রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট, হিস্টোপ্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ক্যানসার কেয়ার নার্স, কাউন্সিলরসহ আরও নানা ধরনের চিকিৎসা পেশাজীবী। উন্নত দেশগুলোতে এই পেশাজীবীরা যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ-সংক্রান্ত প্রশিক্ষিত জনবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। একটা তুলনা দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।
২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ক্লিনিক্যাল এবং মেডিকেল অনকোলজি বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫০৬। অন্যদিকে বাংলাদেশে এই সংখ্যাটি ২১০-এর বেশি হবে না। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে অনকোলজিস্ট আছেন ১৬১, যুক্তরাজ্যে ১৩১, জার্মানিতে ১১৫ জন, সেখানে ভারতে আছেন মাত্র একজন এবং আমাদের এই হিসাব মতে বাংলাদেশে এই সংখ্যা এক বা একের একটু বেশি হবে। এর থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে ক্যানসার চিকিৎসায় কী বিশাল ফারাক রয়েছে উন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে।
আর যেহেতু এই প্রশিক্ষণগুলো খুবই বিশেষায়িত, কাজেই এতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করতে একটা দীর্ঘ সময় লেগে যায়। যার কারণে নিশ্চিতভাবেই ক্রমবর্ধমান ক্যানসারের হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না এই দেশগুলোতে। রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা পাওয়ার জন্য। অনেকেই দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা অপচিকিৎসার সম্মুখীন হচ্ছেন।
বিশ্ব ক্যানসার দিবস ২০২২
এসব বিষয়কে বিবেচনায় রেখে তাই এবার তিন বছরব্যাপী ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে বিষয়টি হারিয়ে না যায়, বারবার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারকদের মনে করিয়ে দেওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায় এর প্রয়োজনীয়তা।
এর মধ্যে ২০২২ সালকে নির্ধারণ করা হয়েছে সমস্যার গভীরতা উপলব্ধি করার জন্য। ক্যানসার চিকিৎসায় যে বৈষম্য রয়েছে, সেই বৈষম্যের রূপটি কেমন, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ঘটছে, সেটি বোঝা খুব জরুরি।
কেননা চিকিৎসাব্যয়ের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা না থাকলে তাতে ক্যানসার রোগীর মৃত্যু বাড়ে। প্রতি পদে ক্যানসার রোগীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তার আয়, শিক্ষা, কুসংস্কার, বাসস্থান, লিঙ্গ, জাতিভেদ, বয়স, প্রতিবন্ধিতা এবং জীবনাচার। তাই এখনই সময় দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে প্রশ্ন করার। ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেশে দেশে এবং একই দেশের মধ্যে যে বৈষম্য, তাকে কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করার। একটি ন্যায্যতর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করার।
এর পরবর্তী বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে লক্ষ্য হচ্ছে সবার কণ্ঠস্বরকে একবিন্দুতে আনা এবং তাকে একতাবদ্ধ করা। যাতে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা মানুষ এক হয়ে একটি ন্যায্যতর ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারে, যার যার নিজের অবস্থান থেকে। আর ২০২৪ সালকে রাখা হয়েছে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এই দুই বছরের শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যাতে যাঁরা সরকারপ্রধান আছেন, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান আছেন, তাঁরা এই বৈষম্যের স্বরূপ বুঝতে পারেন এবং একে প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ক্যানসার যে ভয়াবহ হয়ে উঠছে আগামী দিনগুলোর জন্য, সেটা তাঁরা উপলব্ধি করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।
একটি ক্যানসারমুক্ত বিশ্ব আমাদের লক্ষ্য। চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেটি অসম্ভব নয়। সেখানে বাঁধ সাধে নানা প্রতিবন্ধকতা। অদূর ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, আরও ক্যানসার সেন্টার স্থাপন, স্বাস্থ্যবিমা প্রচলন, ক্যানসার গবেষণায় জোর দেওয়া, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের তহবিল ক্যানসার চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে আমরা এ বাধাগুলোকে জয় করতে পারব আশা রাখি।
ডা. হাসান শাহরিয়ার, সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি), জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।