১০০ বছর পূর্তির পথে চীনা ড্রাগন
ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে চীনের বড় ফারাক দেশটিতে সিভিল সোসাইটি না থাকা। রাষ্ট্রই সেখানে সব। ক্ষমতাসীন দলই সর্বত্র সর্বগ্রাসী। অর্থনীতি পুঁজিতান্ত্রিক হলেও শাসক দলের নাম ‘কমিউনিস্ট পার্টি’। এ মাসেই ‘সিপিসি’ নামে পরিচিত সেই দল ৯৯ বছর পূর্ণ করল। এবার উদ্যাপন তেমন কিছু হয়নি। ব্যাপক আয়োজন থাকবে আগামী বছরের জুলাইয়ে। তার ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে এই দলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণাও।
নিজেদের পাল্টিয়েছে; ভূরাজনীতিও পাল্টাতে চায় তারা
বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৬৫ গুণ বড় চীন। ১৪০ কোটি মানুষের দেশে রাজনৈতিক দল মূলত একটি। একালের জন্য এটা অস্বাভাবিক এবং বিস্ময়কর। পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানেই শ্রেণিবিভক্ত সমাজ। শ্রেণিবিভক্ত সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির স্বার্থ এক দলে সমন্বয় করা দুঃসাধ্য। সিপিসি সেই কাজই করছে। ব্যাপারটি স্বাভাবিক নয়। তারা যে সব ঠিকঠাক ম্যানেজ করতে পারছে, তাতে বিস্ময় আছে বৈকি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একটি সিপিসি। প্রায় নয় কোটি সদস্য তার। ভারতে বিজেপি দাবি করে, তাদের সদস্য আরও বেশি। এই দাবির সত্যতা যা–ই হোক, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দুটি দলই এখন পাশাপাশি দেশে ক্ষমতায়।
১৯৮০ সালে গড়ে ওঠা বিজেপি মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে কয়েক দফায় সরকার গড়েছে। প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর পার্লামেন্টে বড় অঙ্কে আসন পায় তারা। সিপিসিকে ক্ষমতায় আসতে ২৮ বছর সশস্ত্র-নিরস্ত্র নানান রূপে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তারপর ১৯৪৯ সাল থেকে একনাগাড়ে প্রায় সাত দশক তারা চীনের শাসক।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলের শত বছরের কালে দুটি বড় লক্ষণ চোখে পড়ছে। চীনকে আমূল বদলে দেওয়ার পাশাপাশি বাকি বিশ্বের ভূরাজনীতিও পাল্টে দিতে চাইছে তারা। সেই আকাঙ্ক্ষার উত্তাপে দুনিয়াজুড়ে দেখা দিয়েছে বিপজ্জনক উত্তেজনার ঢেউ। অতীতের ঘুঘুর জায়গায় বিশাল এক বাজপাখিকে দেখে সবাই নড়েচড়ে বসছে।
ন্যাটোর গোয়েন্দা বাহিনী বনাম ফ্যাক্টরি বিপ্লব
চীনে নাগরিক স্বাধীনতার মান ও মাত্রা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু দেশটির সমালোচকেরাও অর্থনৈতিক উত্থানের স্বীকৃতি না দিয়ে পারেন না। আজকের চীন অবকাঠামো ও শিল্পোন্নয়নে এক বিস্ময়। এই অর্জনের কৃতিত্ব সিপিসির।
সচরাচর বড় দলে আমলাতান্ত্রিক ধীরগতি ও আদর্শের অনড়তা থাকে। সিপিসি এর ব্যতিক্রম। একদা কঠোর সমাজতান্ত্রিক অবস্থান ছিল। সে জায়গা থেকে রাষ্ট্রীয় পুঁজিতন্ত্রে নিজেদের রূপান্তর করে নিয়েছে তারা। আদর্শিক এই মোড় পরিবর্তনে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নিয়ন্ত্রণ হারায়নি সিপিসি। রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক জোটে এ কাজেই ব্যর্থ হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলগুলো।
বরাবরই ভুল থেকে দ্রুত নিজেকে উদ্ধার করেছে এই দল। মাও সে–তুংয়ের আমলে এবং পরেও তার নজির আছে। এবার করোনাকালেও সেটাই দেখা গেল। তাদের সূত্রেই এল মহামারি। কিন্তু নিজেরা পরিস্থিতি অনেকখানি সামলে নিয়েছে। বছর শেষের আগেই তারা ভ্যাকসিনও নিয়ে আসবে।
প্রায় ১০০ বছর বয়সী দলটিতে কখনোই নেতৃত্বের সংকট হয়নি এবং নেতাদের দল পরিচালনায় অক্ষম মনে হয়নি। দলীয় গতিশীলতার সঙ্গে দক্ষ নেতৃত্ব মিলে সিপিসি আমূল বদলে দিয়েছে চীনকে।
দারিদ্র্যের কারণে চীনকে একসময় বলা হতো ‘এশিয়ার রুগ্ণ মানব’। গত ৭০ বছরে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানে মোটাদাগে পরিবর্তন আনতে পেরেছে নেতৃত্ব। পাশাপাশি চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। প্রায় ২০০ দেশের বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্তত ১৫ ভাগ হিস্যা চীনের। এসব সফলতার জন্য বিদেশিরা সচরাচর দেশটির রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদী পথকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন দিয়ে থাকে। তবে মাও সে–তুংয়ের সমাজতান্ত্রিক আমলেই উন্নয়নের গ্রামীণ পাটাতন তৈরি হয়। এই দুয়ের সমন্বয়েই সিপিসি ‘সমাজতন্ত্রে’র দেশজ এক ‘পথ’ খুঁজে নেয়। কৃষিভিত্তিক চীনকে বৈশ্বিক ফ্যাক্টরি বানিয়ে সস্তা শিল্পপণ্যে সয়লাব করে দিয়েছে তারা দুনিয়া। ন্যাটোর গোয়েন্দারা দেশে দেশে কমিউনিস্টদের খুঁজে ফেরার মধ্যেই চীনের ‘ফ্যাক্টরি বিপ্লব’ ভোক্তা-বিশ্বের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়।
সংকটের তালিকাও অনেক লম্বা
৯৯ পেরিয়ে ১০০ বছর পূর্তিকালে চীনের শাসক দলের সামনে সংকটের তালিকাও অনেক লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিব্বতিদের অসন্তোষ তৈরি করেছিল মাওয়ের আমল। এতে যুক্ত হয়েছে ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন গণহত্যা, উইঘুর অঞ্চলের নিপীড়ন, তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডে যুক্ত হওয়ার স্থায়ী চাপ, হংকংকে গলা টিপে রাখার চেষ্টা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ।
সবচেয়ে বিপজ্জনক সংকট হিসেবে ধামাচাপা পড়ে আছে নাগরিকদের মধ্যে আয়বৈষম্য। শহুরেরা গ্রামের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। সমাজের নিচুতলার ২৫ ভাগের কাছে দেশের সম্পদের মাত্র এক ভাগ রয়েছে। উঁচু তলার এক ভাগের কাছে জমা হয়েছে সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ। বিশ্বে এ রকম বৈষম্য বেশ বিরল। খোদ পিকিং ইউনিভার্সিটিরই গবেষণা তথ্য এটা।
বিশ্বে প্রতি ১০ জন নতুন বিলিয়নিয়ারের চারজন তৈরি হচ্ছে এখন চীন থেকে। ইতিমধ্যে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৪০০ দাঁড়িয়েছে। হংকং, ম্যাকাওসহ হিসাব করলে সংখ্যাটা আরও বেশি। এটা বেশ কৌতুকর, কথিত ‘কমিউনিস্ট পার্টি’র শাসনেই এমন ঘটতে পারছে। একই সময় প্রায় ৮৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য অবস্থা থেকেও তারা উদ্ধার করেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বেঁধে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রান্তিক জেলাগুলোকে চরম দারিদ্র্য নির্মূল করতে হবে। সিপিসি তার ১০০ বছর পূর্ণ করতে চায় চরম দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় এনে। এই লক্ষ্যের মানে হলো সবার আয় বছরে অন্তত ৩২৪ ডলারের ওপরে নিতে হবে। দলের কয়েক লাখ সদস্য দেশব্যাপী এখন বাড়ি বাড়ি তদন্ত করে দেখছে মাঠের দারিদ্র্য অবস্থা। দেশের সবার মাথাপিছু আয় ২০২১ সালে ২০১০-এর দ্বিগুণ হিসেবে দেখতে চায় সিপিসি। এ রকম একটা রাজনৈতিক দল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে ঈর্ষান্বিত না করে পারে না। তবে ‘উন্নয়নের মডেল’ হলেও মানবাধিকারের মানদণ্ডে চীন বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে না মোটেই। আন্তর্জাতিকভাবে চীন হয়ে উঠেছে ‘নাগরিকদের ওপর সর্বাত্মক নজরদারি’নির্ভর রাষ্ট্রের মডেল। অথচ মাও সেই ১৯৫৬ সালে ‘শতফুল ফুটতে দাও’ নীতির কথা বলতেন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সক্রিয়রা চীনের কাছ থেকে কোনো মদদ পায় বলে নজির নেই। বরং উল্টোটি ব্যাপক। দেশে দেশে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসকদের নির্বিচারে অর্থ-সম্পদ দিয়ে সহায়তা করা চীনের পররাষ্ট্রনীতির বড় এক ধরন এখন। নিজের আধিপত্যের পরিসর বাড়ানো ছাড়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কোনো বালাই চীনের বিদেশনীতিতে খুব একটা দেখা যায় না। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ চীনের ওই কূটনীতির বড় এক শিকার।
গত কয়েক দশকে চীনের একটা সুপরিচিত স্লোগান ছিল ‘শান্তিপূর্ণ পথে উঠে দাঁড়ানো’। সর্বশেষ পরিস্থিতি বলছে চীন ‘যেকোনো মূল্যে’ উঠে দাঁড়াতে ইচ্ছুক। চীন রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত সমস্যা মিটিয়েছিল ১১ বছরের আলোচনায়। ১৯৯৯ সালে বেলগ্রেডে চীনের দূতাবাস গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ন্যাটো বিমান। চীন সেসব উসকানিতে নীরব থেকেছে। কিন্তু লাদাখে ভারতের সঙ্গে এগিয়েছে উল্টো পথে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সর্বশেষ মনোভাব চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। বেইজিংকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলতে পারা যুক্তরাষ্ট্রের শাসকদের জন্য রাজনৈতিক স্বার্থে লাভজনক। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে এ মুহূর্তে ব্যাপক চীনবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চলছে। এটা সামলাতে সিপিসির আন্তর্জাতিক কোনো মিত্র নেই। যে শাসকদের তারা অর্থবিত্ত দিয়ে ‘বন্ধু’ বানিয়েছে, তাদের চীনের হয়ে লড়ার নৈতিক শক্তির ঘাটতি আছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে শত শত কোম্পানি চীন থেকে বিনিয়োগ স্থানান্তর করছে। প্রেসিডেন্ট সির বহুল আলোচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ও প্রত্যাশিত চমক দেখাতে পারেনি। ব্রিকস নামের ব্যাংকও কাজ করছে না ভালোভাবে। অথচ সেটা বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হতে চেয়েছিল।
সিপিসির লক্ষ্য ২০৪৯
সিপিসির জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত। ২০২১ সালকে বিপুল আয়োজনে রঙিন করে রাখতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু যুদ্ধের উত্তেজনায় কাঁপছে চীন সাগর। প্রতি সপ্তাহে দেশটির বিরুদ্ধে কোনো না কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। বিবৃতি ও নিন্দা চলছে হররোজ। মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় চীনকে কীভাবে কোণঠাসা করা হবে, সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান ইশতেহার। অথচ গত বছরও উভয় দেশের মাঝে প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে বলেছে, তারা সিপিসি সদস্য এবং তাদের পরিবার-পরিজনের যুক্তরাষ্ট্রে আসা বন্ধ করতে চায়। এর মানে, চীনের প্রায় সব নেতার জন্য ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা। অবিশ্বাস্য এক প্রস্তাব। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সপ্তাহেই চীনের জনগণকে সিপিসির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্যও বলছেন। উসকানিমূলক এসব বক্তব্যের কূটনীতিক মূল্য সামান্য। কিন্তু চীন ও সিপিসিকে ঘিরে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য মিলে বহু দেশে ঘৃণার উন্মাদনা শুরুর লক্ষণ স্পষ্ট। এ পরিস্থিতি সিপিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দলটি ঘরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে রকম হাত পাকিয়েছে, বিদেশে তার সামান্যই পারবে।
দেং জিয়াও পিংয়ের আমলে সিপিসিতে যৌথ নেতৃত্বের যে সংস্কৃতি চালু হয়, বর্তমানে তা দুর্বল হয়ে গেছে। সি চিন পিংয়ের নীতি এ মুহূর্তে সিপিসিকে আপাদমস্তক প্রভাবিত করছে। তিনি একই সঙ্গে দেশের প্রেসিডেন্ট, দলের সেক্রেটারি এবং আর্মির প্রধান। তাঁর মনস্তত্ত্ব বলছে, আপাতত বিরুদ্ধবাদীদের সঙ্গে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেই এগোতে চায় সিপিসি। হংকংয়ে বিরুদ্ধবাদীদের সেভাবেই মোকাবিলা করা হচ্ছে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় হামেশা চীনের যুদ্ধবিমান ওড়ানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ননীতির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী গর্বের মিশেল ঘটাতে চাইছেন সি। ১০০ বছর পূর্তিকালে চীনকে নতুন উচ্চতায় মুরব্বিশক্তি হিসেবে দেখতে চান তিনি। এটাকে বলছেন ‘চীনের স্বপ্ন’। এই স্বপ্নের ভেতর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কতটা আছে, তা নিয়ে বিশ্ব নিশ্চিত নয়, যা আন্তর্জাতিক পরিসরকে চীনের পক্ষে-বিপক্ষে দুভাগ করে ফেলেছে। বিভিন্ন দেশে প্রতিরোধের শিকার হচ্ছে চীনের কোম্পানিগুলো। এ অবস্থার দায় বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের। সামনের দিনগুলোয় সিপিসির ভাগ্য সেঁটে থাকবে সি চিন পিংয়ের নীতির সফলতা-ব্যর্থতার ওপর। তবে আগামী বছর প্রতিষ্ঠার ১০০ বছরের পাশাপাশি ২০৪৯ সালে ক্ষমতায় থাকার শতবর্ষও উদ্যাপন করতে চায় দলটি। তত দিনে তারা বিশ্বের প্রধান মুরব্বি হতে চায়। চীনা ড্রাগনের সেই আকাঙ্ক্ষার গরম নিশ্বাস পড়ছে এ মুহূর্তে চারদিকে।
আলতাফ পারভেজ: ইতিহাস বিষয়ে গবেষক