কেন তুমি নতমুখ, শহীদ মিনার?

কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে শিশুরা। আটানী পুকুরপাড়, ময়মনসিংহ, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আনোয়ার হোসেন
কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে শিশুরা। আটানী পুকুরপাড়, ময়মনসিংহ, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আনোয়ার হোসেন

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার সময় পাকিস্তানি সেনারা দম্ভ করে বলেছে, ‘হার ঘর শহীদ মিনার বানা দেঙ্গে।’ অর্থাৎ, প্রতিটি ঘরকেই শহীদ মিনার বানিয়ে দেব। হ্যাঁ, তারা প্রায় প্রতিটি ঘরেই কাউকে না কাউকে শহীদ করেছিল। ভেঙে ফেলেছিল দেশের সব শহীদ মিনার। স্বাধীন বাংলাদেশ এর জবাব দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি নগর প্রাঙ্গণে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে এবং একুশে দিবসের আগে আঙিনায়-মাঠে শহীদ মিনার বানিয়ে জবাব দিয়েছে, আমাদের প্রতিটি ঘরেই শহীদ, আমাদের প্রতিটি প্রাঙ্গণেই শহীদ মিনার।

২.
ভাষা আন্দোলন কি ওষধি বৃক্ষ যে একবার ফল দিয়েই ফুরিয়ে যাবে? এর বৈশ্বিক ঐতিহাসিক মাত্রাটি এখনো বুঝে উঠেছি বলে মনে হয় না। ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নেটিভ জাতি এমন রাজনৈতিক কল্পনা সৃষ্টি করল যার দাবি বিশ্বজনীন। ফরাসি বিপ্লব এনেছিল সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার দাবি। পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন হাজির করে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার রূপরেখা।

জিন্নাহর দরবারি রাষ্ট্রভাষার বিরুদ্ধে বাঙালি মুসলমানের এজমালি বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি নিছক ভাষার দাবি না। তা আত্মপরিচয় ডিকলোনাইজ করার অভিপ্রায়। পলাশীর পরাজয় থেকে শুরু হয়ে ঔপনিবেশিকতার পোষ্য রেনেসাঁ এবং সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে জনসমাজের জবাব, যার গুরুত্ব সর্বজনীন-বিশ্বজনীন। এবং তা ঘটিয়ে তুলেছেন ব্যক্তি মহাপুরুষেরা নন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। রেনেসাঁ-মানব খুঁজতে অতিকায় মহাপুরুষ খোঁজার দরকার নেই কলকাতাইয়া নবজাগরণের কায়দায়, বরং আমাদের তাকাতে হবে ধারাবাহিক আন্দোলনগুলোর দিকে—৪৮ থেকে ’৭১ অবধি একেকটি আন্দোলন একেকটি মহাপুরুষের চেয়েও অনেক এগিয়ে দিয়েছিল দেশকে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি এরই পরোক্ষ পরিচয়। সরাসরি এর মর্ম উদ্ধার এ সময়ের রাজনৈতিক দার্শনিকের কাজ।

৩.
৫২ এক সক্রিয় স্মৃতি বাংলাদেশে। বছর যায়, আর ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আরও দূরে চলে যায়, শহীদদের কবরের মাটি আরও পুরোনো হয়। কিন্তু প্রতিবছর নতুন নতুন শহীদ মিনার দাঁড়ায় বাংলাদেশজুড়ে। এখন বাংলার ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত মিনার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানবীয় সাংস্কৃতিক স্থাপত্য। একই চেতনায় একই আদলে আর কোনো সাংস্কৃতিক স্থাপত্য এত বেশি সংখ্যায় বিশ্বে আর বানানো হয়নি। পৃথিবীর আর কোনো দেশে আর কোনো জাতীয় ঘটনার স্মরণে এত বেশি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক স্থাপত্য নির্মিত হয়নি। ফ্রান্সের বানানো যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অব লিবার্টি তারই প্রতীক। এটি পশ্চিমা দুনিয়ায় সবচেয়ে নন্দিত সাংস্কৃতিক স্থাপত্য। তাহলেও এটি এক স্থানেই সীমিত। এর অজস্র অনুকৃতি বাজারে বিক্রি হয়, কিন্তু সেগুলো স্যুভেনির, শহীদ মিনারের আবেগ ও সম্মান তা জাগায় না।

উপাসনা কেন্দ্র ছাড়া আর কোনো সাংস্কৃতিক প্রতীককে এত বেশি বন্দনাও দেয়নি কোনো জাতি। একই দিনে বহু দেশে একই চেতনায় এত বড় সাংস্কৃতিক জমায়েতও আর হয় না। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কল্যাণে শহীদ মিনার ও একুশে আজ বিশ্বায়িত।

বাঙালি জাতির ইতিহাসেও শহীদ মিনারের মতো এত শক্তিশালী আর কোনো রাজনৈতিক প্রতীকের জন্ম হয়েছে কি না, জানা নেই। ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার উভয়ই আরেকটা সত্য তুলে ধরে—ভাষা নিজেই একটা রাজনৈতিক ক্ষেত্র, সেই ক্ষেত্রে যা মাথা তুলবে তার চরিত্রও তাই হবে রাজনৈতিক। আর সেই রাজনৈতিকতা জনসমাজের ভেতর থেকেই জাগবে, যদি তা ভাষাকে মুক্ত করতে চায়।


৪.
জাতীয় চেতনার উদ্‌গাতা হলেও ‘শহীদ মিনার’ শব্দযুগল আরবি ও উর্দু থেকেই আসা। রাষ্ট্রভাষা দাবির ভাষাও কৃষকের ভাবের ব্যাকরণে গঠিত। ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ কিংবা ‘ওরে বাঙালি ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি’ এমন অনাগরিক লোকমন ভাষার জমিনে বর্ণ-শুচিতাকে কটাক্ষ করে। ৮ ফাল্গুনের বদলে একুশে ফেব্রুয়ারি, স্মৃতিসৌধ না বলে শহীদ মিনার করা দিয়ে বোঝায় ভাষাবিদ্বেষ নয়, জাতিবিদ্বেষ নয়, ধর্মবিদ্বেষ নয়; বরং সর্বভাষার সর্বজনের অধিকারের কথাই শহীদ মিনার বলবে। সটান শিরদাঁড়া তবু নতমুখ ভঙ্গিমা দিয়ে এ বলে, জাতীয়তাবাদের উদ্ধত গর্ব এ নেবে না। মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় স্মৃতিসৌধ মহাকাব্যিক, শহীদ মিনার লোকগানের মতোই সহজিয়া। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক আর শহীদ মিনার দেশের রোরুদ্যমান আত্মার প্রতীক। জাতীয় স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রিক, শহীদ মিনার সামাজিক। জাতীয় স্মৃতিসৌধ দৈশিক, এর অংশী বিশ্বের বাঙালিরা—শহীদ মিনার বৈশ্বিক, এ সর্বজাতির ভাষিক অধিকারের সহজিয়া প্রতীক।

সব সম্প্রদায়ের সব আদর্শের অবিসংবাদী মানুষের উদ্বোধন ও শেষকৃত্য শহীদ মিনারকে সাক্ষী রেখে করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জারি আছে এক দুনিয়াবি ট্র্যাডিশন—এক সেক্যুলার আধ্যাত্মিকতা।

৫.
সেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে ক্ষমতার কারবারিরা ‘ইতিহাস’ বানিয়ে ফেলেছে। শহীদেরা জীবন দিয়েছে সবার জন্য সবার মধ্যে থেকে—তাঁদের ওরা নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। একুশ ছিল ক্রোধ আর সংগ্রামের, আগুন নিভিয়ে তাকে ওরা বসিয়ে রেখেছে করুণ গানের আসরে। বাংলা আজ কাজের ভাষা—কাজের লোকের ভাষা হিসেবে সর্বত্র প্রচলিত—রাজভাষা তখনো এবং এখনো ইংরেজি। যাঁদের সন্তানেরা একুশ গড়েছেন, একাত্তর রচনা করেছেন, সেই নিম্নবর্গীয় জনগণের অনেকে মাতৃভাষার অক্ষর চেনে না। নিরক্ষর নিরস্ত্র দশায় আপন ভাষাকে তারা কীভাবে বাঁচাবে ও পক্ষে রাখবে?

আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চেয়েছিলাম, কিন্তু সর্বজনীন বাংলা ভাষার রাষ্ট্র হয়নি। ভাষা নিয়ে চলমান বিতর্কের শাঁসটা সম্ভবত এখানেই। ভাষা প্রশ্নের যে মীমাংসা সমাজে হয়নি, তার মীমাংসা রাষ্ট্রের মাধ্যমে, আইনের ক্ষমতা কায়েমের মাধ্যমে কতটা করা যাবে, তা নির্ণয় করা কঠিন। রাষ্ট্র বা আইনের মাধ্যমে ভাষার জন্ম হয়নি, রাষ্ট্র বা আইনের মাধ্যমে তার চলন-বলন ঠিক হওয়ারও নয়। আর মীমাংসার ক্ষমতাই বা কোন সমাজের আছে? সমাজ তো একের মধ্যে বহু। এক হাঁড়ির ভাত তো আমরা খাই না। সমাজে যত বর্গ আছে, ভাষার তত রকম স্বভাব আছে, আছে সামাজিক ব্যাকরণ। তাই আমরা যাকে ‘ভদ্রলোকী’ ভাষা বা ‘প্রমিত’ ভাষা বলি, তাকেই বাংলা ভাষার একমাত্র পূর্ণ বা শুদ্ধ রূপ বলে দাবি করা যায় না। তা ভাষা-পুস্তকের প্রচ্ছদের মতো, মূল বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো বিবিধ বাংলায় লেখা।

তাই দরবারি বাংলাকে যাঁরা প্রাণের ভাষা, মনের আশা আর মাটির ঘ্রাণের কাছে টানতে চান, তাঁরা চাইবেনই এই ভাষা চলন-বলনে ঔপনিবেশিক ঠাঁট, বাবুয়ানা আর ক্ষমতার ডাঁট ছাড়ুক। তা মুখের ভাষার যত কাছে পারা যায়, আসুক। সেই কাছে আসার সুফল আইনের ভাষায়, সরকারি লেখনীতে আর শিক্ষার মাধ্যমেও ঢুকে পড়ুক। এই চাওয়ায় দোষ তো নেই-ই, বরং বাংলা গদ্যভাষার জড়তা ও শুষ্কতা কাটাতে এ ছাড়া উপায়ও নেই। তার মানে ধরা যাক, ঢাকাই বাংলার ‘চলতেছে’, ‘খাইতেছে’, ‘যাইতেছে’-কে মান-বাংলার মধ্যে জোর করে বসিয়ে দেওয়া না। ঢাকাই বাংলাকে বাকি সব অঞ্চলের বাংলার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ফল কি কলকাতার বাংলাকে চাপিয়ে দেওয়ার মতোই না?

সাহিত্যে কোন ভাষারীতি ব্যবহৃত হবে, জনসভায় কোন টানের বাংলা উচ্চারিত হবে, তা ঠিক করে দেওয়ার কেউ নেই। মান-বাংলার সঙ্গে এর কোনো বিরোধও থাকার কথা নয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, মান-বাংলাই শুদ্ধ, বাকিগুলো উপভাষা এবং সেগুলো অপূর্ণ। এমন ধারণার কোনো ভাষাতাত্ত্বিক ভিত্তি নেই। ভাষাতাত্ত্বিকেরা ভাষার শ্রেষ্ঠত্ব বা হীনতা বিচার করেন না, তাঁরা দেখেন ভাষার বৈচিত্র্য ও সম্ভাবনা। যাকে বলা হচ্ছে উপভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা, তা-ই কিন্তু ভাষার মূল খাত। মুখের ভাষাই পূর্ণাঙ্গ ভাষা। সেসব ভাষাতেই বেশি মানুষ কথা বলে। ভাষা হিসেবে সেগুলো টিকে থাকার অর্থ, সেগুলো শুদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিক। মুখের ভাষার এই দাবিই জানানো হয়েছিল বায়ান্নতে ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ গানে।

তাহলে করণীয় দাঁড়াল দুটি: এক. দরবারি ভাষাকে জনভাষায় পরিণত করা এবং রাষ্ট্রকে তা মানতে বাধ্য করা। দুই. প্রমিত বাংলার খবরদারি ও শ্রেষ্ঠত্বের বড়াই বাদ দিয়ে তাকে কাজের ও যোগাযোগের এজমালি ভাষা করে তোলা।

৬.
এ কাজ কারা করবেন? আমরা সবাই মিলেই করব। আমাদের মুখের কথা, লেখার গদ্য, উপস্থাপনের ভঙ্গিকে বাংলা ভাষার বিপুল বৈচিত্র্যের সঙ্গে মানিয়ে নেব। শহুরে ভদ্রলোকদের একটা সাংস্কৃতিক বৈরিতা আছে কৃষি-মানুষের প্রতি, সেটাকেই তারা শুদ্ধতার বড়াই হিসেবে প্রচার করে। তাদের কথামতো ‘মান-বাংলাকে’ পবিত্র বা শুদ্ধ বলে কোটরবাসী করব না, তাকে হাঁটাব-চলাব জনমানুষের পাশাপাশি। সরকারি কাজ, আইনের কাজ, সংবাদমাধ্যমের কাজ সেই এজমালি বাংলাতেই করব বটে, কিন্তু আমাদের ভাব প্রকাশের মধ্যে দেশি ও গ্রামীণ ভাষাভঙ্গিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বইতে দেব, উচ্চারিত হতে দেব। আর ভরসা করব, তরুণতর সাহিত্যিক ও শিল্পীদের প্রতি, যাঁরা বাংলা ভাষার আদাড়-বাদাড়, সুলুক-মুলুক, নগর-মফস্বল, ভদ্রলোক-ছোটলোক সবার অবদানকে আরও কর্ষিত করবেন তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে। এভাবেই ‘ছোটলোকের’ ভাষা বলে একদা প্রান্তিক বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে তার জন্য দরকার ‘ছোটলোক’ বলে দাবিয়ে রাখা মানুষের উঠে আসা।

দেখতে পাচ্ছি, তারা আসছে—গণশিক্ষা বিস্তারের পথ দিয়ে, নিজেদের জীবন আর মন নিয়ে অযুত-নিযুত সংখ্যায় উঠে আসছে ভাষার মহাসড়কে। তাদের এই উঠে আসার ছাপ তাদের ভাষায় ও সংস্কৃতিতে আলবৎ পড়বে। ময়দানে আর মহাসড়কে এরা কল্লোলিনী দরবার বসাবে। একাত্তরে এরাই তো ‘আর দাবায়ে রাখবার পারবা না’ শুনে উদ্বেলিত হয়েছিল। সেই ডাকটাও কিন্তু ‘গেঁয়ো’ ও ‘আঞ্চলিকই’ ছিল। একে অশুদ্ধ আর অপবিত্র বলে ঠেকিয়ে রাখার সাংস্কৃতিক রাজনীতির অবসান দরকার।

৭.
বাংলাদেশ যদি শহীদের দেশ হয়ে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ শহীদ মিনারেরও দেশ। কিন্তু আমরা এ-ও দেখেছি, দেখতে হয়েছে, শহীদ মিনারকে কোনো বিশেষ দলের লোকেরা কুক্ষিগত করে রেখেছে। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাউকে সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিবাদীরা আর আগের মতো শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে মনের কথা বলতে পারেন না।

প্রত্যেকে যখন আমরা প্রত্যেকের মাথা ছাড়িয়ে উঠতে চাইছি, তখন দেশের শহীদ মিনারগুলোর মাথা পরাজয়ে নত ও লজ্জিত। শহীদের বেদিতে আগে রক্তদান হতো, এখন নীরবে অশ্রু ঝরে। সেই উপকথার স্মরণে শিশু-কিশোরেরা আজও বাঁশ-কাঠের মিনার বানায়—পুরাকালের বাঁশের কেল্লার মতো করে।

ফারুক ওয়াসিফ: প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ও কবি।
[email protected]