প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের বীরত্ব, পাঠচর্চা, লেখা ইত্যাদি বিষয়ে লিখছি তাঁর জন্মদিবসে। আর সংগত কারণেই প্রীতিলতা-চর্চার পশ্চাৎপট আমার অন্তরাত্মাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
প্রীতিলতা পাঠচর্চা, লেখা ও কাজের পরিক্রমায় একদা দেখা পেলাম শ্রদ্ধেয় বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের। আমাকে তাঁর সদ্য প্রকাশিত (সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ বইটি দিয়েছিলেন স্নেহ, আশীর্বাদ জানিয়ে। সেই থেকে আজ অবধি প্রীতিলতার জীবন-উৎসর্গ, বিপ্লবী কাজ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক আরও বহু কর্মকাণ্ডের চর্চা চলেছে নানাজনের বই লেখার মধ্য দিয়ে—বাংলাদেশ ও কলকাতায়। সেই সঙ্গে সেমিনার, নাটক, পাঠচক্র এবং প্রীতিলতা হল, প্রীতিলতা ট্রাস্ট ভবন ইত্যাদি অব্যাহতভাবে চলেছে বাংলাদেশে।
প্রীতিলতার জন্মশতবর্ষ (৫ মে, ১৯১১) স্মরণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেথুন মহাবিদ্যালয়, ইতিহাস বিভাগ, (কলকাতা) ২০১০ সালের ২৬-২৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। ‘প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বেথুন কলেজ অ্যান্ড রেভল্যুশনারি মুভমেন্ট ইন কলোনিয়াল পিরিয়ড’ শিরোনামে এই সেমিনারের প্রধান উদ্যোক্তা কলেজের সাবেক অধ্যাপক উত্তরা চক্রবর্তীর উদ্যোগে আমন্ত্রিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার ও সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের। সেমিনারে আয়োজন করা হয়েছিল প্রীতিলতার জীবন-সংগ্রাম নিয়ে সচিত্র প্রদর্শনীর। পুলিশের গোপন তথ্যাদির ফাইলপত্র, কাগজপত্র সেখানে দেখার ও পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
সেই সময়ই প্রীতিলতার ভাইবোনদের খোঁজ পেলাম তাঁদের পরিচিত কেয়া বসুর কাছে। তিনি আমাকে দিয়েছিলেন প্রীতিলতার ছোট বোন শ্রী শান্তি চৌধুরী বি. এ. বিটি রচিত ‘বীরাঙ্গনা প্রীতিলতা’ বইটি। দেব সাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত বইটিতে মুদ্রিত আছে ‘মাননীয় শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য উপপাঠ্যরূপে মনোনীত’ [কলকাতা গেজেট-১২ই এপ্রিল, ১৯৫৩ ]। শান্তি চৌধুরীর দেখা পাইনি। তবে খোঁজ পেয়ে দেখা করলাম প্রীতিলতার আরেক ছোট বোন স্নেহলতার সঙ্গে। তিনিও একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন।
বইটির শুরুতে শান্তি চৌধুরী (বিয়ের পরের পদবি, আগে ছিলেন ওয়াদ্দেদার) লিখেছেন: ‘...চট্টলার এক প্রান্তে একদিন এক অগ্নিশিখা জ্বলে উঠেছিল। আজ আর এ কথা কারো অজানা নেই যে, সে অগ্নিযজ্ঞের প্রধান হোতা ছিলেন চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাইস্কুলের প্রাক্তন অঙ্কের মাস্টার সূর্য সেন। বাংলার মেয়েরাও বুঝি সে আগুনের স্পর্শলাভ করেছিল। আর আমার প্রীতিদি ছিলেন তাঁদেরই অন্যতম।’... (পৃ. ৫)
তিনি আরও লিখেছেন, ‘দিদি আমার-পূজনীয়া প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মাস্টারদার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চট্টলায় এক মঙ্গল-ঘটের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আর এক অনির্বাণ দীপশিখা জ্বালিয়ে বাংলার মেয়েদের আকর্ষণ করে গেছেন। প্রীতি-দির সেই মঙ্গল-ঘট প্রতিষ্ঠা কি ব্যর্থ হয়েছে? তাঁর সেই দীপশিখা কি নিভে গেছে সেদিনই সকলের অগোচরে? না, সে অগ্নিশিখা যে নিবেও নিবে না!...দিদির আত্মদান ব্যর্থ হয়নি—হবে না, যদি বাংলার মেয়েরা আজ এগিয়ে আসে, যেখানে অন্যায়, যেখানে অবিচার, সেখানে নিজের সুখ-দুঃখ তুচ্ছ করে প্রতিবাদ জানায়!’ (পৃ. ১৩-১৪)
বড় দুঃখে-কাতরতায় তিনি বলেছেন, ‘মাত্র একুশ বছরে পড়তেই দিদি আমার সকলের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে অনন্তের পথে যাত্রা করেছেন। এই একুশ বছর বয়সে তাঁর কার্যাবলী ছিল সকলের অলক্ষ্যে। নিজেকে জাহির করা তাঁর স্বভাব ছিল না। তা ছাড়া গোপনতা রক্ষা করা ছিল বিপ্লবীদের কাজের একটি অঙ্গ।’ (পৃ. ১৪)
স্মৃতিকথায় শান্তি চৌধুরী সংক্ষেপে জানিয়েছেন তাঁদের মা প্রতিভা ওয়াদ্দেদার ও বাবা জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদারের পূর্বপুরুষের জীবনযাপনের ক্রম ইতিহাস। মা ছিলেন বড়লোক বাড়ির মেয়ে। নয় বছরে বিয়ে হওয়ার পর দরিদ্র স্বামীর সংসারে যখন এলেন, তখন থেকে আনন্দে-কষ্টে ছয় সন্তান; মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, স্নেহলতা, সন্তোষদের বড় করেছেন, ‘বাড়িটিকে শ্রী ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করে তুলেছিলেন। দাদামশাই ও বাবার আগ্রহে মা বেশ লেখাপড়া শিখেছিলেন।...হোমিওপ্যাথিকের মোটা মোটা বই নিয়ে অবসর সময়ে পড়তেন। ডাক্তারি সেবা করতেন।’ (পৃ. ১৭-১৯)
প্রীতিলতার জন্ম ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ধলঘাটে, মামার বাড়িতে। মা তাঁর নাম রাখেন ‘রানী’।...‘সেকেলে বিরাট দোতালা সাদা বাড়ীখানা-সিঁড়িগুলো আধ আলো-আঁধারে ঘেরা কি যেন এক রহস্যে ঢাকা! বাড়িটার এক পাশে ছিল একটি বড় পুকুর। পুকুরের ওপাড়ে এক ফলের বাগান।...এই মামার বাড়িকে ভারী ভালোবাসতেন দিদি। আমাদের একমাত্র মামার সাহায্য নিয়েই দিদি আমাদের দিয়ে অভিনয় করাতেন। নিজেই লিখতেন সে ছোট-ছোট নাটক।’ (পৃ. ১৭)
প্রীতিলতার লেখাপড়ার আগ্রহ ছিল খুব। তাঁদের মা ও পাড়ার কয়েকজন মহিলা মিলে বাড়িতে ‘নারী কর্ম মন্দির’ নামে একটি মহিলা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। দুপুরে পাড়ার মেয়েরা সেখানে সুতো কাটত, তাঁত বুনত। প্রীতিলতা ও বোনেরাও সেই কাজ করতেন। শান্তি চৌধুরী লিখেছেন, ‘দিদি যখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তখন একবার আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় মায়ের এই ‘নারী কর্ম মন্দির’ পরিদর্শন করতে আসেন। আমাদের বাড়ির সামনের বিস্তৃত সবুজ ঘাসে ঢাকা উঠানে হয়েছিল বিরাট সভার আয়োজন। সেই সভায় দিদি একটি অভিনন্দনপত্র পাঠ করে আচার্য্যদের হাতে নিজের কাটা সুতো ও অভিনন্দনপত্র দান করেন। তাঁর সেই অভিনন্দন সকলের হৃদয়গ্রাহী হয়েছিল।...হারানো দিনের সে স্মৃতির মায়ায় কত যে হাসি, কত যে কথা, আজও প্রাণে তা জাগায় কত মধুর ব্যথা!’ (পৃ. ২৩)
‘দিদির পড়াশোনার আগ্রহ দেখে বাবা তাঁকে লেখাপড়া শিখতে দেবেন ঠিক করেন। পিতা-পুত্রীর সম্বন্ধ ছিল বন্ধুর মতো। রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি—সব রকম আলোচনাই চলত দুজনে মিলে।...আমাদের স্কুলে পড়াচ্ছিলেন বলে বাবাকে অনেক উপহাস ও সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল।’ (পৃ. ৩০)
শান্তি চৌধুরী লিখেছেন, ‘বিয়ের সম্বন্ধ এলে তাঁর দিদির (কালো হলেও তাঁর মুখশ্রী ছিল ভারী সৌম্য ও শান্ত) লম্বা টানা চোখ দুটিতে ছিল স্নিগ্ধ কোমল চাহনি! সুন্দর সুঠাম লম্বা গড়নে ছিল ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্যের ছাপ! বেশ ভালো কয়েকটা সম্বন্ধ এল ওঁর জন্যে। দৃঢ়ভাবে বাধা দিতেন। একবার বললেন, “বৈধব্য রয়েছে আমার কোষ্ঠীতে—একুশ বছরে রয়েছে ফাঁড়া।” আলমারি খুলে কোষ্ঠী এনে দেখালেন। বললেন, “বিধবা হয়ে সেই তো তোমার কাছেই ফিরে আসব, বাবা! ওটা বড় বিশ্রী। তার চেয়ে কুমারী থাকব আমি। নানা রকম শাড়ি-জামা পরতে পারব, পড়াশোনা করব অনেক—আর চাকরী করব।...তাই ভাল নয়? ” বাবা গণৎকারকে কোষ্ঠী দেখিয়ে জানলেন দিদির কোষ্ঠীতে “একুশ বছর বয়সটা” খারাপ সময়। বাবা বিয়ে বন্ধ করে দিলেন—ঠিক হলো অন্ততঃ একুশ বছর পেরিয়ে না গেলে বিয়ের কথা ভাবাই হবে না।’ (পৃ. ৩১-৩২)
চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ; ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে আইএ (১৯২৯) এবং কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বিএ পাস করার বিষয়ে আমরা জানি। ইডেন কলেজে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবী লীলা নাগ প্রতিষ্ঠিত ‘দীপালি সংঘ’-এর সদস্য হয়ে ছোরাখেলা-লাঠিখেলা ও ব্যায়াম শিক্ষা গ্রহণ করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েই ফেনী স্কুলে তিনি প্রদান শিক্ষয়িত্রীর পদে তিন মাস কাজ করেন। (পৃ. ৩৯)।
ঢাকায় দাঙ্গার সময়ে তিনি দৃঢ়সংকল্প করেন—মেয়েরা এই সব প্রতিরোধ করবেই।
প্রীতিলতার দূরসম্পর্কিত দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদার তাঁদের বাড়ি যেতেন, বিপ্লবীদের জীবনী ও অন্যান্য বই গোপনে রাখতে দিতেন। প্রীতিলতা সেই সব বই পড়তেন। বাড়িতে ছোট বোন ও তাদের বন্ধুদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা, সাইকেল চালানো—এসব খেলা করতেন। ভালো ভালো লোকের কথা খাতায় নোট করে রাখতেন। বড় বড় সাদা কাগজের একপাশে ছবি এঁকে সুন্দর অক্ষরে লিখতেন বড় বড় লোকের বাণী। ঘরের দেয়ালে সাজিয়ে রাখতেন সেসব লেখা। এমনি করে খেলার ছলে চলত প্রীতিদির সংগঠন কার্য। (পৃ. ৪৭)।
প্রীতিলতার প্রেরণায় শ্রী শান্তি চৌধুরী বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছিলেন খবরাখবর পৌঁছে দেওয়ার গোপন কাজে। তাঁদের বাড়ির ওপরে পুলিশের কড়া পাহারার বিবরণ দিয়েছেন শান্তি চৌধুরী।
প্রীতিলতার আত্মাহুতির ঘটনার বিষয়টি শান্তি চৌধুরীর লেখায় বড়ই বেদনাদায়ক ভাষায় লেখা হয়েছে।
বিপ্লবী সূর্য সেন প্রীতিলতার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ক্লাব ঘর আক্রমণ করার দায়িত্ব দিলেন। সেদিন ২৪ সেপ্টেম্বর (১৯৩২) প্রীতিলতা গুরুতর আহত হয়ে দলের নির্দেশ অনুযায়ী পটাশিয়াম খেয়ে আত্মাহুতি দিলেন।
পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা বাবা পাগলের মতো ছোটাছুটি করে বলছিলেন, ‘তোমরা সকলে শোন, কাল রানী পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রাণ হারিয়েছে।’ বাবার আকুল ক্রন্দনে সে কী করুণ আর্তনাদ। ‘রানী! রানী!’ মা আছাড় খেয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশের লোক বাবাকে কোতোয়ালীতে নিয়ে গেল, শোক-কাতর পিতা বিস্ময়ে স্তব্ধ, নির্বাক, নিশ্চল পাথরের মত বসে আছেন। পুলিশ অফিসার বললেন প্রীতিদির বুকে একটি ছোট বই তাঁর নিজ হাতে লেখা ছিল। সেই লেখাটির সঙ্গে বাঁধা ছিল শ্রীকৃষ্ণের ছবি।...সুন্দর ইংরাজীতে লেখা ছিল সে বিবৃতি। বিবৃতির শেষের দিকে লেখা ছিল,‘আই স্যাক্রিফাইস মাইসেল্ফ ইন দ্য নেম অব গড হুম আই হ্যাভ অ্যাডোরড ফর ইয়ার্স।’সামান্য আহত হয়েছিলেন দিদি। বুকের কাছে গভীর ক্ষত ছিল। তাঁর ভিতরের জামাগুলো রক্তে ভিজে এঁটে গিয়েছিল-গায়ের মধ্যে।...বাবা একখানি নতুন শাড়ি কিনে এনে ওঁকে পরিয়ে দিলেন।’
দিদি প্রীতিলতার কথা লিখতে গিয়ে শান্তি চৌধুরী বলেছেন, দিদির বিপ্লবী জীবনের বহু ঘটনা। দলের অর্থ সংগ্রহ, কাজ করার জন্য মেয়েদের সংগঠিত করেছেন প্রীতিলতা। বহু গয়না, অর্থ তিনি বাসা থেকে নিয়ে সেই তহবিলে দিয়েছেন।
তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে ছিল শেষ বিবৃতি :
...‘আমরা দেশের মুক্তির জন্যই এই সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি। অদ্যকার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ স্বাধীনতাযুদ্ধের একটা অংশ।...দেশের মুক্তিসংগ্রামে নারী ও পুরুষের পার্থক্য আমাকে ব্যথিত করিয়াছিল। যদি আমাদের ভাইয়েরা মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হইতে পারে, আমরা ভগিনীরা কেন উহা পারিব না?’
...‘নারীরা আজ কঠোর সংকল্প নিয়েছে যে, তাহারা আর পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবে না, নিজ মাতৃভূমির মুক্তির জন্য যে কোনো দুরূহ বা ভয়াবহ ব্যাপারে ভাইদের পাশাপাশি দাঁড়াইয়া সংগ্রাম করিতে তাহারা ইচ্ছুক, ইহা প্রমাণ করিবার জন্যই আজিকার এই অভিযানের নেতৃত্ব আমি গ্রহণ করিতেছি।’
আমি ঐকান্তিকভাবে আশা করি যে, ‘আমার দেশের ভগিনীরা আর নিজেকে দুর্বল মনে করিবেন না।...এই আশা লইয়াই আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।’ স্বাক্ষর: প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ২৩-৯-১৯৩২।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে এখন পর্যন্ত নারী আন্দোলনের স্লোগান হচ্ছে, ‘প্রীতিলতার পথ ধর, নারীরা এগিয়ে চল, প্রতিবাদ কর।’আজ প্রীতিলতার জন্মের ১১০ বছর। তাঁর আদর্শ, সংগ্রাম আজও নারী-পুরুষ সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছে—এ কথা মনে রেখে প্রীতিলতা স্মরণে এই শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করলাম।