এ লেখাটা ভূতগ্রস্ত বা ভূতে ধরা অবস্থায় রচিত। তাই এই গল্প বিশ্বাস করা, না-করা—সবটাই আপনাদের ব্যক্তিগত অধিকারে। এমনও হতে পারে, লেখাটা শেষ করে আমি নিজেও হয়তো এর কথাগুলো বিশ্বাস করব না।
ব্যাখ্যা করা যাক। সাধারণত গভীর রাতে আমার লেখালেখির অভ্যাস। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন আমি বসি আমার প্রিয় ডেস্কটপের সামনে। সুনসান নীরবতায় লেখার প্রতি পুরো মনোযোগ দিতে সুবিধা হয় বলেই এ সময়টা বেছে নিয়েছি। টিভিতে একটা টক শো দেখতে বসে যাওয়ায় আজ লিখতে বসতে একটু দেরি হয়ে গেল। ইচ্ছা ছিল ভূতের গল্প লিখব। দীর্ঘ এ লেখক-জীবনে এখন পর্যন্ত ভূতের গল্প লেখা হয়নি। ব্যাপারটা ঠিক মানা যায় না। বিখ্যাত লেখকদের প্রত্যেকেই জীবনে অন্তত একটা ভূতের গল্প লেখার প্রয়াস নিয়েছেন। প্রকৃতি ব্যতিক্রম পছন্দ করে না। প্রকৃতির কথা বিবেচনা করেই আমারও একটা ভূতের গল্প লেখার চেষ্টা নেওয়া উচিত। এসব যখন ভাবছি, তখনই দেখি পেছন থেকে কে জানি কথা বলে উঠল!
: ভূতের গল্প লিখবে?
কণ্ঠটা আমাদের বাসার কারও নয়—এটা নিশ্চিত হওয়ায় আচমকা ভয় পেয়ে পেছনে তাকালাম। আবছা অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না।
: আমাকে তুমি দেখতে পাবে না। কারণ, আমি একটা ভূত।
অন্ধকার থেকে ভেসে আসা কথাগুলো শুনে আমার ভয় পাওয়া উচিত। কিন্তু পাচ্ছি না। ভূতপ্রেতে আমার মোটেও বিশ্বাস নাই। আমি খুব ভালো করে জানি, যা ঘটছে তা আমার অবচেতন মনের চিন্তা।
: লেখক, তুমি ভুল ভাবছ। যা ঘটছে তা সত্যি। আমি সত্যি সত্যি একটা ভূত।
: সরি ম্যান! তুমি যে ভূত তার কোনো প্রমাণ না পেলে আমি বিশ্বাস করব না।
: প্রমাণ? ওকে। প্রমাণ আমি যাওয়ার আগে দিয়ে যাব। তার আগে আমার কথা শুনতে হবে তোমাকে।
: কী কথা? আমি চমৎকৃত হলাম। ভূতেদেরও আবার কথা থাকতে পারে!
ভূত বলল, ‘আমার একটা গল্প বলার ছিল। তুমি সেটা লিখবে। আমি বলব, তুমি লিখবে।’
মনে মনে ভাবলাম, ভালোই হলো। ভূতের মুখ থেকে শুনে ভূতের গল্প লেখার সৌভাগ্য নিশ্চয়ই আর কোনো লেখকের হয়নি।
আমি তাই আনন্দিত হলাম। ভূতকে আমার সম্মতির কথা জানিয়ে, তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভূমিকাটা লিখছি এখন। এখনো ভূত আমার পেছনে দাঁড়িয়ে। অপেক্ষা করছে আমার ভূমিকা শেষ হওয়ার। জানি না ব্যাটা পড়তে জানে কি না।
: আমার একটা অবজেকশন আছে।
ভূতের কণ্ঠে কথাটি শুনে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী অবজেকশন?’
: তোমার বোধ হয় জানা নেই, ৪০ বছর বয়সে আমি মারা যাই। সে ক্ষেত্রে আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড়। তোমার লেখায় আমার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। এভাবে তুমি আমাকে ‘ব্যাটা’ বলে গালি দিতে পারো না।
: তার মানে তুমি পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার লেখা পড়ছ? তুমি পড়তে পারো!
: আমার মনে হয় তোমার আমাকে আপনি বলে সম্বোধন করাটা মানানসই হবে। হ্যাঁ, একসময় যেহেতু মানুষ ছিলাম, পড়তে জানাটাই কি স্বাভাবিক নয়? তুমি তো দেখি এতক্ষণ যা কিছু ঘটেছে সবই লিখে ফেলেছ।
: লিখলাম, কারণ ভূতের গল্পটা তো পাঠককে বিশ্বাস করাতে হবে, তাই না? পাঠক ইদানীং বড্ড চালাক, সহজে কিছু বিশ্বাস করতে চায় না। উইলিং সাসপেনশন অব ডিজবিলিফের মতোই একটা টেকনিক খাটালাম আরকি।
: ভালো। ভালো। তোমার টেকনিক আমার ভালো লেগেছে। তাই আমার ইচ্ছা, তুমি আমার গল্পটা লিখে ফেলবে এক্ষুনি। তোমার যেভাবে খুশি লেখো, তাতে আপত্তি নাই। আমি জানি, তুমি একজন শক্তিমান লেখক।
: ঠিক আছে। আমি এখন তৈরি। এবার শুরু করতে পারেন আপনার গল্প। গল্পটা আমি আপনার কণ্ঠেই তুলে দেব।
: ওকে, লেটস স্টার্ট।
ভূত মহাশয় তাঁর গল্প বলা শুরু করলেন।
আমি একটা অফিসের অ্যাকাউন্টস অফিসার ছিলাম। দিনকে দিন অফিসের উন্নতি হচ্ছিল। প্রথমে অফিসটাতে ছিল একটামাত্র ফ্যান। কেবল বসের রুমে। তারপর কয়েক মাসের মধ্যেই প্রতিটি রুমে ফ্যান লেগে গেল। তারপর এল কম্পিউটার। খাতা-কলম ফেলে দিয়ে কম্পিউটারে হিসাব রাখা শুরু করলাম। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অতঃপর একদিন ইন্টারনেট কানেকশন লাগল। মেইল যোগাযোগ করলে নাকি অনেক সহজ হয় কমিউনিকেশন। সবাইকে মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেওয়া হলো। আমাদের কেউ ইন্টারনেটের ব্যবহার তেমন জানত না। তাই হেড অফিস থেকে একজন ইনস্ট্রাক্টর পাঠিয়ে দেওয়া হলো এক ছুটির দিনে। ছুটির দিন বলেই যার যেমন ইচ্ছা ক্যাজুয়াল পোশাক পরে অফিসে এলাম। ইনস্ট্রাক্টর স্যার যখন আমার মেইল অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে আমাকে পাসওয়ার্ড দিতে বললেন, তখনই আমাদের অফিসের একমাত্র নারী অফিসার—শিউলি প্রবেশ করল অফিসে। তার মাথায় গুঁজে থাকা চমৎকার ফুলটা আর সবার মতো দৃষ্টি কাড়ল আমারও। পাসওয়ার্ডের কথা ভুলে গিয়ে তাকে ফুলের নাম জিজ্ঞেস করলাম। জুঁই। জুঁই ফুল মাথায় গুঁজলে যে এত ভালো লাগে, এ আমার জানা ছিল না। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং, শিউলির খোঁপায় জুঁই। স্যারের তাড়া খেয়ে ঘোর ভাঙল। পাসওয়ার্ড! জুঁই ফুল মাথায় ঘুরছিল বলেই পাসওয়ার্ড দিলাম—
Jui 123।
পাসওয়ার্ডটি সিস্টেম এক্সেপ্ট না করলে ইনস্ট্রাক্টর স্যার জানালেন ছয় ডিজিটে হবে না। পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করতে হবে অন্তত আট ডিজিট।
জুঁই এর ইংরেজি মনে পড়ল। জেসমিন। নতুন পাসওয়ার্ড দিলাম।
Jesmin 123
পাসওয়ার্ড ওকে হয়ে গেলে ইনস্ট্রাক্টর আমাকে দেখিয়ে দিলেন কীভাবে মেইল করতে হয় আর রিসিভ করতে হয়। এভাবে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল আমাদের অফিস। আমাদের কর্মদক্ষতাও বাড়ছিল ক্রমেই। সবার সঙ্গে আমিও একজন দক্ষ অফিসার হিসেবে কোম্পানিতে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলাম। ক্রমে একটা পদোন্নতিও হয়েছিল আমার। কিন্তু ভাগ্যদেবী বেশি দিন আমার সহায় থাকলেন না। একদিন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রোড অ্যাক্সিডেন্টের কবলে পড়লাম। আমার দুটি হাত ভেঙে গেল। বিছানায় পড়ে গেলাম আমি। আমাদের বস আবার খুব ভালো ছিলেন। বললেন, যত দিন প্রয়োজন ছুটি নিতে।
শুরু হলো আমার পঙ্গু-জীবন। সারা দিন বাসায় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। আমি আর আমার স্ত্রী—আমাদের দুজনের ছোট্ট সুখের সংসারে নেমে এল কষ্টের অমানিশা। তবু ভাগ্য ভালো যে আমার তেমন মারাত্মক কিছু হয়নি। যদি হতো, তবে বউটা আমার যেত কোথায়? নাহ্! ভাবতেই ভয় হয়। মৃত্যুকে আমার ভয় হয়নি কখনো। তবু মরতে চাইতাম না কেবল বউটার জন্য। আমি তাকে ভালোবাসতাম, অনেক ভালোবাসতাম। সে আমার জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, যেটুকু স্যাক্রিফাইস সে করেছে, ভালোবেসে তার প্রতিদান দিতে আমার কয়েক জনম লাগবে। আমাকে সে ধ্বংসের পথ থেকে উদ্ধার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। প্রতিদানে তাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। সে একটা সন্তান চেয়েছিল, সেটাও দিতে পারিনি। তবু সে ভালোবেসেছিল আমাকে। তবু সে আমাকে জীবন-সঞ্জীবনী সুধা পান করিয়েছিল। তাই আমার সবটুকু ভালোবাসা বন্ধক রেখেছিলাম তার কাছে। অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে একদিন এভাবেই ভাবছিলাম। শিল্পী তখন রান্নাঘরে ছিল। আমার মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। শিল্পী দৌড়ে এসে ফোন হাতে নিয়ে বলল, ‘অফিসের কল।’
আমি তাকে বললাম, রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দিলে আমি শুনতে পারব। সে তা-ই করল। অফিসের বস কল দিয়েছিলেন। শরীর-স্বাস্থ্যের খবর জানার পর, বললেন, হেড অফিস থেকে আমার মেইল বক্সে একটা মেইল করা হয়েছে। খুব নাকি ইম্পর্ট্যান্ট সেটা। ঝটপট পড়ে রিপ্লাই দিতে হবে। আমার পাসওয়ার্ড দিতে বললেন। আমি পাসওয়ার্ডটি তাঁকে বললাম। ফোন রেখে শিল্পীর দিকে তাকিয়ে দেখি পাথরের মতো নিথর হয়ে আছে সে। জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে। দেখি তার গাল গড়িয়ে পানি ঝরছে। অবাক আমি! কী এমন হলো যে তাকে এখন কাঁদতে হবে? আবার জিজ্ঞেস করলাম তাকে।
সে উত্তর দিল, ‘জেসমিনকে তুমি এখনো মনে রেখেছ?’
তার প্রশ্নটি আমি বুঝতে পারলাম না।
সে আবার কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘তোমাকে না বলেছিলাম জেসমিনের নাম মনেও আনবে না কখনো। তুমিও তো কথা দিয়েছিলে। অথচ নিজের পাসওয়ার্ডে তুমি তার নাম দিয়েছ! কেন তুমি এভাবে ধোঁকা দিলে আমাকে? এত ভালোবাসলাম তোমাকে, আর তার এ রকম প্রতিদান দিলে তুমি!’
আমি একেবারে বোবা হয়ে গেলাম। কী বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। জেসমিন হলো আমার প্রথম ভালোবাসা। জেসমিন হলো আমার সেই ভালোবাসার নাম, যে ভালোবাসা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কী যে গভীরভাবে ভালোবেসেছিলাম তাকে! অথচ সে বিয়ে করল আরেকজনকে। তা-ও আমাকে না জানিয়ে! সে-ই আমি প্রথম জেনেছিলাম ভালোবাসার অভিনয় এত নিখুঁতভাবে মানুষ করতে পারে। কী যে ভয়াবহ কষ্টের ছিল সেই দিনগুলো! কষ্ট থেকে বাঁচতে গিয়ে আমি মাদক নেওয়া শুরু করলাম।
ছন্নছাড়া, দিগ্ভ্রান্ত আমার জীবনে তখন দেখা পেলাম শিল্পীর। শিল্পীকে খুলে বললাম সবকিছু। আশ্রয় চাইলাম তার কাছে। সব শুনে সে এগিয়ে এল আমাকে বাঁচাতে। বিনিময়ে তাকে কেবল এই কথাটাই দিতে হলো যে, জেসমিন নামের মেয়েটাকে ভুলে যাব চিরতরে। আমি জানি আর আমার ঈশ্বর জানেন, আমি আসলেই তাকে ভুলে গিয়েছিলাম একেবারে। মনের কোথাও ঠাঁই ছিল না তার। শিল্পীর ভালোবাসার অমিয় সুধায় জেসমিনকে ভুলে না গিয়ে উপায় ছিল না আমার। এতটাই ভালোবাসা দিয়েছিল সে আমাকে। কিন্তু ওই মুহূর্তে আমি এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে শিল্পীর ভুল ধারণার প্রতিবাদ করতে এসবের কিছুই বলতে পারলাম না তাকে। তাকে বলতে পারলাম না, জেসমিন একটা ফুলের নাম। জেসমিন মানে জুঁই। আমি তাকে বলতে পারলাম না, জেসমিন নামের মেয়েটাকে একেবারেই ভুলে গিয়েছি আমি। যুক্তি দেখাতে পারলাম না, জেসমিন নামটা ভুলে গিয়েছিলাম বলেই পাসওয়ার্ড হিসেবে নামটি ব্যবহার করেছিলাম। বললেও সে কি আর আমাকে বিশ্বাস করত?
ধীরে ধীরে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিল শিল্পী—আমার বউ। প্রথম কিছুদিন তাকে চেষ্টা করেও যখন ভুলটা ভাঙাতে পারলাম না, তখন আমিও কথা বলা বন্ধ করে দিলাম তার সঙ্গে। আমাদের জীবন এগোতে থাকল শব্দহীনভাবে। শব্দহীনতা আর ভালোবাসাহীনতায় আমার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে। আমি বুঝতে পারছিলাম শিল্পীর মনের কষ্টটুকু। আমি আমার কষ্ট সহ্য করতে রাজি ছিলাম, কিন্তু শিল্পীর কষ্ট পুড়িয়ে মারছিল আমাকে।
একদিন ভোরে সে যখন ঘুমে, সিদ্ধান্ত নিলাম এ জীবন আর আমার প্রয়োজন নেই। শিল্পীকে এভাবে কষ্ট দিয়ে আমি বেঁচে থাকতে পারি না। আমার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। মনে পড়ল, ডাক্তার আমাকে কিছু ঘুমের ওষুধ দিয়েছিল, প্রয়োজনে খাওয়ার জন্য। বুঝতে পারলাম, এখনই ওষুধগুলো দরকার আমার। অনেক কষ্টে প্লাস্টার করা হাত দিয়ে সবগুলো ওষুধ খেয়ে ফেললাম এক ঝটকায়। প্রচণ্ড ঘুম এসে ভর করল আমার দুই চোখে। তারপর যখন জাগলাম...যখন আমি জাগলাম, দেখতে পেলাম, বউ আমার অঝোরে কাঁদছে। তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলাম। সে শুনতে পেল না। তাকে আরও জানালাম, কান্না করার মতো কোনো কিছু আমি করিনি। আমি তার বিশ্বাস ভাঙিনি। সে এবারও শুনল না। তখনই বুঝতে পারলাম, আমি আর মানুষ নই, আমি এখন একটা ভূত।
ভূত মহাশয় হঠাৎ চুপ হয়ে গেলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ‘গল্প কি শেষ?’
: গল্প শেষ।
: পৃথিবীতে এত গল্পকার থাকতে আপনি কেন আমাকে বেছে নিলেন আপনার গল্প জানানোর জন্য, জানতে পারি?
: তুমি বেশ জনপ্রিয় লেখক। আমার বউ তোমার লেখা খুব পছন্দ করত। তুমি যদি এ গল্পটা তোমার বইয়ে ছাপাও, তবে নিশ্চয়ই সে পড়বে। পড়লে সে বুঝতে পারবে যে আমি তাকে ধোঁকা দিইনি। তাকে আমি আসলেই ভালোবাসতাম। তুমি কি আমার গল্পটা বিশ্বাস করলে? তুমি তো আবার ভূত বিশ্বাস করো না।
গল্পটা শোনার পর মনে হচ্ছিল কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি আমি। আমি নিথর বসে থাকলাম।
: প্রমাণ আমি দিচ্ছি। কিন্তু কথা দাও গল্পটা ছাপাবে।
: হু।
: তুমি এখন আবার গল্পটা পড়ে দেখো। যে জায়গাটায় আমাকে ‘ব্যাটা’ বলে সম্বোধন করেছিলে, সেটা কেটে ‘ভূত মহাশয়’ কথাটি লিখে দিয়েছি।
বলেই ভূত মহাশয় চলে গেলেন। আমিও ব্যাটা শব্দটা গল্পের কোথাও আর খুঁজে পেলাম না। পাঠক, বিশ্বাস না হলে আবার গল্পটা পড়ে দেখতে পারেন।