পেছন ফিরে অবারিত আকাশের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে ছিল ধানুয়া। কী এক অস্বস্তি নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে দেখে, জুলজুল করে তার দিকে চেয়ে আছে নন্দলাল। ধানুয়ার মুখ অমনি বিতৃষ্ণায় তেতো হয়ে উঠল। খিস্তি করে বলল, ‘সারা দিন মোর মুখের ভিতি না দেখি কাম কর চ্যাংড়া।’
নন্দলাল কিন্তু তার কথায় মোটেই উত্তেজিত হলো না। গালভরা হাসি হেসে পান চিবুতে লাগল। ধানুয়া ক্ষীণ গলায় গজগজ করতে করতে ফিরে গেল জুতা সেলাইয়ের কাজে।
ধানুয়া ও নন্দলাল জাতে বাদিয়া। হুলাশুগঞ্জ হাটের ঠিক মাঝখানে ডালপালা ছড়িয়ে আছে যে বট-অশ্বত্থগাছের যুগলবন্দী, তার গোড়ায় দুজনে বসে মুচির কাজ করে। পেশাগত রেষারেষি তো আছেই, ধানুয়া নন্দলালকে অপছন্দ করে তার গোয়েন্দার মতো চালচলনের জন্য। দুজনের মধ্যে ধানুয়া বয়সে প্রবীণ। পঞ্চাশ পেরোনো শরীরের গাঁথুনি এখনো পাকানো দড়ির মতো মজবুত হলেও চুল-দাড়িতে পাক ধরেছে। বয়স আরেকটা সর্বনাশ করেছে ধানুয়ার, চোখের কী একটা সমস্যার কারণে সে কাছের জিনিস ভালো দেখতে পায় না। জুতা সেলাইয়ের মতো সূক্ষ্ম কাজের জন্য তা কতখানি অসুবিধা, এটা বুঝিয়ে না বললেও চলে। তবে স্রষ্টা একেবারে নির্দয় নন। ধানুয়ার দীর্ঘ দৃষ্টি অটুট রয়েছে। নন্দলালের মতো মন্দ লোকদের মতে, ‘ভগবান এক দিকে কমিয়ে আরেক দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
দৃষ্টিশক্তি নিয়ে এসব আলাপ ধানুয়া মোটেই পছন্দ করে না। প্রসঙ্গ উঠলেই চিবিয়ে চিবিয়ে রুক্ষ ভাষায় উত্তর দেয়। নন্দলালকে দেখে তার রীতিমতো ঘৃণা হয়। অথচ একদিন নিজ হাতে ছুরি ধরিয়ে নন্দলালকে কাজ শিখিয়েছিল সে। শয়তানটা এখন তারই হিস্যায় হাত দিতে শুরু করেছে।
বাদিয়ারা পেশায় চামার। রাজ্যের যত মরা গরু, মহিষ কিংবা ছাগলের চামড়া ছাড়ানো তাদের জীবিকা। সেই চামড়া বেচে কিংবা শুকিয়ে জুতা বানিয়ে তারা সংসার চালায়। গেরস্তরা এখন চালাক হয়ে গেছে। মরো মরো অবস্থা দেখলে তাড়াতাড়ি পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে হালাল করে। এমনকি অগোচরে তারা মরা পশুর গলায়ও ছুরি চালায় বলে ধানুয়া জানে। নিজেরা জবাই করলে তারা বাদিয়াদের খবর দেয় না। দিব্যি ভালো মানুষের মতো কসাইয়ের কাছে মাংস ও চামড়া বিক্রি করে দেয়।
তবে তারপরও পশু মারা যায়। সব সময় ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগও পাওয়া যায় না। দশজনে জেনে যায়, পশু মারা গেছে। তবে তার আগে জেনে যায় মড়াখেকো চিল, শকুন ও কাকেরা। ধানুয়ার দীর্ঘ দৃষ্টি এখানেই অনন্য। বটতলায় বসে বহুদূরের চিল-শকুন-কাকের ওড়াউড়ি দেখে দিব্যি ধরে ফেলতে পারে কোথায় গরু বা মহিষ মরেছে। সঙ্গে সঙ্গে দোকান গুটিয়ে হাতের তেলচিক্কন লাঠিটি বগলে নিয়ে হাঁটা দেয় মৃত পশুর খোঁজে।
নন্দলাল ঠিক সেই সময়ের জন্য ওত পেতে থাকে। ধানুয়াকে চট গুটিয়ে লাঠি বগলদাবা করে যেতে দেখলে সে–ও আলগোছে চট গুটিয়ে লাঠি হাতে রওনা দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের কাঁচা মাটির রাস্তা ধরে সন্তর্পণে পিছু নেয় ধানুয়ার। নন্দলালের মধ্যে গোয়েন্দার ধাত যতটা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে শিকারি বিড়ালের স্বভাব। সে পা টিপে টিপে ঠিক গিয়ে হাজির হয় একেবারে ধানুয়ার নাকের ডগায়। ঝোপ কিংবা খড়ের পালার পেছনে লুকিয়ে ধানুয়াকে কাজ করতে দেখে। চামড়া ছাড়ানোর কাজ যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে, গুপ্ত আড্ডা থেকে তখন সগৌরবে বেরিয়ে আসে নন্দলাল।
ডানে-বাঁয়ে শরীর মুচড়ে একগাল হেসে হাতের লাঠি ছুড়ে মারে ঠিক ধানুয়ার সামনে। তারপর সুর করে বলে:
‘জাগ বাঙালি জাগরে জাগ
নাটি ফেলানু দে রে ভাগ।’
একবার লাঠি ফেললে আর উপায় নেই। নন্দলালকে ভাগ দিতেই হবে। বাদিয়া–সমাজের এই এক অদ্ভুত নিয়ম। ‘লাঠি ফেলা ভাগ’ নামে এক অদ্ভুত চর্চা আছে তাদের মধ্যে। মরা পশুর চামড়া ছাড়ানোর সময় যদি কোনো বাদিয়া হাতের লাঠি ছুড়ে ভাগ দাবি করে বসে তাহলে আর নিস্তার নেই। আগন্তুককে অর্ধেক ভাগ দিতেই হবে। যদি দুজন আসে তাহলে ভাগ হবে তিনজনের। এভাবে যারা যারা লাঠি ফেলবে, তাদের প্রত্যেককেই ভাগ দিতে হবে। বাদিয়া–সমাজের এই ‘লাঠি ফেলা ভাগ’ প্রথার ফায়দা দুহাতে লুটছে নন্দলাল।
নন্দলাল বয়সে মাত্র কৈশোর পেরিয়েছে। ঠোঁটের ওপর চিকন গোঁফের রেখা এখনো পুরু হয়নি। গালে দাড়ির বালাই নেই বলে বয়সের তুলনায় নন্দকে অনেক ছোট দেখায়। বছর দশেক আগে বাপ-মাকে হারিয়ে নন্দলাল চরকাবাড়ি থেকে হাজির হয় মাতুলালয়ে। তার নানা বিখ্যাত হ্যাশকারু বাদিয়া তাদের সমাজের একজন কিংবদন্তি। হ্যাশকারুর নাকি দুই চোখের মাঝখানে একটা তৃতীয় চোখ ছিল। কোথাও কোনো গরু বা মহিষ মারা গেলে সেই চোখ খুলে যেত। হ্যাশকারু বাদিয়া নাকি সেই চোখের ভরসায় বেরিয়ে ঠিকই সবার আগে মরা পশুর কাছে পৌঁছে যেত। হ্যাশকারুর অনুমান ছিল অব্যর্থ। হ্যাশকারু বেরিয়েছে কিন্তু মরা গরু পায়নি—এমনটি নাকি কখনো ঘটেনি। সে জন্য অন্য বাদিয়ারা লাঠি ফেলা ভাগ নেওয়ার আশায় সব সময় হ্যাশকারুকে ছায়ার মতো অনুসরণ করত। কিন্তু হ্যাশকারু বাদিয়ার শুধু তৃতীয় নয়ন ছিল না, তার পথচলাও ছিল ভুলভুলাইয়ার মতো। চোখের সামনে হাঁটতে হাঁটতে কখন যে হ্যাশকারু সটকে পড়ত, কেউ ঠাউরেই উঠতে পারত না। মৃত্যু পর্যন্ত হ্যাশকারুর কাছে লাঠি ফেলা ভাগ নেওয়ার সৌভাগ্য অন্য কোনো বাদিয়ার হয়নি।
সেই হ্যাশকারুর নাতি হয়ে নন্দলাল হয়েছে অন্য রকম। নানার কোনো গুণ তো পায়নিই, হয়েছে একেবারে উল্টো। মড়াখেকো পাখি দেখা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কিংবা গরুচোরদের শাগরেদ হ্যাদোয়ারদের সঙ্গে ওঠাবসায় তার কোনো উৎসাহ নেই। সে কেবল আঠার মতো পিছু লাগে ধানুয়ার। সে যেখানে যায়, নন্দলালও পেছনে পেছনে সেখানে গিয়ে হাজির হয়। এইভাবে ঠকে যেতে যেতে ধানুয়ার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার উপক্রম হলো।
কার্তিক মাস। বেলা ফোরানোমাত্র দীর্ঘ অন্ধকার রাত নামে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুয়াশা পড়ে। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে উত্তুরে বাতাসে বয়ে আসা হিম শরীরে কাঁপুনি ধরায়। ধানুয়া সাধারণত সন্ধ্যার পরও কিছুক্ষণ হাটে থাকে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের কাছে হাতে বানানো জুতা বিক্রি করে কিংবা কুপির আলোয় ছেঁড়া জুতা সেলাই করে। আজ বেলা থাকতেই সে উঠে পড়ল। তাকে চট গোছাতে দেখেই নন্দলালের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিল। চোখের কোণ দিয়ে সেটা ঠিকই দেখল ধানুয়া। নন্দলালকে অগ্রাহ্য করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পশ্চিম দিগন্তে পাখিদের ওড়াউড়ি দেখল। জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা নন্দলালের সেটা চোখ এড়াল না। সে শ্বাপদের মতো অপেক্ষা করতে লাগল কখন ধানুয়া রওনা দেয়।
পশ্চিম দিগন্তের সর্বশেষ গ্রাম কৃষ্ণচন্দ্রপুর। তার ওপারে বিরাট সরলার বিল। কার্তিক মাসেও বিলে পানি আছে যথেষ্ট। নন্দলালকে অনুসরণের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ধানুয়া তেলমাখা লাঠিটি বগলে নিয়ে হনহন করে সেদিকে হাঁটতে শুরু করল।
হুলাশুগঞ্জ হাটের পর কৃষ্ণচন্দ্রপুর পর্যন্ত পশ্চিমে আর কোনো গ্রাম নেই। বিস্তৃত ধানের খেত কুয়াশায় ডুবে ম্লান হয়ে আছে। গ্রামে এখন অভাবের কাল, ভয়াল মঙ্গা। বড় রাস্তা থেকে ধানখেতের সরু আইলে নেমে ধানুয়া কুয়াশায় অদৃশ্য হয়ে গেলে নন্দলালও আলে নেমে পড়ল। ডুবন্ত সূর্যদেবতার দিকে মনে মনে প্রণাম ঠুকে রওনা দিল লাঠি ফেলা ভাগ আদায়ের উদ্দেশ্যে।
হুলাশুগঞ্জ থেকে কৃষ্ণচন্দ্রপুরের দূরত্ব পাঁচ মাইলের কম নয়। ইতিমধ্যে ধানখেত ও আইলের ঘাসে শিশির জমতে শুরু করেছে। ধানখেতের অবাধ আবাসে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে শিয়ালের দল। আকাশে চামচিকা বাজির ঘোড়ার মতো দিগ্বিদিক ছুটছে। নন্দলালের ভয় হলো, পথ চলতে গিয়ে সে আবার যদি কেউটে সাপের গায়ে পা দেয়! এসব নির্জন ধানের খেত বিষধর সাপের নিরাপদ আড্ডা হিসেবে কুখ্যাত। মেঠো ইঁদুরের গর্তে ইঁদুর শিকারে এসে সাঁওতালদের অনেকবার কেউটে সাপ মারতে দেখেছে নন্দলাল।
শুক্লপক্ষের অষ্টমীর রাত। কুয়াশার কারণে একেবারে ফরসা নয়। কেমন যেন মিশমিশে আধিভৌতিক। আলের উঁচু-নিচু পথ ধরে আধডোবা ধানখেতে হোঁচট খেতে খেতে নন্দলাল একবার ভাবল ফিরে যাই। ততক্ষণে পথচলার এক ঘণ্টা পেরিয়েছে। দূরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামকে ঘিরে রাখা বাঁশঝাড় অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে। আর আধা ঘণ্টা হাঁটলে গ্রামে পৌঁছানো যাবে। চোখ–কান খোলা রেখে একবার ধানুয়ার কাছে পৌঁছাতে পারলে একেবারে কেল্লা ফতে। লাঠি ছুড়ে সেই গা জ্বালানো ছড়াটি আবৃত্তি করে ব্যাটার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যাবে। শুধু টাকার জন্য নয়, হঠাৎ নন্দলাল হাজির হলে ধানুয়ার মুখটা যেমন বিকৃত হয়ে যায়, সেটাও নন্দলালের কাছে কম মজাদার দৃশ্য নয়।
আধা ঘণ্টা পর গ্রামে পৌঁছাল নন্দলাল। শীতকাতর গ্রামবাসী এর মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছে। খুলি-কাঞ্চির জলজ ও বনজ গাছগুলোয় একযোগে ঝিঁঝি পোকা ডাকছে। কোথাও প্যাঁচার ডানা ঝাপটানোর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এবাড়ি-ওবাড়ি খুঁজে ধানুয়াকে পাওয়া গেল না। বুড়ো নিশ্চয়ই কোথাও গুটিসুটি মেরে বসে পড়েছে। খুরারোগ কি পেটফাঁপা রোগে মরা গরুর নধর চামড়া ছোট বাঁটের ছুরি দিয়ে খ্যাঁচখ্যাঁচ করে কাটছে।
হাঁটতে হাঁটতে সরলার বিলের প্রান্তে চলে এল নন্দলাল। দূর থেকে বালিহাঁসের ঝাঁকের জলকেলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ম্লান আলোয় হাঁসদের ওড়াউড়ি দেখে বড্ড ভালো লাগে নন্দলালের। সে ভাবে, একটা বন্দুক আর ছররা গুলি থাকলে এক্ষুনি একঝাঁক হাঁস শিকার করা যেত।
গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর। সেখানে মিটমিট করে জ্বলতে থাকা আলো দেখে নন্দলালের মুখে হাসি ফুটে উঠল। অন্ধকার ফুঁড়ে এত দূরে আসা সার্থক হলো। নিশ্চয়ই সেখানে বসে একমনে গরুর চামড়া ছাড়াচ্ছে ধানুয়া। একটু, আর অল্প সময়ের অপেক্ষা। পা টিপে টিপে সেখানে হাজির হয়ে লাঠি ফেলে ভাগ দাবি করবে নন্দলাল। ধানুয়া তাতে শুধু জব্দই হবে না, তার মুখে যে বেইজ্জতি ফুটে উঠবে নন্দলালের আনন্দকে সেটা দ্বিগুণ করবে।
বিড়ালের মতো নিঃশব্দে কুঁড়েঘরের সামনে এসে দাঁড়াল নন্দলাল। তার অনুমান সঠিক। কুপির আলোয় তার দিকে পেছন ফিরে চামড়া ছাড়াচ্ছে ধানুয়া। বুনো জন্তুর মতো নিঃশব্দে তার পেছনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ অট্টহাসি করে উঠল নন্দলাল। হাতের তেল চকচকে লাঠিটি ধানুয়ার পাশে ফেলে দিয়ে বলল, ‘জাগ বাঙালি জাগরে জাগ/ নাটি ফেলানু দে রে ভাগ।’
ধানুয়া কিন্তু একটুও চমকাল না। সে যেন নন্দলালের অপেক্ষায় পুরো সময় বসে ছিল। রক্তমাখা হাতের মুঠোয় ধারালো ছুরিটি নিয়ে সে শুধু সামান্য ঘুরে বসল। তাতেই নন্দলালের হাঁটুর মালাইচাকি যেন আকস্মিক আঘাতে গুঁড়িয়ে গেল। সে ভয়ে ছিটকে পড়ে গেল। তার মুখ ফুটে বেরিয়ে এল অস্ফুট গোঙানি। গরু নয়, ধানুয়া যে প্রাণীর চামড়া ছাড়াচ্ছে, সেটা একজন মানুষের। মানুষটির শরীরে সুতার বালাই নেই। মাথার তালু থেকে কোমরের নিম্নভাগ পর্যন্ত অংশে বিন্দুমাত্র চামড়া নেই। ধানুয়া দক্ষ হাতে সমস্ত চামড়া ছাড়িয়ে নিয়েছে। ঝুলন্ত চামড়া আঁটো হয়ে আছে লোকটার হাঁটুর কাছে।
লোকটার চামড়াহীন মুখ দেখে ভয়ে আর্তচিৎকার করে উঠল নন্দলাল। গোঙাতে গোঙাতে বলল, ‘এ তোরা কী করনেন ধানুয়া মামা? একটা মানুষোক খুন করি ফেলাইনেন?’
ধানুয়া কোনো জবাব না দিয়ে চামড়া ছাড়ানোর বাকি কাজে হাত দিল। তার মুখে অদ্ভুত বাঁকা হাসি ফুটে উঠেছে। কুপির আলোতে তাকে ভীষণ শান্ত দেখাচ্ছে। সে জানে, এর পর থেকে আর কখনো নন্দলাল তার কাছে লাঠি ফেলা ভাগের আবদার নিয়ে আসবে না।