হরিদাসের একদিন

১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে প্রোথিত আছে আমাদের অস্তিত্ব। বিজয়ের মাসে এ সংখ্যায় থাকছে এই সময়ের দুই গল্পকারের মুক্তিযুদ্ধের গল্প

অলংকরণ: এস এম রাকিবুর রহমান

১৯৭১

মে মাস 


কাঠের দরজাটা খুলতেই হরিদাসের মুখ বিমর্ষ হয়ে গেল। ভেতরটায় গুমোট আর বিষণ্ন একটা গন্ধ। মাসখানেকের বেশি সময় সেলুনটা বন্ধ, চেয়ার আর আয়নাগুলোয় ধুলোর আস্তরণ পড়ে গেছে। প্রথমেই দেয়াল থেকে হিন্দুধর্মের দেব-দেবীর ছবিগুলো সরিয়ে ফেলল; ঝাড়ু হাতে নিজেই লেগে পড়ল ঝাড়ামোছার কাজে। 

মেঝেতে দীর্ঘ একটা ছায়া দেখে দরজার দিকে তাকাল সে, লম্বা আর ভারী শরীরের জাফর আলী দাঁড়িয়ে আছে। মুখে চাপদাড়ি, ঠোঁটে সিগারেট। স্থানীয় মুসলিম লীগের এই নেতা গতকাল এক লোককে তার বাড়িতে পাঠিয়েছিল, এখন থেকে লক্ষ্মীবাজারে তার সেলুনটা খোলা রাখতে হবে। 

ভড়কে গেলেও নীরবে সালাম ঠুকল হরিদাস। সেই সালামের জবাব না দিয়ে দরজার চৌকাঠের ওপরে ঝুলে থাকা শোলার ঝরা ফুলটার দিকে শীতল চোখে তাকাল জাফর। সে ভেতরে ঢুকতেই ঝরাটা খুলে ফেলল হরিদাস; কিন্তু কোথায় রাখবে, নাকি ফেলে দেবে, বুঝতে পারল না।

একগাল ধোঁয়া ছেড়ে সেলুনের চারপাশটা দেখে সন্তুষ্টির হাসি দিল জাফর আলী, সিগারেটটা মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষে একটা চেয়ারে বসে পড়ল। ঘন চাপদাড়িতে হাত বুলিয়ে বলল, ‘অনেক দিন ধইরা কামাই না।’ 

হরিদাস তড়িঘড়ি সাবান, ক্ষুর আর ব্রাশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

‘বাকিরা কই?’ 

পঁচিশে মার্চের পর থেকে সেলুনটা বন্ধ, কর্মচারীরা কোথায় গেছে জানা নেই হরিদাসের। ‘জানি না, কর্তা।’

‘এখন থিকা খোলা রাখবি। সব নরমাল হইয়া গেছে, ভয়ের কিছু নাই।’

মাথা নেড়ে সায় দিয়ে লোকটার গায়ে তোয়ালে পেঁচিয়ে দিল। ‘খালি শেভ করবেন?’

‘হুম।’ চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল জাফর। 

দুই.

যেদিন আইয়ুব খানের পতন হয়, ঠিক সেদিনই ইন্দুবালা দেবী কুয়া থেকে জল তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়েন, সেই থেকে তিনি শয্যাশায়ী। 

বানিয়ানগরের যে একতলা বাড়িতে তাঁরা থাকেন, সেটা ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় এখানকার বসাক পরিবারের কাছ থেকে হরিদাসের বাপ জলের দামে কিনে নিয়েছিলেন। দালানটির বয়স দেড় শ বছরের বেশি। কড়িবরগা ছাদের অনেক জায়গার ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। আজকেও পড়ছে, দুটো পাতিল মেঝেতে রেখে সামাল দেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতিটা। পাশেই একটা পুরোনো পালঙ্কে শুয়ে আছেন অসুস্থ ইন্দুবালা। এটাও বসাক পরিবারের আসবাব ছিল। 

‘ছাতে আলকাতরা দিতে হইবো’, অনুযোগের স্বরে বললেন তিনি। 

বৃষ্টি শুরু হতেই পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে গেছে, সেই থেকে মায়ের পাশে হারিকেন জ্বালিয়ে বসে আছে হরি। 

‘রেডুটা ছাড় না, ইট্টু শুনি।’

‘দ্যাশের অবস্থা ভালা না, এই সব শুনতে গেলে বিপদ হইতে পারে।’

ইন্দুবালা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। পাঁচ বছর আগেই স্বামীর মৃত্যু এবং তাঁর পক্ষাঘাতের কারণে মা-ছেলে পুরোপুরি একা ও অসহায় হয়ে পড়েছেন। ‘তাইলে দোকান খুলছোস ক্যান? তর কি ডরভয় নাই?’

‘না খুললে খামু কী?’ জাফর আলীর চাপে দোকান খোলার কথা মাকে বলল না।

‘সবাই নাকি দ্যাশ ছাড়তাছে...এইখানে থাকলে বিপদ!’

‘কে কইলো? আমি আছি না, তুমি আছো না?’ 

ইন্দুবালার ঠোঁটে পরিহাসের হাসি। ‘তুই তো আমার লাইগ্যা আইটকা গেছোস।’

প্রসঙ্গ পাল্টে মাকে সান্ত্বনা দিল, ‘আমরা কারও সাতে-পাঁচে নাই, আমাগো কিচ্ছু হইবো না।’ 

তিন.

দিনের পর দিন একহাতে সেলুনটা চালিয়ে গেল হরিদাস। প্রতিদিন নানা রকম কাস্টমার আসে, তাদের কাছ থেকে যেসব খবর পায়, তাতে দুশ্চিন্তায় পেয়ে বসে তাকে। অনেক সময় দোকানের সামনে দিয়ে মিলিটারি গেলে বুক কেঁপে ওঠে। অবশ্য তাকে ডেকে পুছতাছ করে না। তারাও বোঝে, শহরে নাপিতের দরকার আছে।

কাস্টমারদের কেউ কেউ বলে, বর্ডারে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ দিন দিন তীব্র হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা শহরে এ রকম কিছুই দেখতে পায় না। পঁচিশে মার্চের পর কিছুদিন থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও ঢাকার মানুষ এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে, বিয়েশাদিও থেমে নেই। 

একদিন স্থানীয় মুরব্বি মন্নাফ মিয়া তার সেলুনে এসে বিস্ময়ে আর বিরক্তিতে বলে, ‘এহনও আছো! গুলি খায়া মরবার শখ অইছেনি?’

কাঁচুমাচু খায় হরি। ‘জাফর ভাই কইছে কোনো সমস্যা হইবো না।’

পানের পিক ফেলার জন্য এদিক–ওদিক তাকায় লোকটা, শেষে কিছু না পেয়ে গিলে ফেলে। 

‘ঘরে বইসা থাকতে থাকতে ট্যাকাপয়সাও সব শ্যাষ হইয়া গেছিল, কাকা।’

‘মরো গিয়া, আমার কী’, বলেই একটা চেয়ারে বসে পড়ে ষাটোর্ধ্ব মন্নাফ। ‘...মইচটাও একটু সেট কইরা দিয়ো।’

হরিদাস ক্ষৌরকর্মে লেগে পড়ে; এ কাজ তার বাপ-ঠাকুরদারাও করতেন।

‘হালার পোলারা সব তামা কইরা ফালাইতাছে’, মুখে সাবানের ফেনা লাগানোর সময় মন্নাফ মিয়ার মুখ সচল হয়ে ওঠে। ‘কয়, হামকো আদমি নেহি, মিট্টি চাইয়ে। আরে, তোগো আমরা মাটিই দিমু, তয় সাড়ে তিন হাত নিচে।’

আঁতকে ওঠে হরি। ‘আপনে তো বিপদে ফালাইবেন আমারে! এই সব কথা কইয়েন না এইখানে।’

‘আমি তোমার মতো ডরফাড্ডু না। ব্রিটিশরে ডরাই নাই, আর এরা তো হালায় পাকিস্তানি।’

এই বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বি কখন কোন কথা বলে ফেলে, সেই ভয়ে বেজার মুখে কাজ করে যায় হরিদাস। 

‘জাফর বদর বাহিনীর কমান্ডার অইছে!’ কাজ শেষে চাপা কণ্ঠে বলে মন্নাফ। ‘তোমারে হালায় শোপিস বানায়া রাখছে, কাম শ্যাষে জবাই দিবো!’

হরির বুকটা ধক করে উঠলেও কোনো শব্দ বের হয় না মুখ দিয়ে।

যাওয়ার আগে তাকে আরেকবার বলে, ‘এইহানে থাইকো না, মিয়া।’

চার.

চোখের সামনে দিন দিন জাফর আলীকে পরাক্রমশালী হয়ে উঠতে দেখে হরিদাস। বদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে কোমরে পিস্তলের বেল্ট পরে ঘুরে বেড়ায়, সঙ্গে সব সময় একদল লোক থাকে। শ্যামবাজারের কুলি বিহারি আব্বাস তার এক নম্বরের চ্যালা। মানুষজন ফিসফাস করে, এই আব্বাস শুধু হিন্দুদের বাড়িঘরই লুট করে না, যে বাড়ির ছেলে যুদ্ধে গেছে তাদেরও সবকিছু লুট করে। তার বাহিনী খুনখারাবি করতে সিদ্ধহস্ত।

একদিন তার সেলুনে চুল কাটাতে এল মোহিনী মোহন দাস লেনের শাহাবুদ্দীন, পত্রিকায় কাজ করে সে। একটু পরই সেখানে চলে এলো বিপত্নীক আর কর্মহীন মন্নাফ মিয়া।

‘তোমরা তো পেপারে লিখবার পারো না...দ্যাশের আসল খবর কী, জানো কিছু?’ জানতে চাইল মুরব্বি। ‘ঢাকা তো জেলখানা...কিচ্ছু বুঝা যায় না।’

আশপাশে সতর্ক দৃষ্টি হানল সাংবাদিক। ‘বর্ডারের দিকে যুদ্ধ চলতাছে, মুক্তিবাহিনীতে প্রচুর ছেলেপেলে যোগ দিতাছে...ঢাকায়ও অপারেশন শুরু করছে।’

‘পারবো ওরা?’

‘দেখা যাক।’ 

‘আপনারা এই সব কথা কইয়েন না’, বাধ্য হয়ে বলল হরিদাস। ‘জাফর ভাইয়ের লোকজন আছে আশপাশে, এইগুলা শুনলে খুব খারাপ হইবো।’

‘এই হালায় পুরা ডরফাড্ডু!’ তেতে উঠল মন্নাফ। ‘ওর বয়সের পোলাপান যুদ্ধে গ্যাছে আর ওয় এইহানে বাল ফালাইতাছে।’

কাঁচুমাচু খেল হরি, আরও জোরে জোরে কাঁচি চালাল সে। সাংবাদিকের কাঁধ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল চুলের ছাঁট। 

পাঁচ.

দিন যায়, চারপাশে ফিসফাস বাড়তে থাকে। অবরুদ্ধ ঢাকা শহরের বাসিন্দারা বলাবলি করে, কবে কোথায় ঢাকায় অপারেশন করেছে মুক্তিবাহিনীর ছেলেপেলেরা। ঢাকা সেলুনেও এসব আলাপ চলে। আগে বাধা দিলেও হরিদাস এখন কাউকে কিছু বলে না। কখনো কখনো সে-ও কৌতূহল থেকে এটা–ওটা জানতে চায়।

একদিন লম্বা লম্বা পা ফেলে সেলুনে ঢুকে পড়ে মন্নাফ। ‘মোনায়েম খাঁ শ্যাষ!’ কণ্ঠটা চেপে রাখার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। 

হরি ছাড়াও রাজমিস্ত্রি সুবা মিয়া ছিল সেলুনে, তারা দুজন আগ্রহভরে তাকায় মুরব্বির দিকে। 

‘এক্কেরে বাড়িতে ঢুইক্যা মারছে!’

‘কারা মারছে?’ জানতে চায় সুবা।

‘মুক্তিবাহিনী!’ মুখের পানটা বার কয়েক চিবিয়ে বলে মন্নাফ, ‘রোজা আহনের আগেই মোনাম খাঁর খতম তারাবি পইড়া ফালাইছে!’

ওই দিন ভেতরে ভেতরে খুব উৎফুল্ল ছিল হরিদাস; কিন্তু সন্ধ্যার পর যখন জাফর আলী সেলুনে আসে, তার সব খুশি উবে যায় এক লহমায়। লোকটার সাদা পাঞ্জাবির হাতায় রক্তের ছটা। কোমর থেকে পিস্তলের বেল্টটা খুলে মেজাজের সঙ্গে বলে, ‘ঝটপট শেভ কইরা দে!’

যথারীতি কাজের সময় চোখ বন্ধ করে রাখে বদর বাহিনীর কমান্ডার। সে প্রায়ই লোকজনকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করে। অনেকেই সেই নির্যাতন সহ্য করতে পারে না, অনেককে তুলে দেয় পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে; বাকি কাজটা তখন তারা করে।

শেভ করতে করতে আয়নার মধ্য দিয়ে তাকায় হরিদাস। জাফরের চোখ বন্ধ; পাশের চেয়ারের ওপর পিস্তলসহ বেল্টটা রাখা। দেখতে দেখতে সম্মোহিত হয়ে যায় সে। জাফরের গলার কাছে ক্ষুরটা আসতেই কেঁপে ওঠে তার হাত। 

মাত্র একটা পোঁচ তাকে কাপুরুষ থেকে বীর বানাতে পারে!

এক ঝটকায় পোঁচটা দেয়! গল গল করে রক্ত বের হতে থাকে গলা দিয়ে; জান্তব চিৎকার দিয়ে দুই হাতে গলা ধরে নরপিশাচটা চেয়ার থেকে পড়ে যায়, সেলুনের মেঝেটা ডুবে যায় রক্তে। সেই রক্ত কচ্ছপের মতো হামাগুড়ি দিয়ে চলে যায় দরজার দিকে!

‘খুন করা এত সোজা না, বুঝছোস!’

জাফরের কণ্ঠে সংবিৎ ফিরে পায় হরিদাস। আয়নার ভেতর দিয়ে চেয়ে আছে লোকটা। টের পায়, তার রক্ত হিম হয়ে গেছে। 

‘অনেক কঠিন কাম এইটা। শুরুতে আমারও হাত কাঁপত!’ একটু থেমে আবার চোখ বন্ধ করে। ‘জলদি শ্যাষ কর, অনেক কাম আছে। কিছু নাদান পাকিস্তান ভাঙবার চায়, হিন্দুস্তানের গোলাম হইতে চায়!’ 

ছয়.

মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার অভিযোগে একদিন সংবাদিক শাহাবুদ্দীনকে ধরে নিয়ে যায় জাফরের লোকজন। তাকে নাকি টর্চার করে মিলিটারির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। খবরটা পাওয়ার পর একটু আগেভাগেই সেলুন বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসে হরিদাস। 

‘মা?’ দরজার সামনে থেকে ডাকে সে। ঘরে ঢুকে হারিকেনের টিমটিমে আলোয় দেখতে পায় মায়ের নিথর দেহটা। সবটা যখন বুঝতে পারে, তখনো তার চোখ জলহীন। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সময়। কেন যেন মনে হয়, তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাইলা হাঁসের মতো দম আটকে মরে গেছে মা!

মায়ের মৃত্যুশোকে তিন দিন সেলুনে যায় না হরিদাস। চতুর্থ দিন বিহারি আব্বাসকে দিয়ে জাফর আলী খবর পাঠায় সেলুনটা খোলার জন্য। স্থানীয় রাজাকার-আলবদর ক্যাম্প ছাড়া মিলিটারির ক্যাম্পও রয়েছে, নাপিতের অভাবে ভুগছে তারা। অগত্যা শোক চেপে আবারও পৈতৃক সেলুনটা খোলে।

‘কেমনে মারা গেল রে?’ সেলুনে এসে জানতে চায় জাফর। তার বাড়ি রাস্তার ওপারে, সেলুনে ঢোকার আগে সঙ্গের লোকজনকে বিদায় করে দেয় সব সময়।

‘ঘুমের মইদ্যে, কর্তা’, বিমর্ষ মুখে বলে সে।

চেয়ারে বসে পড়ে বদর বাহিনীর কমান্ডার, নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে হরি। কয়েক দিনের খোঁচা খোঁচা দাড়িতে সাবানের ফেনা মাখিয়ে একটু সময় নেয়।

‘শাহাবুদ্দীন হিন্দুস্তানের দালাল আছিল’, যথারীতি চোখ বন্ধ করে বলে জাফর।

হরিদাস ক্ষুর চালাতে শুরু করে।

‘দালাল দিয়া ভইরা গ্যাছে দ্যাশটা।’

আবারও সম্মোহনের শিকার হয় নাপিত। জুলফির নিচ থেকে ক্ষুরটা আস্তে আস্তে নামানোর সময় তার মনে হয়, কত অনায়াসেই না নরপিশাচটার গলায় একটা পোঁচ দিতে পারে! 

কিন্তু মানুষ খুন করা আসলেই কঠিন! হরিদাসের হাত কাঁপতে থাকে। তার মনের একটা অংশ তাড়া দেয় পোঁচটা দিতে, অন্য অংশ বলে নাপিতের কাজ চালিয়ে যেতে।

গভীর করে শ্বাস নিয়ে মনের এমন একটা অংশের কথা শোনার সিদ্ধান্ত নেয় সে, যার কথা এ জীবনে খুব কমই শুনেছে।