মৃত্যুর আগেই অনর্গল

আমরা মরতেছি

গাছেরা কানতেছে;

গাছের ওপর ভাসমান থোকা থোকা রোদ থেকে 

আলো ছিঁড়ে নেবার মতো আমরা—

আমরাই তো টুকরো হচ্ছি

মরে যাচ্ছি রক্তিম আকাশে!

একফালি চাঁদে আমাদের ছিন্নভিন্ন ছায়া—

খণ্ডিত ছায়ারা রক্ত দিয়ে গানের মতো মরে, 

গাছে গাছে গুপ্তহত্যা—

পাতা ঝরে দিন শেষে রক্তের অক্ষরে!

সীমান্তেও ঝুলে থাকে চাঁদ, 

         আমার শরীরে কার রক্তাক্ত আলো?

চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নাই,

আমাদেরও আলো নাই কোনো; যেন দীর্ঘ ক্রন্দনের গভীর এক ভার 

আর আগের মতন কারাগার

                সবই আমার মৃত্যুর জন্য অধীর—

এবং আমাদের মরণও হচ্ছে সেই পুরোনো ভাষায়!

পুরোনো উপমার পাশে আমার এ কণ্ঠ আজ

ধমনি খুঁড়ে নতুন ভাষা খোঁজে,

গাছের পাতায় খোঁজে মৃত ভাইয়ের নাম;

আমি কি লিখিলাম, মৃত্যুর আগেই অনর্গল আমরা রক্তের ভেতর? 

নদী সাঁতরে প্রতিদিনই মরতে মরতে আমরাই কি বলতেছি, আর কত রক্ত ঝরবে?

আমাদের বাড়ির প্রতিটি জবাগাছ লালে লাল—

খুন এবং খুনির ভূমিকায় 

         একই চাঁদ থেকে আলো পায়;

টগবগ করে রক্ত ঝরে আমাদের, আমাদেরই রক্ত ঝরে—

আর কাফনের কাপড় আমরা লুকিয়ে রাখি গেরিলার মতো, রক্তছেঁড়া ভাষার ভেতরে!