ঘন জীবনের সরীসৃপ
দৃষ্টি যদি আঙুলে এসে দুপুরের ট্রেন হয়ে থামে
তাকে অংশ দিতে দুলে ওঠে গুইসাপের ঘড়ি,
হাতের মুঠোয় রুটি ছিল, রুটির বুকে গমের প্রাণ
সাদিয়া দুইছিল ভেড়ার দুধ, মানসুর গুনছিল সরিষাখেত
হলুদগন্ধা দানা খেতে আসা কবুতরগুলো উড়ে যাচ্ছিল
সাদা আলোর স্রোত পায়ে ডানার স্বাদ ছায়ার শোভায়
যেন ঘাস ও ঘোড়ার প্রোজ্জ্বল অভ্যাস এসব ফুলের আছে।
আজ এই অগ্নিপ্রভ সরীসৃপ নিবিষ্ট বুকের বিস্তারে ঘুরে
ফেরে ফসলের সাধনায় ধমনির আবৃত্তির মতো।
অথবা কম জলে ঝলমলে মাছ যেমন রোদের ডাকে
দ্বিধায় কাঁপে অস্তিত্বের ছোরায়, ঝলক দেয়
আসে নীলিমার ডাঙা, আসে জেলেদের লোলুপ শিস
বীথিবনে শেওলায় সূর্যাস্ত মাখে নিবিড় মানুষের আঁশ,
দৃশ্য যদি নখে এসে রাতের ট্রেন হয়ে থামে
তাকে শনাক্ত করতে ঝুঁকে পড়ে মালতীর ঋতুরাগ
চোখের কোলে স্নেহ ছিল, স্নেহের কোলে প্রতিবেশী
সাদিয়া, মানসুর কিংবা এমন অনেকেই অপরূপ জ্বলে।