প্রশ্ন
ভারী বাতাসের স্রোতে
জলের আস্তর ভেঙে খান খান
অসমাপ্ত সমুদ্রপথের দিকে চাঁদ ঝুঁকে গেলে
চক্ররেখা ধরে নামে অন্ধকার
ঠিক তখনই মহাজাগতিক জিজ্ঞাসার ভিড় থেকে
টুপ করে সরে গিয়ে অনিকেত প্রশ্ন এক
নেমে এল ব্যালকনিজুড়ে
কোনটি সঠিক পথ? ভালো কিংবা মন্দ?
নিশ্চিত সঠিক পথ কেউ কি পেয়েছে খুঁজে কোনোকালে?
এত এত রক্ত, মৃত্যু, গোঙানির স্বর
৩৬ জুলাইয়ে এসে মিশেছে যেদিন,
সেদিন থেকেই প্রশ্ন—
মাঙ্গলিক বিচারের ভার আমাদের হাতে
তুলে দিয়ে যারা
প্রাণ দিল অকাতরে
তারা তো আমার শিশু, আমাদের যুবা
আমাদের ভাই কিংবা বোন
কত অনায়াসে পাড়ি দিল তারা নারকীয় রক্তাক্ত প্রান্তর
ঝরাল নির্যাস জীবনের—
স্যালুট তাদের, হৃৎস্পন্দনজুড়ে আছে তারা
থাকবে অটুট, অবিকল।
একদিন হেমন্তের গোধূলিমগ্নতা ভেঙে
তাদের রক্তের দূত দাঁড়ায় নীরবে
ভাবে, বাতাসের ভার বয়ে দূর দিগন্তের নীল
কোথায় চলেছে? যাবে কত দূরে?
আহত বৃষ্টির চোখে ফুটবে কি শরৎ শেষের আলো?
ঋতুমতী কাল কবে? দাঁড়াবে নিশ্চিত? নীরব স্বভূমে?
কীভাবে কুড়াবে মান্দার কাঁটার ভিড় থেকে
সকলের কোমল অন্তর?
বহু বছরের ভাঙা ডানা!
পারবে কি পাড়ি দিতে?
নিরাকার, জলবিন্দুহীন এই অনন্ত পাথার?