আন্তযোগাযোগ

স্বপ্নে হানা দেয় আজব সিঁড়িগুলো

যুক্তিহীন পরাবাস্তবিক

পেঁচিয়ে তড়পায় বাস্তবে

সড়কে হেঁটে যাই নিজের ছায়াসহ

সূর্য একদিকে হেলে আছে

হঠাৎ করে উঠি ফুটপাতে

পরস্পর থেকে সবাই সরে যায়

মুখোশ পরা আর মুখোশহীন

নির্দ্বিধায় হাসে পথের ফুল

হুলুস্থুল সে তো হুলুস্থুল

কবর, তাতে শুয়ে শুনছি শিয়ালের 

প্রসববেদনার আর্তচিৎকার

শাখা ও শিকড়ের আন্তযোগাযোগ

লুপ্ত হতে থাকা রাত্রিতে

কুয়াশা ঘিরে ধরে তোমাকে, আমাকেও

আত্মপরিচয় ঝাপসা হয়

কে যেন চলে যায় নৌকাতে

শব্দ পাই শুধু ছলাচ্ছল

বিষয়–বাসনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে

ঘাটের কাছে এসে আছড়ে মরে সব

নদীর জল

পানির মতো কোনো তরল বেদনায় 

এখনো কেঁদে যায়

শঙ্খচিল

জীবনানন্দের পুস্তকে

ছাপার অক্ষরে আমাকে পাবে না তো

তোমাকে যেতে হবে রঙ্গপুর

যজ্ঞডুমুরের গাছের নিচ দিয়ে

যেখানে বয় শ্যামাসুন্দরী