সরল ভাষায় জটিল অর্থনীতি
বাংলা ভাষায় অর্থনীতি নিয়ে লেখা বইয়ের মধ্যে প্রথম দিককার বই কোনগুলো? কোন বইটি প্রথমে আলোড়ন তুলেছিল? প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আনু মুহম্মদের সাম্প্রতিক বই অর্থশাস্ত্র: ইতিহাস দর্শন রাষ্ট্রনীতি পর্যালোচনার সূত্রে এসব প্রশ্নের অনুসন্ধান
ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্ত ১৯৮০ সালে ‘বাংলায় অর্থনীতি বিস্তার ও চর্চার ইতিহাস’ শিরোনামে একটি স্মারক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এর ঠিক ১০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা দিবসে বাংলা ভাষায় লেখা অর্থনীতির তিনটি বইয়ের শতবার্ষিকী নিয়ে আরেকটি বিশেষ বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। সেগুলোয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে আলাদা বিষয় হিসেবে অর্থনীতি পড়ানো শুরু হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯০৭ সালে। আর অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পরীক্ষা প্রথম নেওয়া হয় ১৯০৯ সালে। এর আগে ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে অর্থনীতির একটি বিশেষ পত্র থাকত শুধু। অর্থনীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা যে বাংলায় খুব একটা লেখালেখি করেননি, এটা থেকে তার কারণ বোঝা যায়।
বাংলা ভাষায় লেখা অর্থনীতি নিয়ে যে বইটি প্রথমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল, তার লেখক ছিলেন একজন মারাঠি সাংবাদিক—সখারাম গণেশ দেউস্কর। তিনি চমৎকার বাংলা লিখতেন। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত দেশের কথা বইটি ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১৩ হাজার কপি বিক্রি হয়েছিল। সেকালে বই বিক্রির এই রেকর্ড থেকেই বুঝতে পারা যায়, কতটা পাঠকপ্রিয় হয়েছিল বইটি। ১৯১০ সালে ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করলেও এর প্রসার থেমে থাকেনি। কারণ, তত দিনে এর হিন্দি সংস্করণ দেশ কি বাত বেরিয়ে গেছে। ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল বাংলা ভাষায় লেখা মূল বইটি।
দ্বিতীয় বক্তৃতায় শত বছর আগের তিনটি বইয়ের কথা উল্লেখ করলেও ভবতোষ দত্ত মূলত গুরুত্ব দিয়েছেন ১৮৭৪ সালে প্রকাশিত অর্থনীতি ও অর্থব্যবহার নামের বইটিকে। এর লেখক নৃসিংহচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তিনি খুবই অল্প সময়ের জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষকতা করলেও বইয়ে নিজের পরিচয় লিখেছেন হাইকোর্টের উকিল। বইটির অনেক অংশ ইংরেজি বই থেকে নেওয়া হলেও আগেরগুলোর মতো নিছক অনুবাদ ছিল না। বাংলা ভাষায় অর্থনীতিচর্চার ক্ষেত্রে বইটি পথিকৃৎ হয়ে থাকবে।
ভবতোষ দত্ত আরও বলেছেন, ‘যে দুজন মনস্বী উনিশ শতকে বাংলা ভাষায় অর্থনীতির সমস্যা নিয়ে মূল্যবান নিবন্ধ লিখেছিলেন, তাঁরা কেউই মূলত অর্থনীতিবিদ নন। এঁরা হলেন, ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এঁদের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নাম। পাণ্ডিত্য, বিচক্ষণ বিশ্লেষণশক্তি ও নিপুণ প্রকাশভঙ্গি ছাড়াও এঁদের তিনজনেরই ছিল পল্লি অঞ্চলের সমস্যা সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা বঙ্কিমচন্দ্র লাভ করেছিলেন জেলায়-মহকুমায় প্রশাসকের কাজ করে, ভূদেব স্কুল-পরিদর্শকরূপে এবং রবীন্দ্রনাথ তাঁর জমিদারি ও শ্রীনিকেতনের কাজ পরিচালনা করে।’
এর পরেই লেখালেখির ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন অর্থনীতিবিদেরা। শুরুতে পাঠ্যবই রচনার দিকে ঝোঁক থাকলেও ধীরে ধীরে অর্থনীতিবিদেরা নিজস্ব গবেষণা ও বিশ্লেষণ ধরে বাংলায় বই লেখা শুরু করেন। তবে এখনো তা খুব বেশি, তা বলা যাবে না। অথচ অনেক কৃতী অর্থনীতিবিদই বিশ্ব-অঙ্গনে নাম করেছেন, দেশের মধ্য থেকেও খ্যাতিমান হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের লেখার ভাষা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি। এর একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ভবতোষ দত্ত। তাঁর ভাষায়, ‘ইংরেজিতে লেখার প্রধান কারণ প্রশস্ততর ক্ষেত্রের পাঠকমণ্ডলীর প্রতি লেখকের দৃষ্টি।’ তবে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইংরেজিতে লেখা হবে উচ্চশিক্ষিত পাঠকের জন্য ও বাংলা লেখা হবে অল্প শিক্ষিতের জন্য—এই বিপজ্জনক ধারণা থেকে আমাদের মুক্ত হওয়া প্রয়োজন।’
তবে সাবেক আমলা ও শিক্ষক আকবর আলি খান এটা নিয়ে এতটা রাখঢাক রাখেননি। তিনি তাঁর আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি বইয়ের ভূমিকায় বাংলা ভাষায় অর্থনীতি নিয়ে লেখালেখির অভাবের কারণ হিসেবে লিখেছেন, ‘প্রথমত, বাংলায় অনেক প্রবাদপ্রতিম অর্থনীতিবিদ জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে এঁরা (সম্ভবত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মোহে) বাংলা ভাষায় লেখার তাগিদ অনুভব করেননি। দ্বিতীয়ত, বাংলা ভাষায় অর্থনৈতিক পরিভাষার দৈন্য রয়েছে। তৃতীয়ত, জন্মগতভাবে বাঙালিরা বামপন্থী। বাংলায় অর্থনীতি নিয়ে যা প্রকাশিত হয়, তার সিংহভাগই হচ্ছে রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে ডান-বামের তরজা আর খিস্তি-খেউর।’
ঠিক এই জায়গা থেকেই বাংলাদেশে একজন বামপন্থী লেখকের প্রকাশিত নতুন বইয়ের আলোচনা শুরু করা যায়। বইটির নাম অর্থশাস্ত্র: ইতিহাস দর্শন রাষ্ট্রনীতি। লেখক আনু মুহাম্মদ। তিনি অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার একজন সক্রিয় আন্দোলনকারীও। চিন্তায় ও মননে তিনি অবশ্যই বামপন্থী। তবে ‘খিস্তিখেউর’ থেকে তিনি সর্বদাই শত হাত দূরে থেকেছেন, তাঁর লেখালেখির ক্ষেত্র হচ্ছে মৌলিক অর্থনীতি এবং অর্থনীতির নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় অর্থনীতি নিয়ে যত লেখালেখি হয়েছে, তাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে অর্থনীতি নিয়ে পাঠ্যবই রচনা। আরেকটি হচ্ছে পত্রিকা বা সাময়িকীতে অর্থনীতি বিষয়ে লেখালেখি বা বিভিন্ন উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতা বই আকারে প্রকাশ করা। আর সর্বশেষ হলো মৌলিক ও গবেষণাধর্মী লেখা। বলা বাহুল্য, দ্বিতীয় ধরনটাই এখানে বেশি। আনু মুহাম্মদ এই তিন ধারার মধ্যেই আছেন। না, সরাসরি কোনো পাঠ্যবই তিনি লেখেননি। তবে তাঁর অর্থশাস্ত্র পরিচয় নামে ২০১০ সালে প্রকাশিত বইটি অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের যথেষ্টই কাজে লাগবে। এমনকি যাঁরা সহজ বাংলা ভাষায় অর্থনীতি বুঝতে চান, বইটি তাঁদেরও জন্য। বইটি একেবারেই মৌলিক অর্থনীতি নিয়ে লেখা। অর্থশাস্ত্রের ধারণা, ভোক্তা, চাহিদাতত্ত্ব, উৎপাদন, বাজার, প্রতিযোগিতা, বৈষম্য, বাণিজ্যতত্ত্ব—এসব বিষয় বইটিতে আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথম বর্ষে ব্যষ্টিক বা মাইক্রো অর্থনীতির কোর্স ছিল। তখন এই সবই পড়তে হয়েছিল।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় অর্থনীতি নিয়ে যত লেখালেখি হয়েছে, তাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে অর্থনীতি নিয়ে পাঠ্যবই রচনা। আরেকটি হচ্ছে পত্রিকা বা সাময়িকীতে অর্থনীতি বিষয়ে লেখালেখি বা বিভিন্ন উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতা বই আকারে প্রকাশ করা। আর সর্বশেষ হলো মৌলিক ও গবেষণাধর্মী লেখা।
নতুন প্রকাশিত অর্থশাস্ত্র: ইতিহাস দর্শন রাষ্ট্রনীতি বইটিও মৌলিক অর্থনীতিরই বই। আগের বইটিতে তিনি অর্থশাস্ত্রকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, বইটি অর্থশাস্ত্র বিকাশের ধারা নিয়ে। তিনি এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন ইতিহাস, দর্শন ও রাষ্ট্রনীতিকে। অর্থশাস্ত্র বিকাশের ধারা ও উন্নয়ন অর্থনীতি নিয়ে যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্য এ বই অবশ্যপাঠ্য। উন্নয়নের অর্থনীতি নামে রিজওয়ানুল ইসলামের একটি বাংলা বই আছে। আনু মুহাম্মদের বইটিও সেই ধারার। তবে বইটিতে আরও বেশি তথ্য, তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ যুক্ত হয়েছে।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় বইপত্র অজস্র। অর্থনীতিবিদেরা নানা সময়ে নতুন নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে অর্থশাস্ত্রেও নানা বদল এসেছে। নতুন নতুন ধারার উদ্ভব ঘটেছে। সেসবের প্রায় সবকিছু এক জায়গায় এনে তা সহজে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করেছেন আনু মুহাম্মদ।
বইটির ভূমিকায় লেখক শুরুতেই বলে নিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে গিয়েই এই বই লেখার তাগিদ তিনি অনুভব করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘ক্লাসে পড়াতে পড়াতে আমি এর গুরুত্ব অনুভব করেছি প্রধানত দুটি কারণে। প্রথমত, ভাষা। এ বিষয়ে যে বইগুলো শিক্ষার্থীদের পড়তে উৎসাহিত করতাম, সেগুলো সবই ইংরেজি ভাষায় লেখা। বুঝতে পারতাম, কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্যই এসব বই অধ্যয়নে বড় বাধা—ভাষা। দ্বিতীয়ত, বিষয়বস্তু। যেসব ইংরেজি বই পেয়েছি, সেগুলোও এই বিষয়ে সামগ্রিক মনে হয়নি। একটি বড় অসম্পূর্ণতা পাই—প্রাচ্যে অর্থশাস্ত্রবিষয়ক চিন্তাভাবনা ও চর্চা সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা। এ ছাড়া অর্থনীতির তত্ত্ব যে একই সঙ্গে দর্শন ও রাজনীতিরও প্রশ্ন, সেই উপলব্ধিও বেশির ভাগ গ্রন্থে অনুপস্থিত। তত্ত্ব যে স্থান, কাল এবং মানুষের চিন্তার অবিরাম দ্বান্দ্বিক প্রবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত, তার প্রকাশও কমই পেয়েছি।’
বইটিতে সব মিলিয়ে ১৮টি অধ্যায় রয়েছে। এর শুরু ‘প্রাচীন তত্ত্বচর্চা ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ দিয়ে। আর শেষ অধ্যায়ের বিষয় ‘অর্থশাস্ত্রের সাম্প্রতিক ধারা।’ মাঝের অধ্যায়গুলো হচ্ছে যথাক্রমে: ইবনে খালদুন ও স্কলাস্টিকদের চিন্তাধারা; বিশ্ববাণিজ্যের বিস্তার, সিল্ক রোড ও ধর্মযুদ্ধ; ইউরোপে পরিবর্তন-যাত্রা; জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়, বাণিজ্যতন্ত্রী তত্ত্ব এবং সমসাময়িক বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা; ভূমিবাদী চিন্তাধারা, শিল্পবিপ্লব ও অর্থনীতির নতুন বিন্যাস; অ্যাডাম স্মিথ এবং অর্থশাস্ত্রের নতুন পর্ব; টমাস রবার্ট ম্যালথাস: ক্ল্যাসিক্যাল রক্ষণশীল ধারা; ডেভিড রিকার্ডো: ক্ল্যাসিক্যাল অর্থশাস্ত্রের মূলধারা; উপযোগিতাবাদী অর্থশাস্ত্রের প্রাথমিক ভিত্তি; সমাজ অর্থনীতি ও অর্থশাস্ত্র: ভিন্ন চিন্তা; কার্ল মার্ক্স: অর্থশাস্ত্রে বিপ্লবী ধারা; নয়া ক্ল্যাসিক্যাল অর্থশাস্ত্রের প্রস্তুতি; নয়া ক্ল্যাসিক্যাল তত্ত্ব এবং আলফ্রেড মার্শাল; অর্থনীতির বিবর্তনবাদী তত্ত্ব: থর্সটাইন ভেবলেন এবং জন মেনার্ড কেইনস এবং সংকট ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের নানা অঞ্চলে অর্থশাস্ত্র বিকাশের পুরো ধারাটাই তিনি তুলে এনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসনের মাইক্রো ইকোনমিকস বইটি আমাদের পড়তে হয়েছিল। অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্ত স্যামুয়েলসনের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তিনি এমন লেখা লিখেছেন, যা হয়তো সারা পৃথিবীতে তিন-চার শর বেশি লোক বুঝতে পারবেন না। আবার এমন লেখা লিখেছেন, যার হয়তো ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। দুটোই চমৎকার লেখা। কিন্তু দুটো ভিন্ন স্তরের জন্য লেখা। এই স্তরভেদ, পাঠকের স্তরভেদ অনুসারে লেখা। এই ব্যাপারটাকে বোধ হয় আমাদের রপ্ত করা উচিত। আমি এটা বলছি এই কারণে যে একটা প্রকৃতিগত দোষ আছে। সিলেবাস গঠনে, পাঠ্যবই সিলেকশন—সর্বত্রই দেখতে পাই। আমরা পণ্ডিতি দেখাবার সুযোগ কম পাই। কম পাই বলে যখনই সুযোগ পাই পণ্ডিতি দেখাই। এই বেশি করে দেখানোটা সব সময় দরকার হয় না। এমন করে লেখা দরকার, যাতে যাদের জন্য লিখছি তারা যেন বিনা আয়াসে, বিনা কষ্টে লেখাটা পড়ে বুঝতে পারে।’
আনু মুহাম্মদের বইটির সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে এর প্রকাশভঙ্গি। খুবই সহজ ও সরল। ফলে শুধু শিক্ষার্থীরা নন, অর্থনীতি নিয়ে যাঁদেরই আগ্রহ আছে, তাঁরাও আনন্দ নিয়ে বইটি পড়তে পারবেন।
অর্থশাস্ত্র: ইতিহাস দর্শন রাষ্ট্রনীতি—আনু মোহাম্মদ; প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা; ২০২৪, দাম: ৫৫০ টাকা।