আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সাক্ষাৎকার

আমরা অনেকে এটা বিশ্বাসই করতে পারিনি, আমরা মুক্ত

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ৮৫ পেরোলেন কিছুদিন আগে। দীর্ঘ জীবনে বেশ কয়েকটি গণ–আন্দোলনের সাক্ষী তিনি। সেই সূত্র ধরে বলেছেন, বই কীভাবে মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করে। আলাপ করেছেন সম্প্রতি প্রকাশিত বাঙালির চিন্তামূলক রচনা সংগ্রহ-এর বিপুল যজ্ঞ নিয়ে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন আলতাফ শাহনেওয়াজসাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম

প্রশ্ন:

সম্প্রতি দেশে ছাত্র–জনতার একটা অভ্যুত্থান ঘটেছে। অবরুদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়ে দেশ একটা পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। মানুষের মনে দ্বিধার পাশাপাশি প্রত্যাশাও অনেক। আপনার প্রজন্ম ও আপনারা তো অনেকগুলো গণ-আন্দোলনের সাক্ষী। সেই জায়গা থেকে সামনের দিনগুলো কেমন হবে বলে মনে করেন?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: ব্যক্তিগতভাবে আমি আবেগপ্রবণ মানুষ। কিন্তু চিন্তা করার সময় আবেগকে খুব বেশি প্রাধান্য দিই না। আমার মনে হয়, এই বিশ্ববিধানের মধ্যে একটা নিঃশব্দ নিয়ম কার্যকর আছে। তার পথ ধরেই বিশ্বচরাচর চলছে। এখানে কোথাও বাড়াবাড়ি হলে প্রকৃতির নিয়মই তাকে শমিত করে দেয়। যেমন কিছুদিন আগেও আমাদের বাক্​স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বহু রকম স্বাধীনতা কমে গিয়েছিল। তাই এক বিপুল জোয়ার জেগে উঠে আবার সবকিছুকে মিলিয়ে দিয়ে গেল। এ অনেকটা শেয়ারবাজারের বাজার সংশোধনের মতো বিষয়, চড়াই–উতরাই, উত্থান–পতনের পথে তার যাত্রা।  এই দুটোর সমন্বয়–সামঞ্জস্যের সামনে আমরা সব সময় আছি। এখন তার উত্তুঙ্গ অবস্থা। এর মানে এই নয় যে আগে মানবিক মুক্তির জায়গায় আমরা ২০–এ ছিলাম, এখন এখান থেকে একলাফে ১০০–তে চলে যাব। কিছুদিনের জন্য আমরা হয়তো ৬০, ৭০–এ উঠে যাব। এরপর আবার স্থিত হব, ফিরে আসব আমাদের প্রকৃত বাস্তবতায়।

এটুকুও যদি পারি, তাহলেও ধরতে হবে আমাদের মোটামুটি একটা সাফল্য হলো। কারণ, এই আন্দোলনই আমাদের জাতির শেষ আন্দোলন নয়। 

অনেকে ভাবেন, আমাদের এবারের জাগরণ একটা ছোট আকারের স্বাধীনতা সংগ্রাম। আমার কিন্তু মনে হয়, স্বাধীনতা একবারই হয়। এরপর যেগুলো হতে থাকে, সেগুলোকে ‘স্বাধীনতা’ না বলে ‘মুক্তি’ বলাই ভালো। স্বাধীনতাযুদ্ধ বারবার হয় না, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চিরকালীন। চিরকালই আমরা অবরুদ্ধ হব এবং চিরকালই জাগরিত হব। এমনই জাগরণের পর জাগরণের ভেতর দিয়ে ক্রমাগত ঘটতে থাকবে আমাদের উত্তরণ। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স বা জার্মানির আজ যে সভ্য অবস্থা, এটা তো এক দিনে হয়নি। বহু মুক্তিযুদ্ধ পেরিয়ে তবেই না তাদের এই সাফল্য।

রবীন্দ্রনাথের একটা লেখা পড়েছিলাম। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর কোনো একটা মেয়ে তখন খুবই ছোট, হামাগুড়ি দেয়। হঠাৎ সে মেঝের ওপর একটা আরশোলা দেখে কৌতূহলী হয়ে ওটাকে ধরার জন্য এগিয়ে গেল। কিন্তু কবি লক্ষ করলেন, আরশোলাটাকে ধরার জন্য সে একটানা এগিয়ে যাচ্ছে না। যতক্ষণ আরশোলাটা চলছে, ততক্ষণ সে চলছে। কিন্তু আরশোলাটা থেমে পড়লেই সে–ও থেমে যাচ্ছে। আরশোলা আবার চলতে শুরু করলে সে–ও আবার চলতে শুরু করছে দেখে রবীন্দ্রনাথের মনে হলো, এই হলো বিশ্বের গতি, এর চলমানতার ছন্দ; এটা একটানা চলে না, চলে থেমে–এগিয়ে, থেমে–এগিয়ে। 

অনেকগুলো আন্দোলন দেখেছি জীবনে। ১৯৪৭ সালে চোঙা ফুঁকেছি, ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’। বায়ান্নতে এসে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। এরপর উনসত্তর হয়ে একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রাম। তখন আমাদের পূর্ণ যৌবন। কী রক্তিম রোমাঞ্চ তখন মনে! তারপর স্বাধীন দেশে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দেখলাম। প্রতিবারই স্লোগান এসেছে, প্রতিবারই ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়। এভাবে ভেঙে ভেঙেই আমরা ক্রমাগতভাবে এগিয়েছি।

আমাদের অভ্যুত্থানগুলো ক্রমাগতভাবে বড় ও প্রবলতর হচ্ছে। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, শক্তি বাড়ছে, সম্পদ বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের অবরুদ্ধ করার বৈরী শক্তিও বাড়ছে। তাই আমরা এত বড়ভাবে এসবে সাড়া দিতে পারছি। এটাকে আমি খুব ইতিবাচক হিসেবেই দেখি।

কিছুদিন ধরে এই যে আমাদের হঠাৎ মনে হচ্ছে, আমরা মুক্ত। প্রথমে আমরা অনেকে তো এটা বিশ্বাসই করতে পারিনি। পরে ধীরে ধীরে ধাতস্থ হয়েছি। এই মুক্তিকেই এখন আমাদের মূল পরিচয় হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি।

প্রশ্ন:

মানুষের জাগরণের সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ককে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: জাগরণ দুই রকম। এক ধরনের জাগরণ আছে যা আদিম মানুষের মতো। সহজাত, অন্ধ। সে–ও সামনেই যায়, কারণ সামনে এগোনো বিশ্বপ্রকৃতির নিয়তি। কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে জাগরণ অনেক বেশি ধীশক্তিসম্পন্ন, মেধাবী, উচ্চায়ত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। জ্ঞান মানুষের চাহনিকে বড় ও স্বপ্নসমৃদ্ধ করে। আর বই তার উচ্চতর সাফল্যকে নির্বিঘ্ন করে। কাজেই জ্ঞানহীন জাগরণ খণ্ডিত হতে বাধ্য।

প্রশ্ন:

আপনার হাত ধরে এ দেশে বইপড়া, বই প্রকাশসংক্রান্ত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। এসব উদ্যোগের প্রথম দিকে নিশ্চয়ই অনেক চড়াই-উতরাই ছিল। সে সব সময়ের কথা জানতে চাই।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিকের কথা। আমি তখন ঢাকা কলেজে পড়াই। কী যে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছিল তখন দেশের এই শ্রেষ্ঠ কলেজে! তাদের চোখেমুখে এত জানার আগ্রহ! এত প্রশ্ন!

১৯৬৮ সালের শেষের দিকে হবে, আমার জনা দশেক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম যে আমাদের জাতির মধ্যে জ্ঞানের চর্চা হওয়া দরকার। ব্রিটিশরা আমাদের জাতিকে যেভাবে একদিন চা ধরিয়েছিল, তেমনিভাবে গোটা জাতিকে আমাদের বই ধরাতে হবে। 

শুরু হয়ে গেল আমাদের পাঠচক্র। কিন্তু শুরু করলেই হয়ে যায় না। বসার জায়গা চাই, বই কেনার টাকা চাই। একটা কথা এখানে বলতেই হয় যে তখনকার দিনে অনেক উদার মানুষ ছিলেন সমাজে। যাঁরা ভালো কাজের কথা শুনলে সাধ্যমতো সাহায্য করতে এগিয়ে আসতেন। আমরাও অনেকের সাহায্য পেতে লাগলাম।

মনে আছে, আমাদের পাঠচক্রের প্রথম দিনের বিষয় ছিল ‘নিহিলিজম’। সপ্তাহে এক দিন বসতাম আমরা। এভাবে কয়েক মাস পাঠচক্রটা চলেছিল। এরপর শুরু হলো ১৯৬৯ সালের গণ–অভ্যুত্থান। রাজনৈতিক ডামাডোলে বন্ধ হয়ে গেল পাঠের আসর।

এর দুই বছরের মধ্যে দেশ স্বাধীন হলো। তখন একটা ব্যাপার বুঝতে পারলাম, এই যে ‘সোনার বাংলা’ কথাটা, আমরা বলছি বা ভাবছি বটে; কিন্তু আমাদের দেশ সোনায় মোড়ানো হয়ে গেছে—এটা আসলে রূপক কথা। সোনার বাংলা বলে আসলে কিছু নেই। মানুষের সাধনা, চেষ্টা, ইচ্ছাশক্তি আর আত্মোৎসর্গ দিয়ে যা করা হবে, সেটাই সোনার বাংলা। তখন আবার শুরু হলো পাঠচক্র।

প্রশ্ন:

পাঠচক্রের পরম্পরায় পরবর্তী সময়ে ‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগানে গড়ে তুলেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো বই পড়ার প্রতিষ্ঠান। দেশজুড়ে তৈরি করেছেন ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। আপনার এক বক্তৃতায় শুনেছি, ‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগান নিয়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার তৈরির ভাবনা আপনার মাথায় এসেছিল রিকশায় বসে ঘটা ছোট্ট একটা অভিজ্ঞতা থেকে।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: অনেক আগের কথা। তখন বোধ হয় আমার বয়স ২৫ হবে। এক বন্ধুর সঙ্গে রিকশায় করে তার বাসায় যাচ্ছি। রিকশাচালক আমার বন্ধুর সেই বাড়ির সামনে গিয়ে একসময় দাঁড়াল। আর আমার বন্ধু তাকে বলল, ‘বাড়ির সামনে এলেই হলো, গেটের সামনে গেলে না? যাও, গেটের সামনে যাও।’ কিছুতেই সে নেমে ওই সামান্য কয়েক পা হাঁটবে না। তাকে একেবারে দরজার সামনেই নামাতে হবে। আমার হঠাৎ মনে হলো, এ দেশের মানুষ এমনই, গেটের মতো লাইব্রেরিতেও এমনি যেতে চায় না। দুই দিন গিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বরং এক কাজ করা যায়, বইকেই তাদের কাছে নিয়ে গেলে তাদের পড়ালেখা সহজ হতে পারে। এই ভাবনা থেকে পরবর্তীকালে নব্বইয়ের দশকে শুরু করেছিলাম ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। এখন এর সদস্য ছয় লাখের মতো।

প্রশ্ন:

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হয়েছে। অনুবাদ বইগুলো কিশোর-তরুণদের কাছে জনপ্রিয়ও। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এখন কত?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: ‘বাঙালির চিন্তা প্রকল্প’-এর আওতায় সম্প্রতি প্রকাশিত বাঙালির চিন্তামূলক রচনাসংগ্রহ-এর ২০৮ খণ্ড ধরলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আট শর মতো হবে। আশির দশকের শেষে মাত্র সাত–আটটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশনার ক্ষেত্রে আমরা বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের ক্ল্যাসিক বইগুলোর ভালো অনুবাদের প্রতি সব সময়ই গুরুত্ব দিয়েছি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রথম চাওয়া হলো, বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা, বই নিয়ে শুধু ব্যবসা করা নয়। এ জন্য মানসম্পন্ন বই ও ভালো অনুবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমাদের মনে হয়েছে।

প্রশ্ন:

‘বাঙালির চিন্তা প্রকল্প’ আপনার একটি বড় কাজ। বিগত ২০০ বছরে বাঙালি যেসব চিন্তা করেছে ও লিখেছে, বিষয়ভিত্তিকভাবে তা প্রকাশ করা হয়েছে এই গ্রন্থমালায়। এর মধ্যে এই প্রকল্পের অধীন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর খণ্ডে খণ্ডে বই বের হতে শুরু করেছে এবং সামনে আরও বের হবে। জানা গেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে ১৬টি বিষয়ে ২০৮ খণ্ডে প্রকাশিত হবে বাঙালির চিন্তামূলক রচনাসংগ্রহ। এই কাজ করতে উদ্যোগী হলেন কেন? এর জন্য ২০০ বছর কেন নির্ধারণ করলেন?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: এটাও সেই হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতোই। ১৯৯৮ সালের এক সকালে ঘুম থেকে উঠে আকস্মিকই মাথায় চিন্তাটা এসেছিল। উনিশ শতকে বাংলার রেনেসাঁ বা নবজাগরণের পর থেকে ২০০ বছর ধরে বাঙালির বৌদ্ধিক সমৃদ্ধির যে সময়কাল, এটাকে ধরে রাখা দরকার বলে মনে হয়েছিল। চিন্তা, মূল্যবোধ, মননশীলতা, জ্ঞানচর্চা, মুক্তিসংগ্রাম—সব মিলিয়ে বাঙালির জীবনে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐশ্বর্যময়। এ সময়ই রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু করে একে একে এসেছেন বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীরা। এ সময় বহু বাঙালি মনীষী, ভাবুক বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা করেছেন, লিখেছেন। মনে হলো, তাঁদের ভাবনাগুলো ও সেই সময়কে একত্র করতে পারলে তা বাঙালি জাতির জন্য বিরাট সম্পদে পরিণত হবে।

এরপর ধাপে ধাপে সব হলো। এই সংকলন প্রকাশের সঙ্গে অনেক মানুষের অভিজ্ঞতা ও শ্রম জড়িত। অনেকের অবদান আছে। আড্ডা, আলোচনা, গভীর ভাবনার ভেতর দিয়েই সংকলনের বিষয় নির্ধারণ ও লেখা নির্বাচন করা হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে হয়েছে বাছাই, বিন্যাস ও বানান দেখার কাজ। আদতে ২০০ বছরের ভাবনাকে একসঙ্গে করাটা খুব জরুরি ছিল। সবশেষে এটা যে করা সম্ভব হয়েছে, এটাই আনন্দের।

প্রশ্ন:

৮৫ পেরিয়ে এলেন। আপনার কৈশোর ও তারুণ্যের অনেক গল্প আছে। তার মধ্য থেকে কোনো একটা স্মৃতি বলতে হলে এখন কোনটা বলবেন?

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: জীবনে প্রথম পাঠচক্র শুরু করেছিলাম এখন থেকে ৭০ বছর আগে, ১৯৫৪ সালে। তখন আমি পাবনা জেলা স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র। সেই পাঠচক্রের নাম দিয়েছিলাম ‘ফিলসফিক্যাল সোসাইটি’। দর্শন ব্যাপারটা সম্পর্কে কিন্তু আমাদের সে সময় কোনো ধারণাই ছিল না। কিন্তু নাম দিয়েছিলাম গালভরা। সেই পাঠচক্রে আমরা জর্জ বার্নার্ড শ পড়া শুরু করেছিলাম। তবে কয়েক মাস পর ওটাও উঠে গেল। তত দিনে অবশ্য আমরা ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান পর্যন্ত পড়ে ফেলেছি। সেই প্রথম পাঠচক্রের স্মৃতিটা
মনে আছে স্পষ্ট।