মতিউর রহমানের নেওয়া সাক্ষাৎকার

‘যদি কোনো বিষয়ে আমার নিজের কোনো বক্তব্য না থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে আমি লিখি না’

প্রথমা প্রকাশন থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আকবর আলি খানের স্মৃতিকথা পুরানো সেই দিনের কথা বের হওয়ার পর এই লেখকের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। পরে সেই কথোপকথনের বিস্তারিত প্রথম আলো ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হয়। আকবর আলি খানের প্রয়াণবার্ষিকীতে প্রকাশিত হলো ওই সাক্ষাৎকারের নির্বাচিত অংশ, যার মধ্যে আছে লেখক হিসেবে তাঁর বেড়ে ওঠার বৃত্তান্ত।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনি বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে এই বই লেখালেখিতে আপনি ঢুকলেন বয়স ৫০ বছর পার হওয়ার পরে। স্বাভাবিকভাবেই জীবনের সবকিছু সব সময় সঠিক সময়ে হয় না। তবে ৫০ বছরে শুরু করার ফলে তত দিনে আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, জ্ঞান অর্জন করেছেন, বই পড়েছেন, তারপর লেখা শুরু করেছেন।

আকবর আলি খান: একমাত্র পিএইচডি থিসিস ছাড়া আর কোনো লেখাই আমি অল্প বয়সে লিখিনি।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: পুরানো সেই দিনের কথায় আপনি লিখেছেন যে কোনো কোনো বিষয়ে প্রায় ৩০, ৪০ বা প্রায় ৫০ বছর গবেষণা, চিন্তাভাবনা করেছেন। তারপর বই লিখেছেন। কোনো একটি বই করতে গিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫-১৬ বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। অর্থাৎ কোনো বই-ই আপনি চট করে দ্রুত লেখেননি। তো এই যে এত বিচিত্র সব বিষয়ে আপনার আগ্রহ, এত যে পরিশ্রম করেছেন আপনি…

আকবর আলি খান: আখেরে হয়তো মনে হবে যে এত কিছু করে আমি মোটেও ভালো করিনি। এত সব যা লিখেছি, সেগুলো হয়তো তুলনামূলকভাবে অনেক হালকা। শুধু একটি বিষয়ের ওপরে মনোনিবেশ করলে হয়তো আরও গভীর কিছু লিখতে পারতাম। কিন্তু সবকিছুর উত্তরে আমি বলব, আমার প্রকৃতিই এ রকম। এক ধরনের বই পড়তে বেশি দিন ভালো লাগে না আমার। একটা বিষয়ের ওপর বই পড়লাম, সেটা ছেড়ে আবার আরেকটা বিষয় ধরলাম—এভাবে বিভিন্ন বিষয় পড়তে আমার ভালো লাগে।

আরেকটি কারণ হলো, যেখানেই আমি চাকরি করেছি, সেখানেই ওই চাকরি-সম্পর্কিত তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছি। যেমন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে থাকতে পানিসম্পদ সম্পর্কে যথেষ্ট গবেষণা করেছিলাম আমি। এত গবেষণা করেছিলাম যে আমাকে নিউইয়র্কের ইউএনডিপি তাদের পানিসম্পদের ওপরে দুটি প্রবন্ধ লেখার জন্য কনসালট্যান্সি দিয়েছিল। একটি জাতিসংঘের ইকোনমিক্যাল সোশ্যাল কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

আমার বই পড়তে ভালো লাগে। এবং বই পড়তে গেলেই বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে, যার উত্তর সন্ধান করতে গিয়ে আমি আরও একটি বই লিখে ফেলি। এই বই পড়ার জন্যই আমার সারা জীবন এভাবে কেটেছে।
—আকবর আলি খান
প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আবার পরে সেই প্রবন্ধটি আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নাল ন্যাচারাল রিসোর্স ফোরাম-এ প্রকাশিত হয়েছে।

আকবর আলি খান: এটা বিলাত থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। আরও একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিসোর্স ট্রেনিং সেন্টারে থাকতে সেখানে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপর ট্রেনিং করতে গিয়ে গভর্ন্যান্স ও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে আমি গবেষণা শুরু করি। পরবর্তীকালে সেটি আরও অনেক বই লিখতে সহায়তা করেছে।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনার যে আগ্রহ—অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ; আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশের কবিতা, বাংলায় ইসলাম প্রচার, বাংলাদেশের অভ্যুদয়—এত সব বিষয়, আপনি এর গভীরে ঢুকলেন…

আকবর আলি খান: আরও অনেক বিষয় রয়ে গেছে, যেগুলো এখনো আমি লিখে উঠতে পারিনি। জানি না পারব কি না। নানা সময়ে নানা কারণে বিচিত্র বিষয়ে আমার আগ্রহ হয়েছে। তবু আরও অনেক বিষয় ছিল, যেগুলোতে আগ্রহ হলে ভালো হতো। বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে খুব পড়াশোনা করিনি, সেটা আমার একটা বড় দুর্বলতা। আপনি যেমন বিজ্ঞান পড়েছেন, আমি পড়তে পারিনি। যদিও প্রবেশিকা পরীক্ষায় আমার অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট ছিল বিজ্ঞান। প্রায় ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলাম আমি। আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমি যেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। অনায়াসে আমি হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারতাম। কিন্তু পড়িনি। বিজ্ঞানের অধিকাংশ জগৎ আমার কাছে অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের যে পদ্ধতি, সেটা আমাকে শিখতে হয়েছে। সেই পদ্ধতিতেই আমি কাজ করি।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনি গণিতে দুর্বল ছিলেন। পিএইচডি করায় স্ত্রীর সাহায্য নিয়েছিলেন?

আকবর আলি খান: হ্যাঁ। গণিতে বেশ দুর্বল ছিলাম আমি। পিএইচডি করার সময় আমার স্ত্রী হামীম খান আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্সে (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ) প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছিলেন তিনি। তবে আমি পিএইচডি করতে বিদেশ যাওয়ায় আমার স্ত্রী এমএসসি সম্পন্ন করতে পারেননি। তিনি সানবীমস স্কুলে ২০ বছর গণিতের শিক্ষক ছিলেন।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: পুরানো সেই দিনের কথার প্রথম অংশেও আপনি আপনার ও আপনার পরিবারের যে পরিচয় দিয়েছেন বা আপনার আত্মীয়স্বজনের সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে যা উপস্থাপন করেছেন, পাঠক হিসেবে বলব, কোনো রাখঢাক না রেখে আপনি সত্য বলেছেন। অন্যদিকে বন্ধুদের কথা বা বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের আভ্যন্তরীণ নানা বিষয়, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সরকারের ভেতরে টানাপোড়েন, এমনকি বাংলাদেশ সরকার গঠনের পরেও আবদুস সামাদ আজাদের সঙ্গে আপনার সাক্ষাতের ঘটনা ইত্যাদি সম্পর্কে উল্লেখ করে কিন্তু সত্য বলার পরিষ্কার প্রমাণ আপনি দিয়েছেন।

আকবর আলি খান: এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত করি। যদি কোনো বিষয়ে আমার নিজের কোনো বক্তব্য না থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে আমি লিখি না। আমার প্রতিটা বই-ই আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। আমার নিজস্ব বক্তব্যটি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, না-ও হতে পারে। কিন্তু সেটি পাঠককে আকর্ষণ করে। যেমন ধরুন, আমি তো বাংলা সাহিত্যে বিশেষজ্ঞ নই। কিন্তু চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন বইটা এ কারণেই জনগণের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে যে আমি নতুন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনানন্দ দাশকে দেখার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: বিগত ২০ বছরের কথা যদি বলি, চাকরিজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর আপনার তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অংশগ্রহণ, পদত্যাগ, তারপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে কতগুলো পরিষ্কার স্বচ্ছ বক্তব্য এবং দলনিরপেক্ষ স্বাধীনভাবে মত দিয়েছেন বলেই জনপ্রিয়তা। এটা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

আকবর আলি খান: জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার বক্তব্য গ্রহণ করেছে। আমি এখন সেই অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করেছি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা আমার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন কাজ। দ্বিতীয়ত, প্রতিটা বিষয়ই টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। সেখানে নিজের মত প্রকাশের সেই সুযোগটা আমি পাই না, যে কারণে এই মাধ্যম থেকে আমি দূরে সরে এসেছি।

তবে সিভিল সমাজের বহু মানুষ এখনো তাঁদের বক্তব্য পেশ করে যাচ্ছেন, যেটা শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই। তবে অনেক সময় সিভিল সমাজের কোনো কোনো সদস্য যথেষ্ট গবেষণা না করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। সিভিল সমাজের যে ভূমিকা, আমার মনে হয় এতে সেটি ক্ষুণ্ণ হয়। এসব জায়গায় যারা অংশ নেন, তাঁদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: বই এমন একটা বিষয়, যেটা লেখা হলে থেকে যায়। কখন কোন বইয়ের কী প্রয়োজন পড়ে, আমরা জানি না। কিন্তু প্রয়োজন পড়ে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকে। কিন্তু দেশে-বিদেশে এত ব্যস্ততা, এত রকম কার্যক্রমে যুক্ততা ছিল আপনার। এসবের মধ্যে আপনি এগুলো করলেন কীভাবে? সময় কীভাবে পেলেন?

আকবর আলি খান: কীভাবে ঠিক জানি না। তবে শেষ পর্যন্ত যতটুকু পেরেছি, সে জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আরও কাজ করতে পারি যেন, সেই দোয়া করবেন।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনার এই বিপুল পরিশ্রম করার ক্ষমতা বা ধৈর্য—এর উৎস কী?

আকবর আলি খান: বই পড়া। আমার বই পড়তে ভালো লাগে। এবং বই পড়তে গেলেই বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে, যার উত্তর সন্ধান করতে গিয়ে আমি আরও একটি বই লিখে ফেলি। এই বই পড়ার জন্যই আমার সারা জীবন এভাবে কেটেছে।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনি লিখেছেন যে ছোটবেলা থেকেই আপনার বই পড়ার খুব আগ্রহ ছিল। আপনার বাড়ি থেকে ১০ মাইল দূরে গরু-ছাগলের হাট, সেখানে একপাশে পুরোনো বই বিক্রি হতো, আপনি সেখানে যেতেন বই কিনতে। আবার মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে অনেক দূরে আপনার ফুফুর বাড়িতেও থেকেছেন লাইব্রেরি থেকে বই কেনার জন্য। ছিলেন গ্রন্থকীট, হলেন লেখক। এটাই এখন আপনার বড় পরিচয়। এই পরিচয়টি কেমন লাগে?

আকবর আলি খান: খুব ভালো লাগে আমার। এই যে গ্রন্থকীট থেকে গ্রন্থ-লেখক হতে পেরেছি, এটা না পারলে আমার মনে খেদ থেকে যেত যে আমি কাজটি করতে পারিনি।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনার এই বইগুলো যদি একত্রে দেখি, তাহলে এসবের বিষয়, আকৃতি, পৃষ্ঠাসংখ্যা এবং স্বল্প সময়ে এতগুলো বই—ভবিষ্যতের জন্য আকরগ্রন্থ হয়ে থাকবে এগুলো। যারা প্রশাসনের কাজ করবে; অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজের জন্য কাজ করবে, তাদের গবেষণায় এগুলো কাজে লাগবে। এ কারণে আমরা আপনার পেছনে লেগে থাকি। আপনার বই করতে চাই।

আকবর আলি খান: এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। প্রথমার মতো প্রকাশনা যদি বাংলাদেশে না থাকত, তাহলে এত বই আমার পক্ষে লেখা হয়তো সম্ভব হতো না। তবে এই যে এত ধরনের বই, আমি যদি সুস্থ থাকতাম এবং সময় পেতাম, তাহলে হয়তো আরও বিস্তারিত করা সম্ভব ছিল। বিশেষ করে একটি বিষয়ের কথা বলব, যেটি নিয়ে আমি যা লিখেছি, সেটা যথেষ্ট নয়। সেটি হলো বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্বন্ধে আমার অবাক বাংলাদেশ: বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি বইয়ে যে প্রবন্ধটি আছে, সেখানে আমি শুরু করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে বাংলাদেশের ফৌজদারি মামলা মিথ্যা দিয়ে শুরু হয়, মিথ্যা দিয়ে শেষ হয়। এর সবই মিথ্যা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রধান দুর্বলতা হলো, এখানে মিথ্যাকে বের করার কোনো উপায় নেই। এই সম্পর্কে আরও গবেষণা করলে বোধ হয় দেশের লোক উপকৃত হতো।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: এমনিতে বইয়ের প্রয়োজনীয়তা ও প্রভাব সম্পর্কে কিছু বলবেন? কেন মানুষ বই পড়বে, বই পড়া উচিত?

আকবর আলি খান: এখনকার মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষিত হচ্ছে। তারপরও সবাই কিন্তু সমানভাবে বই পড়ে না। কিছুসংখ্যক মানুষ বই পড়েন এবং যাঁরা বই পড়েন, তাঁদের বেশির ভাগ গবেষণার জন্যই পড়েন। তবে যেটা দেখা যায়, যাঁরা ঐতিহাসিক বিষয়ে গবেষণা করেন না, তাঁরা ছাড়া অন্যরা পুরোনো বই খুব বেশি খোঁজ করেন না। অর্থনীতিবিষয়ক পুরোনো বই পড়েন, যখন অর্থনীতিবিদেরা বৃদ্ধ হয়ে যান। বেশির ভাগ বৃদ্ধ অর্থনীতিবিদ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অর্থনৈতিক চিন্তার ইতিহাস সম্পর্কে বই লেখেন। অর্থাৎ কারা কারা আগে চিন্তা করেছে, কেন চিন্তা করেছে—সেটা বোঝার চেষ্টা করেন। আমার মনে হয়, অর্থনীতির মতো হয়তো সোশিওলজি বা অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই একই ব্যাপার।

প্রশ্ন:

মতিউর রহমান: আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র, এসএম হলে থাকতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি, কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বেশি দিন থাকেননি। পরিবার, জীবন পরিচালনা ইত্যাদি কারণে রাজনীতি আপনার জীবনযাপনের সঙ্গে মেলেনি। এটা নিয়ে আপনার লেখায় দুঃখবোধ প্রকাশ পেয়েছে।

আকবর আলি খান: এটা আমার সারা জীবনের দুঃখ। এটাই আমার জীবনের একমাত্র হিপোক্রেসি। আমি বিশ্বাস করতাম সমাজতন্ত্রে। এখনো বিশ্বাস করি, দুর্বল মানুষকে সহায়তা করা দরকার। সমাজের অর্থনীতিতে কোনো জনগোষ্ঠীর অনগ্রসর থাকা উচিত নয়। কিন্তু তাদের জন্য আমি যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি।