নানামাত্রিক শিল্পের ১৭ শিল্পী
৪৮টি শিল্পকর্ম, ১৭ জন শিল্পী। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে নানামাত্রিক কাজের সমাবেশ। বলা যায়, এ প্রদর্শনী বাংলাদেশের শিল্পকলাচর্চার ধারাবাহিকতার খোঁজ দেয়।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকের শিল্পী থেকে আশির দশকের শিল্পীদের কাজ পাঠ করার সুযোগ পাওয়া যাবে প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি শিল্পীদের কাজের ধরন, করণকৌশল, মাধ্যমের বৈচিত্র্য ও নিরীক্ষার খোঁজও মিলবে।
প্রদর্শনীর জ্যেষ্ঠ শিল্পী আমিনুল ইসলাম। তাঁর প্রদর্শিত কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজের নাম ‘ভুলে যাওয়া সংগীতের ছন্দ’ বা ‘রিদম অব ফরগটেন মিউজিক’। ১৯৬২ সালে তেলরঙে আঁকা এ ছবিতে আমিনুল ইসলাম বেছে নিয়েছেন ছন্দোবদ্ধ জ্যামিতিক আকার। কালো রঙের জমিনে আকৃতিগুলো গতি পেয়েছে রেখা ও রঙের ব্যবহারে।
আছে মুর্তজা বশীরের ছবি। তাঁর পুরোনো কাজের ধরনে এ বছরই আঁকা ‘নারী’ সিরিজের দুটি কাজ রেখেছেন এখানে। জ্যামিতিক বিন্যাসে আঁকা ছবি দুটিতে নারী উপস্থিত হয়েছেন অন্য অনুভবে।
কাইয়ুম চৌধুরীর ছবির শিরোনাম ‘শিরোনামহীন’। শিল্পী তাঁর ছবির আল্ট্রামেরিন নীল রঙের জমিনে কালো আর মেটে হলুদরঙা মাছ, নদী, নৌকা ও গাছের আকৃতি সাজিয়েছেন ধারাবাহিকভাবে। আছে আবহমান বাংলার প্রতীকী রূপায়ণ।
সমরজিৎ রায়চৌধুরী এঁকেছেন ‘অপেরা স্টার’ ও ‘সিম্ফনি ইন পেইন্টিং’ নামের দুটি ছবি। এখানে প্রতীক, রেখা এবং অল্প রঙে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের মেলবন্ধন নির্মাণ করেছেন সমরজিৎ।
রফিকুন নবীর ছবির বিষয় সমাজের নিম্নবর্গের মানুষ ও তাদের জীবনযাপন। প্রদর্শনীতে রাখা ‘টোকাই’ ছবিটি নগরের যাপিত রঙিন জীবন নিয়ে আঁকা। খুব বেশি কিছু না বলেও অনেক কথা বলে এই ছবি।
এ ছাড়া প্রদর্শনীর উল্লেখযোগ্য শিল্পী হলেন হামিদুজ্জামান খান, কালিদাস কর্মকার, চন্দ্রশেখর দে, মোহাম্মদ ইউনুস, কাজী রকিব ও জামাল আহমেদ। এই শিল্পীদের কাজে বাস্তব ধ্রুপদি প্রকাশ যেমন রয়েছে, একই সঙ্গে রয়েছে মাধ্যম ও বিষয়ের বিমূর্ত প্রকাশ। ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি শেষ হয়েছে ৫ অক্টোবর।