![‘এসো গান শিখি’র প্রথম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন রুবানা হক। ছবি: সুমন ইউসুফ](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2019%2F05%2F17%2Ff322267d40ad47e7ef82f9414bd801f6-5cde4cd21794d.jpg?auto=format%2Ccompress)
>রুবানা হক। কবি, কবিতার জন্য পেয়েছেন সার্ক সাহিত্য পুরস্কার। বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতিও তিনি। মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সমাজসেবী এই মানুষটি বলেছেন তাঁর প্রিয় পাঁচটি বিষয় নিয়ে।
১. প্রিয় চিত্রশিল্পী
এডওয়ার্ড মুঙ্কের ‘দ্য স্ক্রিম’
চিত্রকলায় শিল্পী এডওয়ার্ড মুঙ্কের ‘দ্য স্ক্রিম’ সিরিজ আমার অন্যতম প্রিয় সিরিজ। পোস্ট মডার্ন ভয়াবহতার কথা মনে করিয়ে দেয় এই কাজটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের চিত্রকলার দিকে ফিরে তাকিয়ে যদি বলি, তবে বলব শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘গান্ধী’ সিরিজটির কথা। এই সিরিজটি আমার ভালো লাগে। আবার জামাল আহমেদের ‘ওয়েটিং’ বলে একটি সিরিজ আছে, সেটিও আমার মধ্যে ভালো লাগার বোধ তৈরি করে।
২. প্রিয় কণ্ঠশিল্পী
সব সময় প্রিয় ফেরদৌসী রহমান
আমার প্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমান। ছোটবেলায় ‘এসো গান শিখি’র প্রথম ব্যাচের ছাত্রী ছিলাম। ফেরদৌসী রহমান শুধু কণ্ঠ দিয়ে নন, হৃদয় দিয়েও সব সময় আমাদের ছুঁয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতো এত ভালো একজন প্রশিক্ষক, এত ভালো একজন মেন্টর খুব কম পাওয়া যায়। ফেরদৌসী রহমান সারা জীবন, সব সময়ের জন্য আমার প্রিয় কণ্ঠশিল্পী।
৩. প্রিয় নায়ক
ভালো লাগে হিউ গ্র্যান্টকে
আমার প্রিয় নায়ক হিউ গ্র্যান্ট। তাঁকে পছন্দ করার একটিই কারণ। সেটি হলো তাঁর অভিনীত সব সিনেমাই পছন্দ। তা ছাড়া আরেকটি মজার বিষয় হলো, তাঁকে আমি সামনাসামনি তিনবার দেখেছি। সামনাসামনি দেখার কারণেই হয়তো আরও বেশি ভালো লাগে তাঁকে।
৪. প্রিয় চলচ্চিত্র
দাগ কেটে গিয়েছিল বেশ কিছু সিনেমা
আমার প্রিয় সিনেমা চ্যারিয়টস অব ফায়ার। কিন্তু বাংলা সিনেমা যদি বলা হয় তাহলে বলব একটি সিনেমার কথা। যখন আমি ছোট ছিলাম সে সময় কবীর আনোয়ার পরিচালিত স্লোগান চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। এবং সে সময় এর সঙ্গে আমি জড়িতও ছিলাম। তখনকার দিনে বেশ কিছু সিনেমা দাগ কেটে গিয়েছিল মনে। স্লোগান তার মধ্যে একটি। ঠিক জানি না এই সিনেমাটি এখন কোথাও আর পাওয়া যায় কি না। অন্যদিকে আবার তোরা মানুষ হ ছবিটিও আমার প্রিয়।
৫. প্রিয় বই
এখন পড়ছি ‘দ্য এনলাইটেন্ড ক্যাপিটালিস্টস’
প্রিয় বই বদলায়। একসময় প্রিয় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা এবং আবু সঈদ আইয়ুবের পান্থজনের সখা। আর এই মুহূর্তে যে বইটি পড়ছি, সেটিই এখন প্রিয় হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ যখন যে বইটি পড়ি, সেটিই প্রিয় হয়। এখন পড়ছি জেমস ও’টুলের দ্য এনলাইটেন্ড ক্যাপিটালিস্টস। এটি খুবই মজার একটি বই। উদ্যোক্তারা কীভাবে পুঁজিবাদের সঙ্গে ভালো কাজ করতে পারেন এবং যুগ যুগ ধরে কী হয়েছে, তার অনেক দৃষ্টান্ত আছে এখানে। আমার মনে হয় এটি এমন এক বই, যা সব উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরই পড়া উচিত। আমি সবাইকে বইটি পড়তে বলি।
অনুলিখন: তৌহিদা শিরোপা