২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

করোনা 'সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন': ফাউসি

অ্যান্থনি ফাউসি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
অ্যান্থনি ফাউসি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, তাঁর কাছে করোনাভাইরাস ‘সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’।

৯ জুন বায়ো টেকনোলজি ইনোভেশন অর্গানাইজেশনের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় অ্যান্থনি ফাউসি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ ও এর বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হতে অনেক বাকি। করোনাভাইরাস গত চার মাসে পুরো বিশ্বকে নাজুক করে তুলেছে।

চার মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আমেরিকা। এর মধ্যেই মন্দা অর্থনীতিতে পড়েছে দেশটি। লাখো মানুষ এখন কর্মহীন। লকডাউনে থাকা নগরীগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে ধাপে ধাপে। এদিকে গত দুই সপ্তাহ থেকে পুলিশের হাতে নিহত জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু–পরবর্তী গণবিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউসি নিজের পেশাগত জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ বলেন, করোনাভাইরাস এইচআইভি ভাইরাসের চেয়েও জটিল। এই ভাইরাস নিয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা আছে। করোনাভাইরাসের নানাভাবে সংক্রমণ; কখনো উপসর্গহীন, কখনো মরণঘাতী জটিলতা নিয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগের কথা জানান।

অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে জানার দিক থেকে আমরা এখনো শুরুর দিকে অবস্থান করছি। ভ্যাকসিনই এ ভাইরাস সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায়। তবে একাধিক ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে হবে। কারণ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শত কোটি ভ্যাকসিনের দরকার হবে।’ তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধকও কার্যকর হতে পারে।

অ্যান্থনি ফাউসি আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে ফিরে দেখার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ক্ষেত্রেও নজর দেওয়ার কথা বলেন। যেসব কমিউনিটির লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ বেশি হয়েছে, তাদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ফাউসি বলেন, ‘এখনো এ ভাইরাসের সংক্রমণের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমরা জানি না। যারা সুস্থ হচ্ছে, তাদের ওপর এ ভাইরাসের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আমাদের জানা নেই। এসব নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আংশিক নিরাময় বা পুরো নিরাময়ের মেয়াদ নিয়েও পর্যাপ্ত তথ্য নেই। করোনাভাইরাস নিয়ে আরও বহু কিছু জানার বাকি আছে।’

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত আমেরিকায় প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার মানুষের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। ভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু এখনো অব্যাহত আছে। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার মানুষের। সর্বত্রই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। এ মহামারিতে মৃত্যুর তালিকা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর পরও জানেন না ফাউসি, জানে না বিশ্বের কেউ।