মিশিগানে 'স্টে হোম' আদেশের বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভ আজ
আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ল্যান্সিংয়ে ১৪ মে তৃতীয়বারের মতো গভর্নর গ্রিচেন হুইটমারের ‘স্টে হোম’ আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার কথা রয়েছে। মিশিগান ইউনাইটেড ফর লিবার্টি নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।
সংগঠনটি ১৩ মে এক টুইট বার্তায় সমাবেশের উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছে, 'মিশিগানবাসীর স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি রক্ষা করা ও গভর্নরের কার্যনির্বাহী আদেশের প্রতিবাদ করা, যা তাঁরা গুরুতর অসাংবিধানিক ও ধ্বংসাত্মক বলে মনে করছেন।’
এদিকে মিশিগান রাজ্য পুলিশ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মুখে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমাবেশ করেন। মিশিগান স্টেট পুলিশের লেফটেন্যান্ট ওলেকসাইক বলেন, ১৪ মের প্রতিবাদ সমাবেশ ‘নিরাপদ পরিবেশ’ বজায় রাখার জন্য অসংখ্য পুলিশ ও পুলিশের গাড়ি উপস্থিত থাকবে। এখানে কাউকে বেআইনি হুমকি, ভয় দেখানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
এর আগে গত ১৫ ও ৩০ এপ্রিল অন্য দুটি সংগঠনের উদ্যোগে ল্যান্সিংয়ে সমাবেশ হয়েছিল। ৩০ এপ্রিলের সমাবেশে কয়েকজনকে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেখা গেছে।
গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার ১৩ মে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, এই সমাবেশ সম্ভবত ক্যাপিটাল ভবনের লনে অনুষ্ঠিত হবে এবং এ থেকে ভাইরাস রাজ্যের কয়েকটি অংশে ছড়াবে। ১১ মে মিশিগানের ‘ক্যাপিটাল ভবনে’ বন্দুক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও আইনপ্রণেতারা ও মিশিগান ক্যাপিটাল কমিশন এই বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।
এদিকে ১৪ মের এ সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে মিশিগানের অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, গত ৩০ এপ্রিল বিক্ষোভে যে আচরণ করা হয়েছিল এবার এ রকম কিছু হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মে বিকেলে আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের করোনা-বিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে গ্রিচেন হুইটমার উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে মিশিগানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭০ জন। এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে এ রাজ্যে ৪ হাজার ৭১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৯১ জন।
মিশিগান স্টেট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে রাজ্য বাজেট ঘাটতির জন্য রাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩১ হাজার কর্মীকে জুলাইয়ের শেষ দিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ছাঁটাই (লে-অফ) করা হতে পারে।