আমেরিকায় করোনায় আরও দুজনসহ ২৩১ বাংলাদেশির মৃত্যু
আমেরিকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন সমীর চন্দ্র দেব ও কায়সার আহমদ। এ নিয়ে আমেরিকায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২৩১ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
এদিকে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেন, নিউইয়র্কের সব হাসপাতালে ৯০ দিনের পিপিই ও জরুরি সুরক্ষাসামগ্রীর আগাম মজুত রাখতে হবে। উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি কানেটিকাট, পেনসিলভানিয়া, ডেলাওয়ার, রোড আইল্যান্ড ও ম্যাসাচুটেস নিয়ে কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে। আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যগুলো একসঙ্গে পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়, ব্যবস্থাপনা এবং করোনাভাইরাস টেস্টিং পরিচালনা করবে।
কুমো জানিয়েছেন, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিউইয়র্কের আবহাওয়া ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে পুলিশ তাঁদের সমন দিয়েছে। জরিমানা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক রাজ্য নিজেই করোনাভাইরাস টেস্ট কিট উৎপাদন করবে।
নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, তাড়াহুড়া করে সব খুলে দিয়ে আবার সংক্রমণের তাণ্ডবে ফিরে যাওয়া যাবে না। যে অগ্রগতি হয়েছে, তা সামান্য ভুলের জন্য আবার পেছনে নিয়ে যেতে পারে। তিনি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম কঠিনভাবে মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। গ্রীষ্মে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার নিয়ম সামাল দিতে না পারলে নিউইয়র্কের অবস্থা আবার খারাপ হয়ে উঠবে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নিউইয়র্কেই আমেরিকার সবচেয়ে বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আগেই ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া নিউইয়র্ক নগরীতে আরও পাঁচ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে সম্ভাব্য করোনা সংক্রমণে। নিউইয়র্কের হাসপাতালে ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা কমলেও এখনো দিনে গড়ে এক হাজারের কাছাকাছি লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন সংক্রমণ নিয়ে।