যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আরও ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৭

আমেরিকায় ১৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ছয় বাংলাদেশির তিনজন পেয়ারা হোসেন, শফিকুর রহমান ও ঝন্টু সরকার। ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকায় ১৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ছয় বাংলাদেশির তিনজন পেয়ারা হোসেন, শফিকুর রহমান ও ঝন্টু সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। পাশের রাজ্য নিউজার্সির অবস্থাও নাজুক। দেশটিতে ১৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত আরও ছয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১২৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ওই ছয় বাংলাদেশি হলেন বেদান্ত অ্যাসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের সভাপতি ঝন্টু সরকার, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেনের স্ত্রী পেয়ারা হোসেন বেবী, নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার বড় বোন হাসনা বেগম, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সমিরুল ইসলাম বাবলুর বাবা শফিকুর রহমান এবং মানিক মিয়া ও মোহাম্মদ খোকন (৫৪)। এ নিয়ে ১৩ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২৭ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

এদিকে নিউজার্সির গভর্নর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দুই বেদনার যুদ্ধ ভিয়েতনাম ও কোরিয়ান যুদ্ধে মারা যাওয়া রাজ্যের লোকসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে করোনা মহামারি। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মিশিগান থেকে আমাদের প্রতিনিধি ফারজানা চৌধুরী জানিয়েছেন, মিশিগানে আক্রান্তের সংখ্যা কমায় আশাবাদ দেখা দিয়েছে। মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার ১৩ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৬৩৫, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার দুজনের। এক দিনে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। আর আক্রান্ত বেড়েছে ৯৯৭ জন। গত ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নামল।

মিশিগানে কমিউনিটির পরিচিত একজন নারী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি এসেছেন। অন্যদের পাশাপাশি স্বদেশি লোকজনও নিয়ম করে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা পালন করছেন। একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।

এদিকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মৃতদেহ গণকবর দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার। তিনি জানান, যদি কোনো বাংলাদেশির মৃতদেহ কোনো হাসপাতালে থাকে এবং কেউ দায় না নেয়, তাহলে বাংলাদেশ সোসাইটির যেকোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।