সই জাল করে বাড়ি দখল
ব্রুকলিনের এক লোককে প্রতারণার দায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮৮ বছর বয়সী প্রতিবেশীকে ঠকিয়ে বাড়ির দলিলে সই নেওয়ার অভিযোগে জর্ডান হর্সফোর্ড নামের ওই ব্যক্তিকে এ শাস্তি দেওয়া হয়।
প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ২৯ বছর বয়সী জর্ডান হর্সফোর্ড বার্বি স্ট্রিট এলাকায় ছোটখাটো কাজ করতেন। একপর্যায়ে জর্ডান তাঁর বৃদ্ধ প্রতিবেশীকে হুইলচেয়ারে বহন করে এবং গাড়িতে করে ওঠা-নামা করিয়ে সাহায্য করতে শুরু করেন। এ ছাড়া জর্ডান তাঁর খাবার পৌঁছে দেওয়া, সময়মতো ওষুধ খাইয়ে দেওয়াসহ সার্বিক তদারকির দায়িত্ব পালন করতেন। প্রতিটি কাজের বিনিময়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে জর্ডান নিয়মিত অর্থ পেতেন। ২০১৭ সালের এপ্রিল নাগাদ তিনি এসব কাজ বাবদ সাপ্তাহিক ৪০০ ডলার করে আয় করতে শুরু করেন।
কয়েক মাস কেটে গেলে জর্ডান সেই ব্যক্তিকে একটি নথি দেখিয়ে বলেন যে, তিনি যদি এতে স্বাক্ষর না করেন এবং নোটারি দ্বারা এটি নথিভুক্ত না করেন, তবে তার বাড়ি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। সরল বিশ্বাসে বৃদ্ধ বাড়ির দলিলে সই করে বসেন। কিন্তু বাড়িটির পূর্ণ অধিকার পেতে আরও একটি নথি নোটারাইজ করা প্রয়োজন ছিল, যা নোটারি প্রত্যাখ্যান করে। শেষে জর্ডান স্বাক্ষর জাল করেন।
নিজের নামে বাড়িটি স্থানান্তরিত করার কিছুদিনের মধ্যেই জর্ডান বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু ইনস্যুরেন্স কোম্পানি তাঁকে সন্দেহ করে বাড়িটির বিমা করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদিকে ভুক্তভোগী বৃদ্ধের কন্যাও অর্থ বিভাগের একটি নোটিশ পেয়ে ঘটনা টের পেয়ে যান এবং জালিয়াতির বিষয়ে অর্থ বিভাগকে অবহিত করেন। পরে জর্ডানকে জোচ্চুরির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে চুক্তির স্থানান্তর বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে আদালত জর্ডান হর্সফোর্ডকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এরিক গঞ্জালেজ একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি বয়স্ক নাগরিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভালো আইনজীবীর পরামর্শ ছাড়া সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো দলিল স্বাক্ষর না করার বিষয়ে আরও যত্নশীল হওয়ার অনুরোধ করেন।