মিশিগানে বুয়েটের সিএসই বিভাগের অ্যালামনাইদের পুনর্মিলনী

পুনর্মিলনীতে বুয়েটের সিএসই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
পুনর্মিলনীতে বুয়েটের সিএসই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের অ্যালামনাইদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর মিশিগানে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
বুয়েটে ১৯৮৮ সালে ড. সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের হাত ধরে যাত্রা করেছিল সিএসই বিভাগ। ব্যাচপ্রতি মাত্র ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিভাগ থেকে কালের পরিক্রমায় অনেক মেধাবী পাস করে বিশ্বের অনেক দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে বর্তমানে কর্মরত। এদের অনেকে আটলান্টিকের পারের শহরগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও অনেকে আবার আমেরিকার মধ্যাঞ্চলের শহরগুলোকেও বেছে নিয়েছেন আবাসস্থল হিসেবে। এর মধ্যে মিশিগান, টরন্টো, শিকাগো, পেনসিলভানিয়া, ওহাইও, ইন্ডিয়ানাতে বসবাসকারীদের নিয়ে বুয়েটের স্বনামধন্য প্রথিতযশা শিক্ষক ড. কায়কোবাদের অনুপ্রেরণায় ও মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইমদাদ আহমেদের উদ্যোগে ১ সেপ্টেম্বর এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সিএসই বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান ও বর্তমানে আমেরিকার মিনেসোটা স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান ড. সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান।
অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ পর্বে ড. রহমান, কানাডা থেকে আসা ড. জুলকারনাইন ও নিউজার্সি থেকে আসা বুয়েট ’৮৭ ব্যাচের সভাপতি কামরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়। পরিচয়পর্ব দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের ফাঁকে নতুন ছাত্র তূর্য নবীনদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের পথ চলার জন্য দোয়া চান। রাজেশের গিটারের মূর্ছনায় অনবদ্য গান, নাশিতার ইংরেজি গান কিংবা কাবেরীর কণ্ঠে আধুনিক গান ছিল ব্যতিক্রমী। ছিল নানা রকম খাবারের আয়োজন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে প্রকৌশলীদের সংগঠন আবিয়া-মিশিগান চ্যাপ্টারের পরিচিতি ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আবু আশরাফ ও ড. জাকিরুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন কানাডা থেকে জাওয়াদ, ড. ফারহানা, কামাল, আসিফ, তুষার ও শামীম, ওয়াটারলু থেকে ড. আনোয়ার, শিকাগো থেকে মাহমুদ, পেনসিলভানিয়া থেকে ড. নাইম। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। মিশিগান থেকে যোগ দিয়েছিলেন তারেক মাহমুদ, ইমন, রাজেশ, তূর্জ, সেজানা, ড. সাইফুল্লাহ, ড. ইন্দ্রনীল, ড. নাজমুল, পিনাক, ড. মোশাররফসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি সফল করতে সহায়তা করেছেন ড. মোহাম্মদ হক, ড. শাররুখ জামান, সালাহউদ্দিন আজীজ, ড. অমিয়াংশু বসু, ড. মাসুদ আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আল ফারুক।