শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘের নাম সংকীর্তন মহোৎসব অনুষ্ঠিত

শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ইউএসএ-এর উদ্যোগে উদয়াস্ত নামযজ্ঞ মহোৎসব উদ্‌যাপিত হয়েছে। ৫ মে কুইন্সের গীতা মন্দিরে (দিব্যধাম) এই আয়োজন করা হয়।
আধি দৈবিক, আধি ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক এই ত্রিতাপদগ্ধ কলিহত জীব উদ্ধার কল্পে কৃষ্ণাবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ধরাধামে আবির্ভাবের ৫৩৩তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর চতুষ্প্রহর উদয়াস্ত হরিনাম সংকীর্তন মহোৎসবের আয়োজন করে।এরই ধারাবাহিকতায় এটি ছিল ১৯তম আয়োজন।
কীর্তনে ২০টি দল নামসুধা পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। কীর্তনীয়া দলগুলো রঙিন ও বাহারি পোশাকে সজ্জিত হয়ে নামসুধা পরিবেশন করেন। কীর্তনীয়ারা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর নৃত্য-গীতসহ আধ্যাত্মিক সংগীত পরিবেশন করেন। কীর্তনীয়া দলের সঙ্গে যোগাযোগ ও সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রী রবীন্দ্র কুমার শীল।
পর্যায়ক্রমে নামসুধা পরিবেশন করেন ইসকন, বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির, শ্রী শ্রী গৌর নিতাই সংঘ, শ্রীমদ্ভগবদ গীতা সংঘ ইউএসএ, ব্রজগোলাপ সম্প্রদায় (ভক্ত সংঘ), রাধাকৃষ্ণ সম্প্রদায়-কলেজ পয়েন্ট-নিউইয়র্ক, সনাতনী সেবা সংঘ ব্রঙ্কস, রাধাকৃষ্ণ সেবক সংঘ ব্রঙ্কস, সনাতন সেবাশ্রম ফাউন্ডেশন, রাধামাধব মন্দির ব্রুকলিন, মাতৃ ভক্ত সংঘ ইউএসএ, ওম শক্তি মন্দির, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎ সংঘ ইউএসএ, শ্রী শ্রী সর্বজনীন গীতা সংঘ ওজোন পার্ক, মহামায়া মন্দির, বাংলাদেশ পূজা সমিতি, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন নিউইয়র্ক, বিদ্যাধাম পঞ্চতত্ত্ব গীতা পীঠ ও স্বাগতিক শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ইউএসএ। এসব দলকে কীর্তন মঞ্চে ওঠানোর দায়িত্ব পালন করেন সুশীল কুমার সাহা ও দীলিপ কুমার নাথ।
৪ মে সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ ও পঞ্চতত্ত্বের পূজা এবং অধিবাস কীর্তনের মাধ্যমে কীর্তন উৎসব ও শ্রী বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজায় পৌরোহিত্য করেন শ্রীমৎ জগদীশ ব্রহ্মচারী মহোদয়। পূজা ব্যবস্থাপনায় ও সহযোগিতায় ছিলেন সুধন্য সেন, জয়শ্রী রায়, শিপ্রা রায়, সবু নাথ, হেনা আচার্য্য। মহাভোগ নিবেদন করেন শান্তি লতা সাহা, অধিবাস কীর্তনের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন কীর্তনীয়া শ্রী মানিক রায়, সংগতে ছিলেন শ্রী স্বপন বণিক, অজিত চন্দ, রাম দেবনাথ, দিলীপ বিকাশ দণ্ড, প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, নারায়ণ দেবনাথ, শংকর বিশ্বাস, সহদেব তালুকদারসহ অসংখ্য ভক্ত। মৃদঙ্গে সংগত করেন পরেশ নাথ ও উৎস মণি দেবনাথ, বাঁশিতে নারায়ণ বর্মণ।
অধিবাস কীর্তন উপলক্ষে ১২০৬তম গীতা সন্ধ্যায় পরম ভক্ত শ্রী রাম দেবনাথ দ্বাদশ অধ্যায় ‘ভক্তিযোগ’ থেকে আস্বাদন করেন।
৫ মে সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিভিন্ন ভক্তের মাধ্যমে মালা জপ করিয়ে ‘হরিনাম’ এর অখণ্ডতা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেন শ্রী প্রফুল্ল অধিকারী। মালা জপে পর্যায়ক্রমে অংশ নেন প্রফুল্ল অধিকারী, সুশীল কুমার সাহা, বিমলাচরণ রায়, রূপকুমার ভৌমিক, রবীন্দ্র কুমার শীল, দিলীপ নাথ, প্রকৌশলী রঞ্জিত রায়, সুরেশ চন্দ্র রায়, সুধন্য সেন, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, শ্যামল মল্লিক, শান্তি লতা সাহা, মমতা দেবী ভৌমিক, শম্পা রায়, অঞ্জলি সরকার, অজিত চন্দ, জয়শ্রী বণিক, দিবাকর রায়, শোভারাণী খাসকেল, জয়শ্রী রায়, প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, দিলীপ বিকাশ দণ্ড, মীনাক্ষী রাণী ঘোষ ও সুশান্ত ঘোষ।
কীর্তনের কুঞ্জ নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী রঞ্জিত রায়, অজিত চন্দ, তরুণ সাহা, অনিল চন্দ, সুরেশ রায়, সুকান্ত দাস টুটুল, ইন্দ্রজিৎ মজুমদার ও সুভাস কুমার সাহা।
মহাপ্রসাদ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মহেশ্বর দাস, প্রণব কুমার রায় রনো, অর্ধেন্দু কিশোর বিশ্বাস, অমল কুণ্ডু, সুভাস কুমার সাহা, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, শ্যামল মল্লিক, সুকান্ত দাস টুটুল, জয়শ্রী রায়, শিপ্রা রায়, হেনা আচার্য্য, রত্না দে রায়, মঞ্জু রাণী সেন, মমতা রানী দেবী ভৌমিক, অঞ্জলি সরকার, অনিমা দত্ত, প্রতিমা শীল, কল্পনা শীল, ছবি মহাজন, আশারানী শীল, কল্পনা সাহা, ছন্দারানী মজুমদার, তপতী পোদ্দার, নমিতা পাল, পাপড়ি শীল, লক্ষ্মী শীল, সন্ধ্যা ভৌমিক, রঞ্জিতা অধিকারী, করুণা সিন্ধু পাল, রূপকুমার ভৌমিক, বিমলাচরণ রায়, সুশীল কুমার সাহা, সুব্রত শীল, ইন্দ্রজিৎ মজুমদার ও সুরঞ্জন বণিক।
মহাপ্রসাদ স্পনসর করেন বিদ্যাধাম পঞ্চতত্ত্ব গীতা পীঠ, কল্যাণ শিকদার ও তাঁর পরিবার, বিষ্ণু সাহা ও তাঁর পরিবার ও চন্দন সুবর্ণা করপোরেশন (চন্দন সেনগুপ্ত)।
আপ্যায়নে ছিলেন সর্বশ্রী বিমলাচরণ রায়, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, সুশীল কুমার সাহা, রূপকুমার ভৌমিক, সুরেশ রায়, সুধন্য সেন, দিলীপ নাথ, অঞ্জন ভট্টাচার্য্য, রঞ্জিত রায়, তরুণ সাহা, সুরঞ্জন বণিক, অমল কুণ্ডু, রঞ্জিত দে, প্রশান্ত দেবনাথ। মাইক্রোফোন ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন অনীক, মাহি এবং তরুণ সাহা।
মহোৎসবকে সুন্দর ও কৃষ্ণ ভক্তিতে পূর্ণতা দানের মাধ্যমে সফলতা দেওয়ার জন্য কীর্তনীয়া দল, ধর্মীয় সংগঠন, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘের সদস্যকে ধন্যবাদ জানান কীর্তন মহোৎসব কমিটির আহ্বায়ক শ্রী অনিল চন্দ, কার্যকরী কমিটির সভাপতি শ্রী সুভাস কুমার সাহা ও পরিচালনা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুরেশ চন্দ্র রায়।