সেঁজুতি সাহা। একজন অণুজীববিজ্ঞানী, কর্মরত আছেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ)। বিজ্ঞানী পরিবারেই জন্মেছেন তিনি। মা-বাবা দুজনেই অণুজীববিজ্ঞানী। চাঁদপুরে ঠাকুরমার কাছে কেটেছে সেঁজুতি সাহার ছোটবেলা।
শিক্ষাজীবনে ‘ও লেভেল’ এবং ‘এ লেভেল’-এ বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন। স্নাতক করেছেন জৈব রসায়নে। পিএইচডি করেছেন ‘সংক্রামক রোগ’ বিষয়ে। স্নাতক ও পিএইচডি মিলিয়ে মোট ১১ বছর কাটিয়েছেন কানাডায়। বিজ্ঞানী হিসেবে দেশি-বিদেশি অসংখ্য হাইপ্রোফাইল সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
শিক্ষাজীবনের একটি ঘটনা প্রায়ই বলে থাকেন তিনি। সেটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অসম্ভব কঠিন একটা কোর্স ছিল। মিডটার্ম পরীক্ষায় ফল বেশ খারাপ হয়েছিল। মন খুব খারাপ হয়েছিল, কান্নাকাটিও করেছিলেন। বকা শুনতে হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষকের কাছে। সে সময় মা-বাবা এবং তাঁর ঠাকুরমা অনেক সহযোগিতা করেছেন এবং তাঁর মনোবল বৃদ্ধি করেছেন।
বাংলাদেশে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাসের জিন নকশা উন্মোচন করেছেন। শিশুদের নিয়েও তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ কাজ আছে। বিশ্বে তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শুধু রক্ত নয়, শিশুর মস্তিষ্কেও বিস্তার লাভ করতে পারে। বর্ণাঢ্য জীবনে রয়েছে অসংখ্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার। অর্জন হিসেবে সম্প্রতি বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট বিশ্বের ১০ বিজ্ঞানীর তালিকায় উঠে এসেছে তাঁর নাম। তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির মহামারি ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মধুকর পাই বলেছেন, ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে নারী বিজ্ঞানীদের এক অসাধারণ রোল মডেল সেঁজুতি। অসাম্য ও অন্যায্যতার বিষয়েও তিনি উচ্চকণ্ঠ।’
নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা সেঁজুতি সাহা আছেন এবারের বিএসআরএম নিবেদিত মিট দ্য এক্সপার্ট সিজন টু-এর বিশেষজ্ঞের তালিকায়। তাঁর সম্পর্কে আরও জানতে আপনার প্রশ্নটি করুন।