সাইকেল চালিয়েদের স্বর্গশহর
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম
সাইকেল চালানোর বেলায় আমস্টারডামের ধারেকাছে নেই কোনো শহর। পুরো শহরই সাইক্লিস্টদের স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে। তাই নতুন শহরের পরিকল্পনার সময় আমস্টারডামকে আদর্শ মানেন স্থপতিরা। অনেকে বলেন, নিকটবর্তী ইউট্রেখট শহরের বাইক লেনগুলো তুলনামূলক ভালো। সেটা হতে পারে। তবে সব মিলিয়ে আমস্টারডামকে সেরা মানতেই হবে। শহরটা সমতল, স্থাপত্যকলা দারুণ আর শহরজুড়ে সাইকেল পার্ক করার জায়গার অভাব নেই।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন
নেদারল্যান্ডসের মতো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের মানুষদের সাইকেলপ্রীতিরও খ্যাতি আছে। এই অঞ্চলের মোটামুটি সব শহরই সাইক্লিস্টদের জন্য ভালো। আর ভালোদের ভালো হলো কোপেনহেগেন। ২০১৬ সালের তথ্য যদি দেখি, গাড়ির চেয়ে সেখানে বাইসাইকেল বেশি। ৬২ শতাংশের বেশি অধিবাসী বাইসাইকেল চালিয়ে কাজে যান। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাইসাইকেলের জন্য চমৎকার মহাসড়কের সঙ্গে আলাদা সেতুও আছে।
জার্মানির বার্লিন
শুধু বাইসাইকেলের জন্য ওপরের দুই শহরের যেমন খ্যাতি আছে, বার্লিনকে সে বিচারে আলাদা করে উল্লেখ করা হয় না। তবে সাইক্লিস্টদের জন্য শহরটা চমৎকার। ঐতিহ্যবাহী শহরটি ঘুরে দেখার জন্য ৫০০ মাইলের বেশি বাইক লেন রয়েছে। তা ছাড়া বার্লিনের সড়কে সাইকেলচালকেরা অগ্রাধিকার পান। সঙ্গে বোনাস—শহরটিতে কোনো খাড়া পাহাড় বেয়ে ওঠার ঝামেলা নেই।
কানাডার মন্ট্রিয়ল
কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরে দালানকোঠা ফরাসি ধাঁচের। ভাষাও তা–ই। অবস্থান উত্তর আমেরিকায় হলেও রয়েছে ইউরোপীয় ভাব। সে কারণেই কি না কে জানে, শহরজুড়ে আছে এক হাজার মাইলের বেশি বাইক লেন আর হাজার পাঁচেক সাইকেল ভাড়া পাওয়ার দোকান। শহরটাও সমতল। চড়াই-উতরাই নেই। সাইকেল চালিয়েও আরাম।
জাপানের টোকিও
পশ্চিমা দেশে সাইকেলের যেমন জৌলুশ, এশিয়ার দেশগুলোতে তেমন নয়। তবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহানগর টোকিওর কথা আলাদা। শহরটি ঠাঁই করে নিয়েছে সেরাদের তালিকায়। শহরজুড়ে অনেক বাইক লেন রয়েছে। আবার ফুটপাত দুই ভাগ করে একাংশকে বাইক লেন ঘোষণা করার উদাহরণ মিলবে ভূরি ভূরি। শহরটা পরিচ্ছন্ন, পরতে পরতে শৃঙ্খলার ছাপ। সাইক্লিস্ট তো বটেই, যেকোনো দর্শনার্থীর জন্যই ভ্রমণের চমৎকার জায়গা।
তালিকাটি দশটি শহরের হলে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস, স্লোভেনিয়ার লিউব্লিয়ানা, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকো, ফ্রান্সের প্যারিস এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর নাম অবশ্যম্ভাবী হিসেবে চলে আসত।
মেহেদী হাসান
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডটকম