সংশয় দূর হয়েছে অনেকখানি
ছোটবেলা থেকেই কারুশিল্পের প্রতি আগ্রহ ছিল। এ ছাড়া এখন স্থাপত্যে পড়ছি। বলা যায়, আগ্রহ আর পড়াশোনার বিষয়—দুটো মিলিয়েই এমন উদ্যোগ বেছে নেওয়া।
খুব অল্প পুঁজি নিয়ে মাসখানেক আগে কাজ শুরু করি। সেমিস্টার ব্রেকে অবসর সময় কাটিয়েছি মেটাল আর কাঠের বিডস নিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টায়। আস্তে আস্তে বেশ কিছু গয়না তৈরি হলো। নিজের তৈরি এসব গয়না ও অন্যান্য জিনিস বিক্রির উদ্দেশ্যে ‘ইজেল’ নামে পেজ খুলি ফেসবুকে। ক্রেতাদের পছন্দ হবে তো? ভেবে ভেবে পেজটাও ভালোমতো সাজানো হয়নি। এর মধ্যে পয়লা বৈশাখ চলে এল।
ক্যাম্পাসের প্রায় সব আয়োজনেই যুক্ত থাকি। হুট করে জানলাম, বৈশাখী মেলায় প্রতিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকবে একটি করে স্টল। স্টল নিতে লাগবে না কোনো টাকা। দেরি না করে স্টল নিয়ে নিই। নিজের হাতে বানানো গয়না, টিপ তো ছিলই। সঙ্গে ছিল মায়ের হাতে বানানো চপ, পিঠাও।
সহযোগিতার জন্য সঙ্গে ছিল বিভাগের দুই জুনিয়র। ‘আপু, এই গয়নাটা তো ভীষণ সুন্দর’ কিংবা ‘চপটা তো খেতে দারুণ’—এমন মন্তব্য সারা দিনই উৎসাহ দিয়ে গেল। বিক্রিও হয়েছে বেশ। নিজের বানানো গয়নাগুলো সব বিক্রি হয়ে যায় মেলাতেই। চপ আর পিঠাও প্রায় শেষ হয়ে যায়। কেমন গয়না বা কেমন টিপ বেশি বিক্রি হয়, সে সম্পর্কে একটা ধারণা হয়েছে। ক্রেতা সামলানোর একটা ছোটখাটো মহড়া হয়ে গেছে এই সুযোগে। এই ছোট অভিজ্ঞতাই ‘ইজেল’ নিয়ে সংশয় দূর করে দিয়েছে অনেকখানি। এখন বড় পরিসরে ইজেলকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা।
সামিয়া শারমিন : স্থাপত্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ঢাকা