শ্বাসযন্ত্রের জন্য যোগব্যায়াম
>
যোগব্যায়াম শরীরের নানা উপকারে আসে। শ্বাসযন্ত্রকে সবল করে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক রাখতেও সহায়তা করে যোগচর্চা। এমন দুটি আসন দেখিয়েছেন যোগ প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তুনু।
উষ্ট্রাসন
কীভাবে করবেন?
বীরাসনে বসুন (হাঁটু গেড়ে পায়ের আঙুল ভেতরের দিকে দিয়ে বসা)। দুই হাত দিযে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি পায়ের পাতার বাইরের দিকে থাকবে।
শ্বাস ভেতরে টেনে মাথা ও গ্রীবাকে পেছন দিকে মুড়ে কোমর ওপরে তুলুন। হাঁটু থেকে ঊরু পর্যন্ত ভূমির সাপেক্ষে লম্ব থাকবে। আসনে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস–প্রশ্বাস নেবেন। আসন থেকে নামার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে গোড়ালির ওপর বসে পড়ুন।
সময়কাল ও সংখ্যা
*আসনে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
*পরপর ৩ থেকে ৫ বার করুন।
উপকারিতা
*শ্বাসযন্ত্রের জন্য উপকারী।
*ফুসফুসের প্রকোষ্ঠগুলোকে সক্রিয় করে। ফলে হাঁপানি রোগীরা খুব ভালো ফল পাবে।
*সাইটিক, স্পন্ডেলাইটিস প্রভৃতি মেরুদণ্ডের রোগে উপকারী।
*থাইরডের জন্য ফলদায়ক আসন।
অশ্বসঞ্চালন আসন
কীভাবে করবেন?
হাঁটু গেড়ে বীরাসনে বসুন। দুই হাত সামনে ম্যাটের উপর রাখুন। ডান পায়ের পাতা দুই হাতের মধ্যে নিয়ে রাখুন। বাঁ পা পেছনে টান টান করে দিন। তবে বাঁ পায়ের হাঁটু ম্যাটের সঙ্গে লেগে থাকবে।
এ অবস্থায় শ্বাস নিতে নিতে মাথা ও গ্রীবা পেছনের দিকে ঝুঁকবে। ফলে দৃষ্টি উপরের দিকে যাবে। মেরুদণ্ড পেছনের দিকে বাঁকবে। এবার সামনে রাখা পা অর্থাৎ ডান পা গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত লম্ব থাকবে বা পায়ের গোড়ালি উঠে হাঁটু সামনের দিকে এগিয়ে দিতে পারেন। আসনে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস- প্রশ্বাস নিতে হবে। ডান পা সামনে দিয়ে করার পর বাঁ পা দিয়েও করবেন।
সময়কাল ও সংখ্যা
*২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
*প্রতি পায়ে তিনবার করে করুন।
উপকারিতা
*বুকের মাংসপেশি প্রসারণের মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
*হাঁটু ও গোড়ালিকে শক্তি দেয়।
*মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ে।
*কিডনি ও লিভারের ব্যায়াম হয়, ফলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।