শহরে বেলি ফুল
বেলির আবেদন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এর মনমাতানো সুগন্ধে ভরে থাকে চারপাশ। সাদার শুভ্রতায় ফুরফুরে হয়ে ওঠে মন। বছরের এ সময়টাতে এর থেকে ভালো উপহার আর কীই-বা হতে পারে! কোনো কারণে প্রিয় মানুষটির চোখের কোণে অভিমানের ছায়া? কিংবা চমকে দিতে চান তাকে? বেলি ফুলের মালা পেলে কোথায় উড়ে যাবে সব অভিমান। আর যদি সেটা হয় বছরের প্রথম বেলি ফুল, তাহলে তো কথাই নেই। প্রিয় মানুষটিও মুহূর্তেই হয়ে উঠবে বেলি ফুলের মতো সতেজ।
ঢাকার শাহবাগের ফুল বিক্রেতারা জানান, এখন বেলি ফুলের খুব চাহিদা। বাজারে আসার আগে থেকে মানুষ খোঁজ করে। অনেক সময় পুরোপুরি ফুল ফোটার আগে তাঁরা আনতে শুরু করেন। ক্রেতার বয়সের কোনো ভেদাভেদ নেই। তরুণীরা ছাড়াও মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধরাও আসেন। এখানেই তো মেয়েরা ফুল হাতে পেঁচিয়ে পরেন। কেউ সঙ্গে সঙ্গে খোঁপায় দেন। অনেকে গাড়ির মধ্যে ফুল ঝুলিয়ে রাখেন। প্রাকৃতিক সুগন্ধি হিসেবে কাজ করে।
শহুরে জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে বেলি। ঘর সাজাতেও এ সময় বেলির চাহিদা দেখা যায়। পটারি বা শোপিস রাখার স্ট্যান্ডে সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। বাটির মতো স্বচ্ছ কোনো ফুলদানিতে রাখলেও ভিন্নতা আসবে। এ সময়ের যেকোনো অনুষ্ঠান সাজাতে বা অভ্যর্থনা জানাতে বেলি ফুল বেছে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, তাঁদের জন্য তো বেলি লাগবেই। এই ফুল ছাড়া যেন কিছুই সম্পন্ন হয় না। বিয়ের গাড়ি, মঞ্চ, বউসাজ থেকে শুরু করে বাসরঘরটাও বেলিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
যাঁরা সারা বছর বেলি ফুলের কৃত্রিম সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সঙ্গে রাখুন কয়েক গুচ্ছ বেলি ফুলের মালা। দেখবেন সুগন্ধির কাজ করবে। ঢাকার পান্থপথ, বিজয় সরণি, গুলশানের মোড়গুলোতে সিগন্যাল পড়লেই ফুল সাজিয়ে ছোট ছোট বিক্রেতা দৌড়ে আসে। প্রতিটি মালা কিনতে পারবেন তিন থেকে পাঁচ টাকায়। এ ছাড়া ছোট-বড় ফুলের দোকানগুলো তো রয়েছেই।