গাউছিয়া মার্কেটের অজন্তা লেডিস টেইলার্সের মাস্টার জাকির হোসেন বললেন, মেয়েদের পোশাকের নকশা ও কাটিংয়ে বরাবরের মতো এ বছরও এসেছে কিছু পরিবর্তন। তবে গরমের কারণে কামিজের সঙ্গে সিগারেট প্যান্টের বেশ চল এখন। কুঁচি দেওয়া পালাজ্জো বা প্যান্টের পাশে অনেকে পুঁতি দিয়ে নকশা করছেন। নিউমার্কেটের সুবেশা রেডিমেড অ্যান্ড টেইলার্সের কাটিং মাস্টার মো. পলাশ বলছিলেন, কামিজের ঘের থাকবে স্বাভাবিক। গলার ক্ষেত্রে এসেছে নতুন অনেক নকশা। হাইনেক কলার, শেরওয়ানি কলার, বোট গলা, ছোট করে গোল গলা বা একেবারে গলা আটকানো, গলার কাটে দেখা যাবে এসব বৈচিত্র্য। কামিজের হাতায় কিছুটা নতুনত্ব দেখা যাচ্ছে। সোজা কনুই পর্যন্ত, থ্রি-কোয়ার্টার, ফুল হাতা, কোল্ড শোল্ডার, হাতার নিচের অংশে ঘের দেওয়া, ট্রাইস্লিভ হাতা, যা দুই-তিন জায়গা দিয়ে কাটা থাকে আর মাঝে থাকে পুঁতি বসানো। এ ছাড়া বেলবটম হাতাও অনেকের পছন্দ।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনীচকের দরজি দোকানগুলো ঘুরে জানা গেল, প্রায় প্রতিটি দোকানেই ২৫ রমজান পর্যন্ত ফরমাশ নেওয়া হবে। কাটের ওপর নির্ভর করে সালোয়ার-কামিজের মজুরি পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। তবে ১০ রমজানের পর মজুরি বাড়বে বলে জানান দরজিরা। মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের মাই ফ্যাশন টেইলার্সের কর্মী মোহাম্মদ কালাম জানান, লিনেন ও লনের অর্ডার বেশি পাচ্ছেন এ বছর। আর বৈশাখ সামনে রেখে শাড়ির জন্য ব্লাউজের চাহিদাও বেড়েছে।
গুলশানের পিংক সিটির স্মরণিকা টেইলার্স অ্যান্ড ব্লক বুটিকের কর্মী আবদুর রউফ জানালেন, বাহারি নকশার কুর্তি, গাউন এবং ব্লাউজের আয়োজন থাকছে এবার। রকমারি গজ কাপড় কিনে যে কেউ পছন্দমতো পোশাক বানিয়ে নিতে পারবেন। মজুরি পড়বে 8০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া একটু ঘের দেওয়া কামিজে কলি ও ইয়ক বসাতে চাইলে চলে যেতে পারেন পিংক সিটি। এখানে জর্জেট ও সিকোয়েন্সের কামিজ বানাতে খরচ পড়বে 8০০ টাকা। এমব্রয়ডারির কলি ও ইয়ক বসাতে চাইলে নকশা অনুযায়ী কামিজ বানানোর খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকার কাছাকাছি হবে। মৌচাক মার্কেটের জ্যোতি লেডিস টেইলার্সের মাস্টার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, করোনার কারণে অনলাইনে কেনাকাটা বেড়ে গেছে। গজ কাপড়ের তুলনায় তৈরি কাপড়ের চাহিদা বেশি। তাই আমাদের কাছে অর্ডার তুলনামূলক কম। তবে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য দিনকে দিন কাজের চাপ বাড়ছে, সঙ্গে ঈদ এবং বৈশাখ তো আছেই। এখানে জামা সেলাইয়ের খরচ পরবে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা।