বন্ধুরা সবাই মিলে কাজ করেছি
প্রতিবছরের মতো পয়লা বৈশাখে এবারও প্রতিটি বিভাগকে স্টল সাজাতে বলা হয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২১টি বিভাগ, ২১টি স্টল। মেলার চার-পাঁচ দিন আগেই আমরা কাজ শুরু করি।
ব্যবসা নয়, বরং মেলায় আবহমান বাংলাকে যেন তুলে ধরা যায়—এটাই ছিল উদ্দেশ্য। তাই স্টলগুলোতে একটু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি। স্টলের চারপাশ কাঁচা বাঁশের ওপর নকশা করা চাটাই দিয়ে ঘেরা, ওপরটায় ছিল খড়ের ছাউনি। আর স্টলের বাঁ পাশে বাঁশের তৈরি একটি টং করি ক্রেতাদের বসার জন্য। প্রবেশপথ সাজাই কলাগাছ দিয়ে। এসব করা যে একেবারে সহজ ছিল তা নয়; আমরা বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি বলে পেরেছিলাম।
স্টলে খাবার হিসেবে রেখেছি গ্রামীণ ঐতিহ্যের বাহারি রকমের, বাহারি স্বাদের পিঠা। যেমন গোলাপ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ডিম পিঠা, পাটিসাপটা, তেল পিঠা, পুলি পিঠা। নানা রকম নাড়ুও ছিল। বিভিন্ন ফলের শরবত বানিয়েছিলাম। আমাদের স্টলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিড় লেগেই ছিল। দিন শেষে শিখেছি সৌহার্দ্যবোধ, দায়িত্ববোধ।
এখন মনে হচ্ছে আনন্দটা আসলে কাজে। চাটাইয়ে রং করা হয়নি, খড় কম পড়ে গেছে, পিঠার লেইয়ে পানি বেশি হয়ে গেছে—এ রকম নানা চিন্তা ছিল মাথায়। এসব উৎকণ্ঠায় থাকত আবেগ, উৎসাহ; আর তাতেই আনন্দটা খুঁজে পাচ্ছি।