পাত্রটা প্লাস্টিকের

প্লাস্টিকের তৈরি পাত্র বা কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম।
প্লাস্টিকের তৈরি পাত্র বা কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম।

আজকাল খাবার সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি পাত্র বা কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম। এসব ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবন সহজ হয়েছে বেশ। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার ফলে অনেক সময় খাবার নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
রান্নাবিদ ফাতিমা আজিজ জানান, ‘প্লাস্টিকের এসব কনটেইনারে খাবার রাখলে খাবার ভালো থাকে। তবে অবশ্যই খাবারটা গরম গরম বায়ুরোধী (এয়ারটাইট) কনটেইনারে না রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তারপর খাবারটা কনটেইনারে রাখা ভালো।’
টাপার ওয়্যার বিডির সিনিয়র ব্রাঞ্চ হেড সাফিকা নাসরীন মিমি জানান, ‘প্লাস্টিকের সব কনটেইনার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ব্যবহার করা যায় না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের জন্য রয়েছে পলিকার্বোনেট দিয়ে তৈরি স্বচ্ছ কনটেইনার।’
ভিন্ন ধরনের কনটেইনার
আরএফএল প্লাস্টিকের ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক আরাফাতুর রহমান জানান, খাবার সংরক্ষণ করার জন্য তাঁদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কনটেইনার। শস্যপণ্য যেমন চাল, ডাল, মুড়ির মোয়া, মরিচ; রান্না করা খাবার যেমন তরকারি, ডাল; আবার শুকনো খাবার সংরক্ষণে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আকারের কনটেইনার। রেফ্রিজারেটরে ব্যবহারের জন্য রয়েছে ভিন্ন কনটেইনার আবার ডিপ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের জন্য রয়েছে আলাদা কনটেইনার।
জেনে নিন
 কনটেইনারে খাবার রাখার সময় সামান্য একটু ফাঁকা করে বাতাসটা বের করে নেওয়া যেতে পারে।
 রেফ্রিজারেটরেও খাবার সংরক্ষণের সময় গরম খাবারটা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে বায়ুরোধী বা তরলরোধী (লিকুইড টাইট) কনটেইনারে রাখতে হবে।
 ডিপ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের সময় মাছ, মাংস পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
 লিকুইড টাইট কনটেইনারে এমনভাবে সিল দেওয়া থাকে, যাতে উল্টালেও পড়ে যাবে না।
 লিকুইড টাইট কনটেইনারে সবজি রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
 ড্রাই স্টোর কিপারে শস্যপণ্য; যেমন চাল, ডাল, মরিচ—এগুলো মচমচে থাকে অনেক সময় ধরে। তবে পোকাওয়ালা চাল, ডাল রাখা যাবে না।
 শুকনো খাবার যেমন চিপস, চানাচুর—এসব খাবার ড্রাই স্টোরেজ কনটেইনারে রাখার পর ঢাকনা শক্ত করে লাগিয়ে রাখতে হবে।
 রেফ্রিজারেটারে খাবার সংরক্ষণের জন্য রয়েছে ফ্রিজারমেট কনটেইনার। এতে খাবার রাখলে তাতে হালকা বরফ জমবে। তবে রেফ্রিজারেটরের বাইরে পাঁচ মিনিট রাখলেই তা সতেজ হয়ে যাবে।
 কখনই বার্নার বা চুলার পাশে এসব প্লাস্টিকের কনটেইনার রাখা যাবে না। তাতে গলে যেতে পারে।
 অবশ্যই খেয়াল করতে হবে, কনটেইনারের ঢাকনা ঠিকমতো লাগানো হয়েছে কি না।
পরিষ্কার করার পদ্ধতি
 নরম কাপড়ে ডিশ ওয়াশিং পাউডার মিশিয়ে ধোয়া যাবে।
 ছোবাজাতীয় বা শক্ত কোনো কিছু দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। স্পঞ্জ বা নরম কাপড় দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা যায়।