বিয়েবাড়িতে বর-কনের পর তরুণদের সাজ-পোশাকেই থাকে সবচেয়ে বেশি জাঁকজমক ভাব। পোশাকের রং হতে পারে উজ্জ্বল ও গাঢ়। আর ধরনেও সবচেয়ে বৈচিত্র্য থাকে তরুণদের পোশাকে। কেউ হয়তো শাড়ি পরছেন, কেউ আবার গাউন, জমকালো সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, সারারা, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্রিন্স কোট। কী নেই তাঁদের বিয়েবাড়ির পোশাকের তালিকায়।
ফ্যাশন হাউস ভায়োলা বাই ফারিহার স্বত্বাধিকারী ফারিহা তাশমীন জানালেন, ‘একসময়ের বিয়ে মানেই মনে করা হতো মেয়েরা পরবে শাড়ি বা সালোয়ার–কামিজ আর ছেলেরা পাঞ্জাবি। কিন্তু প্রচলিত এই রীতি ভেঙে তরুণদের বিয়ের পোশাকে যুক্ত হয়েছে ফ্যাশনেবল ধারা।’
বিয়েবাড়িতে তরুণীরা শাড়ি বা সালোয়ার পরলেও তাতে থাকে ফিউশন। যেমন শাড়ি বা কামিজের সঙ্গে জ্যাকেট। বিয়েতে তরুণীদের খুব ট্রেন্ডি পোশাক হলো কাফতান। কিন্তু তাতে থাকে ভারী কাজ। এমব্রয়ডারি, জারদৌসি, কারচুপি, মুক্তা, আয়নার কাজ দিয়ে বিয়েবাড়ির পোশাকে আনা হয় জমকালো ভাব। কনের বোন বা খুব কাছের স্বজন হলে এমন পোশাক পরতে পারেন। জমকালো কাজ করা গাউনও হতে পারে কনের বোনদের পোশাক।
এ ছাড়া লেহেঙ্গা তো আছেই। আবার ঘের দেওয়া আনারকলি, সারারা, ঘারারা হতে পারে তরুণী অতিথিদের পোশাক। আর এখন যেহেতু শীতকাল, তাই সিল্ক ও মখমল কাপড়ের পোশাক বেছে নেওয়া যায় চোখ বন্ধ করে।
দিনের বেলার বিয়ের পোশাকের রং কিছুটা হালকা হলেই ভালো। সে ক্ষেত্রে বেগুনি রঙের নানা ধরন যেমন মভ, ল্যাভেন্ডার, হালকা বেগুনি মানানসই। আর রাতের অনুষ্ঠানের জন্য লাল, মেরুন, বটল গ্রিন মেয়েদের পোশাকের রং হতে পারে।
ছেলেরা পাঞ্জাবির পাশাপাশি পরতে পারেন শেরওয়ানি ও প্রিন্স কোট। বরের ভাই বা খুব কাছের প্রিয়জনদের শেরওয়ানিই বেশি মানিয়ে যাবে। বন্ধুরা পরতে পারেন সুতার কাজের প্রিন্স কোট। খুব চকচকে ভাব ছেলেদের পোশাকে মানাবে না, তাই থাকতে পারে ছোট জারদৌসির কাজ। এ ছাড়া চাইলে পাঞ্জাবির ওপর পরা যাবে সুতার কাজের লম্বা জ্যাকেট। আর ছোট জ্যাকেট পরলেও থাকতে হবে ফরমাল ভাব।