তারুণ্যের জয়োৎসবে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে টোয়েক কর্মশালা
টেস্ট অব ইংলিশ ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস বা টোয়েক একটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা। টোয়েক নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক পরিবেশে কারও দৈনন্দিন কাজে ইংরেজি বলার দক্ষতা কতকখানি।
৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশ এই পদ্ধতিতে ইংরেজি যাচাই করে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ দেয়। ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাওয়া এই পরীক্ষা এখন অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে।
প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ এই পরীক্ষা দেন। তবে বাংলাদেশে এই পদ্ধতি তেমন জনপ্রিয় না। এই পরীক্ষা আগে বাংলাদেশে ছিল না। মাত্র এক বছর হয়েছে এই পরীক্ষা বাংলাদেশ থেকে দেওয়া যায়। অথচ এখন প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই দক্ষতা (টোয়েক) যাচাই করতে চায় অনেক দেশ।
এসব বিষয় মাথায় রেখে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হওয়া ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবের জাতীয় পর্বে টোয়েক নিয়ে একটি সেশন হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় টোয়েক নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ ও মক টেস্টে অংশ নিতে।
আগ্রহী ব্যক্তিরা ১৮ ও ১৯ মে যোগ দেন প্রথম আলো কার্যালয়ে, টোয়েক কর্মশালায়। প্রথম দিনের কর্মশালায় অংশ নেন প্রায় ৪১ জন। দ্বিতীয় দিন ২৫ জন। কর্মশালা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মক টেস্ট।
টোয়েক মক টেস্টে অংশ নেন মাহবুবুর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে একটি কলেজে লেকচারার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা অনেক দিন ধরে ইংলিশ শিখছি, তবুও কমিউনিকেটিভ ইংলিশে আমরা দুর্বল। আজকের ওয়ার্কশপ আমাদের এই বিষয়টিতে সাবলীল হতে সহযোগিতা করেছে।’
তেজগাঁও কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলফাজ বলেন, ‘আমরা ইংরেজিবিষয়ক অনেক টুকিটাকি বিষয় জানতাম না। যেমন আমাদের ইংরেজির উচ্চারণ অনেক সময় ইংরেজিভাষীদের জন্য দুর্বোধ্য হয়। এভাবে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। তাই আমাদের টোয়েকের মতো পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের যাচাই করে নেওয়া উচিত।’
টোয়েক বাংলাদেশের নির্বাহী রেশাদ রসুল কাজী বলেন, বাইরের দেশে যাঁরা কাজ করতে বা পড়তে যাবেন, তাঁদের জন্য টোয়েক একটা জরুরি পরীক্ষা। কিছু কিছু জায়গায় মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে হলে এই পরীক্ষা অত্যাবশ্যকীয়।
মক টেস্টে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৫০ জনকে ফ্রি টোয়েক ভাউচার প্রদান করা হয়। টোয়েক কর্মশালা ও মক টেস্ট ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের প্রথম কর্মশালা। পর্যায়ক্রমে ইন্টার্নশিপ, শিল্প ট্যুরসহ অন্যান্য সুযোগে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়ে অন্যান্য কার্যক্রম আয়োজন করা হবে।