টিকটকের মতো অ্যাপ আমাদের অমানবিক করছে
অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। অনেকে বলছেন, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমই প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘নেক্সট বিগ থিং’। আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটককে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে টিকটকে রুচিশীল কনটেন্টের অভাব, এটি তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে—এমন অপবাদও শোনা যায়। তরুণদের মধ্যেও রয়েছে টিকটক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম টিকটক সম্পর্কে তাদের ভাবনা।
ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো টিকটকেও ভিডিও দেখা যায়। কিন্তু অন্য মাধ্যমগুলোর চেয়ে এটা বেশি সমালোচিত। কারণ, এই অ্যাপটিতে যতটা বিনোদন বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট পাওয়া যায়, তার চেয়ে অরুচিকর কনটেন্ট থাকে বেশি। সংস্কৃতি বহমান, পরিবর্তনশীল। একই সংস্কৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। পরিবর্তন মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্যের অংশ। কিন্তু টিকটকের মতো অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অমানবিক করে তুলছে। মানুষ বদলাবে ঠিক, কিন্তু গতকালের চেয়ে আজকে যেন আমি আরও একটু বেশি মানবিক হতে পারি, সেই পরিবর্তনের দিকেই আমি জোর দিতে বলব।
টিকটক বা এ ধরনের মাধ্যম মানুষকে আকৃষ্ট করতে, তাদের প্ল্যাটফর্মে ধরে রাখতে নানা রকম অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এটাই আমার কাছে শঙ্কার কারণ। ব্যবসায়িক ভাবনার চূড়ান্ত পরিণতিতে মানুষের জীবনযাপনে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
যেকোনো কিছুরই অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর ফল বয়ে আনতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ এমনিতেই অনলাইনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। তাই টিকটক কতটুকু ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সেটা বুঝতে পারে না। তাই একটা অ্যাপের অ্যালগরিদমের ওপর নিজের বিনোদনের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত না বলেই আমি মনে করি।