জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় পড়ার অভিজ্ঞতা

চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের নানা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে বাংলায় পড়ার সুযোগ। জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ইউতো ৎসুজিদে লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা

সহপাঠীদের সঙ্গে লেখক (ডান থেকে দ্বিতীয়)
ছবি: সংগৃহীত

আমি জাপানের নাগরিক। হাইস্কুলে পড়ার সময় টেলিভিশনে বাংলাদেশ নিয়ে একটা তথ্যচিত্র দেখেছিলাম। সেটা দেখে উৎসাহিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় পড়ার সিদ্ধান্ত নিই। এখন টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়ছি, দ্বিতীয় বর্ষে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের ফুচু শহরে অবস্থিত। আমি বাংলায় পড়তে ও লিখতে পারি। আমরা মোট ১২ জন শিক্ষার্থী এখানে বাংলা শিখছি।

চারজন জাপানি শিক্ষক আমাদের বাংলা পড়ান। বাঙালি শিক্ষকও আছেন দুজন। তাঁরা আমাদের বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আমার অনেক বাংলাদেশি ও বাঙালি বন্ধু আছে। আমি বাংলাদেশের লোকজ গান ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে বাংলা ভাষার লেখক ও কবিদের লেখা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নোবেলজয়ী কবির একটি আবক্ষ মূর্তি আছে। বাংলা সম্পর্কে জানতে আমি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। শান্তিনিকেতনেও গিয়েছি। দুই বছর আগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও গিয়েছিলাম।

আমরা বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করি। আমি বাংলা ভাষায় গান গাইতে পারি। বাংলা ভাষায় বিশ্বের অনেক মানুষ কথা বলেন। বাংলা একটা গতিশীল ভাষা, যে ভাষার সাহিত্য ও সংস্কৃতির গভীরতা অনেক। এই ভাষা ও সাহিত্যে দারুণ সব উপকরণ আছে। এসব কারণে জাপানের অনেক শিক্ষার্থী বাংলা শিখছেন, বাংলায় গবেষণা করছেন।