জমে উঠেছে বইমেলা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত বইমেলা জমে উঠেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। বাড়ছে বইয়ের স্টলগুলোর বিক্রিবাট্টা। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আরও বেশি জমজমাট হতো বলে মন্তব্য করেছেন মেলায় আসা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা।
চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী এই বইমেলা শুরু হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। মেলায় অংশ নিয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের ২৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
গত রোববার বিকেলে দেবরের দুই শিশুসন্তান পূর্ণদীপা চৌধুরী ও পূর্ণাদিত্য চৌধুরীকে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন চিটাগাং গ্রামার স্কুলের শিক্ষিকা মাধবী চৌধুরী। তাদের নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছিলেন। কেনেন শিশুতোষ বই।
মাধবী চৌধুরী বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মতো জায়গা খুব একটা নেই। কিছু জায়গা থাকলেও তাতে পরিবেশের কারণে বসাও দায় হয়ে পড়ে। এখানে এসে স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চারা মনের আনন্দে বইয়ের স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছে। বই পছন্দ করছে।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাবরাতুল আলম এসেছিল মা ও ভাইয়ের সঙ্গে। তারও পছন্দ ছড়া আর কার্টুনের বই। মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে বলে জানায় সাবরাতুল।
এদিকে মেলায় শিশুতোষ বইয়ের যেমন কাটতি রয়েছে, তেমনি চাহিদা রয়েছে উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও ইতিহাসনির্ভর বইগুলোরও।
প্রথমা প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেন, মেলার শুরু থেকে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দিনে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম থাকে। তবে সন্ধ্যা হলে দর্শনার্থীর উপস্থিতি বাড়ছে।
সোহেল আহসান জানান, তাঁদের স্টলে বেশি বিক্রি হচ্ছে হরিশংকর জলদাসের এখন তুমি কেমন আছ, বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাসন্তী, তোমার পুরুষ কোথায়, এবিএম মূসার আমার বেলা যে যায়, শারমিন আহমেদের তাজউদ্দীন: নেতা ও পিতা বই। এ ছাড়া অন্যান্য বইও বিক্রি হচ্ছে।
নন্দন প্রকাশনের সুব্রত চৌধুরী বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের আয়োজন অনেক ভালো। মানুষের উপস্থিতিও আছে। পাশাপাশি এলাকায় দুটি মেলা হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে।
বলাকা প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী তারেক উদ্দিন বলেন, মোটামুটি বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করি শেষের দিকে আবার জমে উঠবে মেলা। তখন বিক্রিও বাড়বে।
এই প্রকাশনার এ এম আবদুল্লাহের অগ্নিপুরুষ: বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী, শেখ আবদুল মুকিতের গল্প, ও গল্প... এবং রহস্যজাল বই দুটির চাহিদা রয়েছে পাঠকের কাছে। এ ছাড়া ইতিহাসধর্মী বইও বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারেক উদ্দিন।
মেলা শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। মেলা উপলক্ষে ইনস্টিটিউট চত্বরে প্রতিদিনই চলছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।