ওরা ১১ জন
গরিবের শিক্ষক শ্রীবাস
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কেউ প্রতিষ্ঠা করেছেন দাতব্য সংগঠন, কেউ আবার দুর্গম চরে স্থাপন করেছেন স্কুল। আপন আলোর দীপ্তিতে তাঁরা হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীদের প্রেরণা, এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয়। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এমন ১১ জন শিক্ষককে সম্মানিত করেছে আইপিডিসি ও প্রথম আলো। এখানে পড়ুন মাগুরার শালিখা উপজেলার শিক্ষক শ্রীবাসচন্দ্র বিশ্বাসের কথা।
এসএসসি পাসের পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীবাসচন্দ্র বিশ্বাস। স্থানীয় চিকিৎসকেরা কিছু ধরতে পারলেন না। ফলে শারীরিক অসুবিধা নিয়েই চলতে থাকে তাঁর পড়াশোনা। নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক শেষে কয়েকজন বন্ধু ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাগুরার শালিখা উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করেন শরুশুনা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষকতাকালেই ১৯৯৮ সালে আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় এক বছর ভারতে চিকিৎসা নিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হলেও দুই পায়ে শক্তি কমে গেল। শারীরিক ওই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই চলছেন তিনি।
তত দিনে অবশ্য শিক্ষক হিসেবে আশপাশের এলাকায় তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। অল্প সময়ে শরুশুনা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও উপজেলার মধ্যে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। শরুশুনা ও আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় গরিবের শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি পান শ্রীবাস। ইংরেজির শিক্ষক হওয়ার কারণে অনেকে তাঁর কাছে আসে প্রাইভেট পড়তে। সেসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কখনো অর্থ চেয়ে নেননি তিনি। আরও একটা কারণ হচ্ছে, তিনি তাঁর সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
২০১৮ সাল থেকে শালিখা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীবাসচন্দ্র বিশ্বাস।