সন্তানকে ঠিকঠাক বড় করতে মা–বাবার চিন্তার শেষ নেই। সন্তানের সঙ্গে যতটা আন্তরিক পরিবেশ বজায় রাখা যাবে, সন্তানও ততটা পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠবে। মাইকেল মিচেল নামের একজন অভিভাবক সন্তান পালন নিয়ে একটা জরিপ করেছেন; যা পরে তিনি নিজেও কাজে লাগিয়েছেন। অসংখ্য অভিভাবকের অভিজ্ঞতাকে একত্র করে তিনি একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছেন; যা মূলত সন্তানদের সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারে। তারই কিছু পরামর্শ এখানে আলোচনা করা হলো।
তাদের সঙ্গে খেলার সময় বোকা হতে, মজার মানুষ হতে কোনো দ্বিধা করবেন না। খেলতে গিয়ে মা–বাবা নিজেরা হবেন শিশুসুলভ। মজা করবেন, এতে বাচ্চারা বয়স্কজগতের জটিলতা থেকে দূরে যাবে।
মাঝেমধ্যে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতে দিন। আপনি হয়তো গাড়ি চালাচ্ছেন, কোলে বাচ্চা, তাকে মাঝেমধ্যে স্টিয়ারিং ধরতে দেবেন, সে এই অভিজ্ঞতা মনে রাখবে।
তারা চুমু খেতে শিখবে একসময়। প্রথমে তারা মা–বাবার সারা মুখে চুমু খাবে। এতে কিছু মনে করবেন না, এই আদর সুবর্ণ অভিজ্ঞতা।
ছোট্ট সন্তানকে কাঁধে তুলে নিন। এত ওপর থেকে জগৎ দেখে সে যে কী আনন্দ পাবে, সেটা আপনি বুঝতে পারবেন।
তাদের সুন্দর চেহারার প্রশংসা করুন। তবে তাদের সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিন, বাইরের এই সৌন্দর্য শেষ কথা নয়, এর সঙ্গে জ্ঞান, বুদ্ধি যুক্ত হলে তবে তা হবে সত্যি খুব সুন্দর।
ভালো মন্দের তফাত বুঝিয়ে দিন সন্তানকে। একটা কথা মা–বাবার বুঝতে হবে, মা–বাবা যা বলেন, তা তারা তেমন অনুসরণ করে না। তবে শিশুরা মা–বাবা যা করেন, যেমন আচরণ করেন, সেটা সন্তান অনুকরণ করে।
সন্তানকে হাঁটতে নিয়ে যান। একসঙ্গে নিয়ে হাঁটুন পার্কে, যেতে পারেন ক্যাম্পে বা বনভোজনে। প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে দেখাতে পারেন সূর্যাস্ত, চা–বাগানের সুন্দর শোভা। সে নিজের আরামের স্থান থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির কাছে আসার অভিজ্ঞতা মনে রাখবে চিরদিন।
ছোটখাটো গৃহস্থালি কাজ শেখান। ঘরে শেলফ লাগানো, ছিদ্র বন্ধ করা, বিছানা করা, বালিশে কভার লাগানো, বই বাঁধাই, খাতা সেলাই ইত্যাদি কাজ শিশুদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রয়োজনে তাদের ‘না’ বলুন। তাদের কিছু অনুরোধে ‘না’ বলতে হয়। হয়তো বাচ্চা আজ রেগে গেল কিন্তু ভবিষ্যতে সে প্রয়োজনে ‘না’ বলতে শিখবে।